আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শস্যপর্ব পড়ে----

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

প্ড়ত্যাশা দিন দিন কমে যায়। ইদানিং মাঙনায় পড়তে ইচ্ছা হয়। বই কেনা কিংবা টাকার অপচয় করতে ইচ্ছা হয় না কোনো ভাবেই। বিকেলে উদ্দেশ্যবিহীন হাঁটার ভেতরেও একটা উদ্দেশ্য ছিলো। কোনো রকম গন্তব্য ব্যতিরকে রাস্তায় নামা হয় না আজকাল।

মাইল ফলক পেরুনোর মতো ধানমন্ডির রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মিরপুর রোড, দোকানের সাইনবোর্ড পড়তে পড়তে আপাত গন্তব্য নির্ধারণ। দুরে ল্যাব এইডের নিয়ন সাইন ঝুলছে, আপাতত সেখানে যাই। সেখান থেকে পরবর্তি গন্তব্য ছাপকল। চান্স নেওয়া বলা যায়। বিগত 3 দিন গিয়ে দেখলাম ঝাঁপ বন্ধ, বন্ধু 3 দিন তোর বাড়ীত গেলাম দেখা পাইলাম না অবস্থা।

সরকার ঘরোয়া রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণার সাথে ছাপকলের ঝাঁপ বন্ধের কোনো সরল সমীকরণ থাকতেও পারে- সেখানের মালিক প রাজনীতিসচেতন। দোকান ঘরীয় রাজনীতি যদিও নিষিদ্ধ হয় তবে যে কোনো রাজনৈতিক উচ্চারণ বন্ধ করে দেওয়ার সীমাহীন স্বাধীনতা আমাদের কর্তা ব্যক্তিদের করায়ত্ব এখন। অযথাই 54 ধারায় গুঁজে দিতে পারে কারাগারে। তবে নেহায়েত ইঁদুর কপালে নই তাই ছাপকলের ঝাঁপ খোলা। যদিও কর্তা ব্যাক্তিরা অনুপস্থিত তবে " অপরবাস্তব"কালীন পরিচয়ে ওয়্যারলেস ঠিকই চিনতে পারলো।

অনেকটা সময় হেঁটে শ্রান্ত তাই কোথাও স্থির হয়ে বসলেই চলে- তাছারা সেখানেও পুন্যবান একজন বিদ্যমান। অপরবাস্তবের শব্দ সাজানোর কারিগর সবুজ, সেও ছিলো উপস্থিত। ওকে তিনি বলা উচিত, তেকোণালজি, ছাগুনোমিক্সএর জনক জনাবকে তিনি নিজ চোখে দেখেছেন। তিনি সে পূণ্যে জান্নাতবাসী হবেন নিঃসন্দেহে। আমি কাবাও যেতে পারবো না, নবীর রওজা দেখার রেস্তও জুটবে না পকেটে।

বাংলাদেশে সুফী নামের গঞ্জিকাসেবীদের দেখে যেটুকু ঘোর লাগে তাও ধোঁয়ার প্রভাব হতে পারে। পূণ্যবানদের সচ েদেখলেও সওয়াব হয়। আমি অশেষ নেকী হাসিলের বাঞ্ছায় সবুজের সামনে বসে থাকি। তার নিশ্চিত ভবিষ্যত স্বর্ঘপ্রাপ্তির সুসংবাদ দিয়ে তাকে কৃতার্থ করি। পূণ্যবানের সেবায় চা বিনা অন্য কিছু দেবো এমন ভাবনার সময় সেখানে বাকীর উপস্থিতি পূণ্য সঞ্চয়ে বিঘ্ন ঘটালেও সেই অপ্রাপ্তি ঘুঁচে গেলো শস্যপর্ব হাতাতে পারায়।

ঠিক নিশ্চিত না এটা বিক্রির উদ্দেশ্য ছিলো না কি বিনা মুলে বিতরণের জন্য- যেকোনো কারনেই হোক না কেনো অতযোনী একটা বই হাতে নিয়ে রওনা দিলাম। পড়লাম "শস্যপর্ব"। গত সমালোচনায় কবি লেখকদের নাম নিয়ে রসিকতা করায় কিংবা নামে শিশ্ন যোগ-বিয়োগ করায় একজন বেশ মনঃুন্ন হয়েছেন, বলেছেন আমি জিপার খুলে ঘুরি। সবাইকে জানাতে ভালোবাসি " এই দ্যাখ আমার না একটা ----- " তবে সেটার উত্থানবিষয়ক কোনো তথ্য সরবরাহ করা হয় নি বলে পাঠকেরা যদি সন্দেহ প্রকাশ করে ভেবে বসে আমি শিবলিঙ্গের ব্যবসা করি তাহলেও বিশেষ কোনো তি নেই। দুগ্ধসিনান জুটতে পারে।

তাই কবিদের নাম আকৃষ্ট করলেও এখন এসব নিয়ে কোনো রসিকতা নয়। কবিতা বিষয়ক শস্যপর্বের ভেতরে সংকলিত কবিদের ভেতরে পরিচিত নাম দেখে আনন্দিত হলাম। 22টা বিভিন্ন মাপের কবিতায় সাজানো বইয়ের সেরা লেখক "হাসান মোরশেদ" এবং সেরা কবিতা "ভারুয়া"। মোস্তাক আহমাদ দীন ( দিন কিংবা দ্বীন কিংবা শ্রদ্ধার্থে দিন) এর আমি বিনা কিছু পড়ে থাকে পঠনযোগ্য। জফির সেতু, মাহবুব লীলেন ( তিনি কিংবা সে কি লিলেনের শার্ট কিংবা পয়ান্ট পাজামা পড়ে ঘুরেন? হয়তো বা ) মাহবুব মোর্শেদ, অর্জুন মান্না ( জারুল, শিমুল, পলাশ, সর্পগন্ধা, হতে পারতো অনেক কিছুই) রাগ ইমন, আ স ম মামুন, মঞ্জুর মোহাম্মদ, সামস শামীম, হাসান আওরঙ্গজেবের ভীড়ে শফিকুল ইসলাম খান কেমন খার ছাড়া।

ভালো না লাগা কবিতার জঞ্জাল পেরিয়ে অবশেষে হাসান মোরশেদের " কবিতার গনিকা, কবিতার তাপসী" পড়ে মুগ্ধ হলাম। তার ভাবানুবাদ করা কবিতাগুলো হয়তো " শেখ জলিলের" ছন্দের কারখানায় মানোত্তীর্ণ ফলক পাবে না। কিংবা ভাবানুবাদ ছন্দানুগ হতে পারলে ভালো না হলেও তি নেই। কবিতার প্রাণ তার অন্তর্নিহিত সুর, অনুবাদে সেই সুর শ্রুত হলেই কবিতার অনুবাদ সফল। প্রতিটা সফল অনুবাদ নতুন একটা কবিতা হয়ে উঠে।

পিতৃসম কবিতার প্রেেিত অন্য এক স্বাধীন কবিতার জন্ম হয় সন্তানের মতো। কিছু পরিমাণ ছন্দ পতনের ধন্দ কাটিয়ে উঠে পড়লাম। যদিও " ওগো বিষন্ন মেয়ে, এসো বসি ওই প্রান্তে এসো এক সাথে ঝরে পড়ি এ কারণ হেমন্তে" লাইনটার হেমন্তে শব্দটার বাড়তি এ কার অহেতুক মনে হয়েছে, তবে কারণ দর্শানোর কারণ না হয়ে যদি জীবনদায়িনি কারণ বারির কারণ হয় এর পরও ঠিক তাল মিলে না। কিছু পরিমাণ মূদ্রনপ্রমাদ বাদ দিলে 1 ফর্মার এই বইটা সুখপাঠ্য বস্তুত 3 টা কবিতার জন্যই। নাজমুল আলবাবকে শুভেচ্ছা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।