বেঁধেছে এমনও ঘর শুন্যের ওপর পোস্তা করে..
আলবাবের দেয়া লিংকে শস্যপর্ব দেখেছিলাম ব্লগে। মনিটরে পড়া, তাও যদি হয় ছোট কাগজ, যায়না এ দুটো একসাথে। গতকালই হাতে পেলাম। শুরুতে মোস্তাক আহমেদ দীনের কবিতা। ভেবেছিলাম গতানুগতিক ছোট কাগজে যা হয় সেরকমই কিছূ হবে।
উদ্ভট, দূর্বোধ্যতায় ভরা পদাবলীর গুচ্ছই হবে। কিন্তু শুরুতেই মোস্তাক নামের এক অচেনা কবি আমায় নিয়ে রীতিমত খেললেন,
অনন্তর তিনি যখন তোমাতে অর্থনা করিতেছিলেন তুমি বিলক্ষণ প্রীত হইতেছিলে, আমি ইহাতে তোমার লাভ ক্ষতির তেরিজ খুজিতে গিয়া ব্যর্থ হইতেছিলাম;...অতঃপর হাসিতেছিলাম, কেননা অল্প-সল্প বুঝিতে পারিতেছিলাম.........
একবাক্যে যেটা বলা দরকার, আমি জীবনেও কোনদিন কাব্য সমালোচনা করি নাই, এবং এটাই সাহিত্যের একমাত্র শাখা যেখানে আমি কোন পদচারণা করতে চাইনা। আমি ভালো লাগলে বলতে পারি, ভালো হইছে, মন্দ লাগলে মন্দ। মোস্তাকের দ্্বিতীয় কবিতা, আমি বিনা কিছু পড়ে থাকে কবিতাটিও আমার অসম্ভব ভালো লেগেছে।
পুরো কাগজে একটি কবিতাও আমার ফেলে দেওয়ার মতো মনে হয়নি।
সাধারণত আমার অভিজ্ঞতা, ছ-সাতটি বই ঘাটলে গড়ে দুটি কবিতা পাওয়া যায় পড়ার মতো। প্রিয় লেখক হাসান মোর্শেদে র অনুবাদে আন্না আখমাতোভার কবিতা গুলি শুধুমাত্র কবিতা থাকেনি, হয়ে উঠেছে এক একটি সোনার খনি। উপমাটা বাহুল্য দোষে দুষ্ট হতে পারে কিন্তু আমার অনুভুতি আমাকে কিছুটা বাহুল্য করারই প্রেরণা দিচ্ছে। স্ট্যালিনের অনেক বদনাম থাকা সত্বেও সে আমার প্রিয় ব্যক্তিত্বদের একজন। এই প্রথম জোসেফ স্ট্যালিনের প্রতি আমার হৃদয় বিরূপ হলো।
নজমুল আলবাবের সম্পাদনায় সিলেট থেকে প্রকাশিত শস্যপর্ব এখন ঢাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আজিজ সুপার মার্কেটের বিদিত (39, নীচতলা) ও জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী (21/1 পুরানা পলটন, নীচতলা)।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।