উপনিবেশ স্থাপনকারী দেশগুলোর জনগোষ্ঠী সভ্য, সংস্কৃতিবান ও উন্নত। আর উপনিবেশিতরা অসভ্য, বর্বর ও সংস্কৃতিহীন। উপনিবেশিতদের সভ্য আর সংস্কৃতিবান করার জন্যই উপনিবেশ স্থাপন করা হয়েছে। পশ্চিমা দার্শনিক, চিন্তুকদের মতে অন্যদের উপনিবেশিত থাকা দরকার ছিল। তারা বলেছেন ইতিহাসের মূল স্রোতে ঢোকার জন্য এসব দেশগুলোর উপনিবেশিত থাকাটা পজেটিভ।
হেগেল তো স্পষ্ট করেই বলেছেন ভারতের কোন ইতিহাস নেই উপনিবেশিত হবার আগে। এমনকি মার্ক্স পর্যনত্দ এ চিনত্দাধারার সমর্থক ছিলেন একসময়। এভাবে পশ্চিমা চিন্তুকরা দার্শনিকরা সাম্রাজ্যবাদের সহযোগি হয়ে এমন একটি চেতনা দাঁড় করিয়েছেন যা উপনিবেশিতদের খাটো করে, তাদের মনোজগতে হীনমন্যতার বোধ সৃষ্টি করে। উপনিবেশবাদে প্ররোচিত হয়েই তারা এরূপ বুদ্ধিবৃত্তিক সন্ত্রাস চালিয়েছে। উপরন্তু এই আধিপত্য বিসত্দারের লৰ্যে পশ্চিমারা অধিগত দেশসমূহে পশ্চিমা শিৰিত শ্রেণী তৈরী করেছে, যারা ঔপনিবেশিক শিৰা এবং আধিপত্যের মহত্ত্ব প্রচার করে।
এমনকি উত্তর-ঔপনিবেশিক কালেও এরা উপনিবেশিক শক্তির প্রতিনিধি হয়ে কাজ করছে। তবে পশ্চিমাদের এ ডিসকোর্স খারিজ হতে শুরম্ন করেছে। উপনিবেশিত রাষ্ট্রের অনেক মহৎ চিনত্দাবিদ দাঁড়িয়েছেন এ ডিসকোর্সের বিরম্নদ্ধে। এই এককেন্দ্রিক প্রতারণাপূর্ণ উপস্থাপনকে বিরোধীতা করে যাচ্ছেন তাঁরা। তেমনি প্রাক্তন উপনিবেশসমূহে উপনিবেশবাদ-সৃষ্ট মন্দ প্রভাব ও বিকৃতির শোধনে তাঁরা তৎপর।
এ সংকলনে এইসব উত্তর-ঔপনিবেশিক চিন্তুকদের লেখাই সংকলিত হয়েছে, যারা পশ্চিমা আধিপত্যের বিরম্নদ্ধে দাঁড়িয়েছেন, বলেছেন নিজেদের সমাজ ও সংস্কৃতির কথা, অসত্দিত্বসংলগ্ন বাসত্দবতার কথা। বাংলাদেশে তথা বাংলা ভাষায় এই ধরনের উদ্যেগ এটাই প্রথম।
ফ্লাপ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।