আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডায়াবেটিসের সমাধান দিতে পারে পরীজান



আব্বার ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে বছরখানেক হয়েছে তখন। হঠাৎ করেই পাশের গ্রামে এক পরীজান বিবির উদয় হলো। তিনি ডায়াবেটিসের ঔষধ দেন। সপ্নে প্রাপ্ত এই ঔষধ খাওয়ার পরের দিনই ফলাফল পাওয়া যায়। ডায়াবেটিস সমূলে নিরাময়ের শতভাগ গ্যারান্টি।

হাদিয়া যে যা দিবেন তাই নেয়া হবে। মাত্র দুদিনের জন্য এই গ্রামে এসেছেন। আব্বা আধুনিক মানসিকতার লোক। এইসবে কোনদিন বিশ্বাস করেননি। কিন্তু ডায়াবেটিস নিয়ে এতই প্যাচালে পড়েছিলেন যে সপ্নে প্রাপ্ত ঔষধের ব্যাপারটা একবার চেষ্টা করে দেখতে চাইলেন।

অতএব পরের দিন ঐ গ্রামে গিয়ে হাজির হলেন আমাকে নিয়ে। প্রথমে আমাকে নিতে চাননি কিনতু পরে আমার জেদের কাছে হার মেনেছেন। প্রথমেই গিয়ে যেটা দেখলাম সেটা একটা বিশাল লম্বা লাইন। মহিলাদের আলাদা লাইন। সবাই কিছুনা কিছু নিয়ে এসেছেন ।

হাস মুরগী হতে শুরু করে লাউ কুমড়া পযন্ত। আমরা কিছুই নেইনি। আব্বা টাকা দেয়ার কথা ভাবছিলেন। অনেকক্ষণ পরে আমাদের ডাক আসলো ঘরের ভেতর। ঢুকেই দেখি যাকে পরীজান বলা হয়েছে তিনি দেখতে পেত্নীর চাইতেও খারাপ।

ঘরে আরৌ কিছু লোক আছে যারা লোকের দেয়া হাদিয়াগুলো বস্তায় ভরতে ব্যস্থ। আব্বা সালাম দিলেন পরীজানকে। পরীজান চোখ বন্ধ করে পান চিবুচ্ছিলেন। এইবার চোখ খুলে জিজ্ঞেস করলেন ডায়াবেটিস কয়দিনের। আব্বা বললেন: বছরখানেক ধরে।

পরীজান পাশে রাখা গামলা থেকে সবুজ গাছের রস নিয়ে শিশিতে ভরে এক শিশি দিলেন আব্বার হাতে। বললেন আজ রাতে ঘুমানোর আগে এক দাগ খেতে। এইভাবে প্রতিরাতে যতদিন চলে। শিশি নিয়ৈ একশ টাকার একটা নোট দিলেন আব্বা। এরপর বাসায় ফিরলাম।

রাতে আব্বা শিশির একদাগ খেয়ে ঘুমুলেন। ফলাফল পরৈর দিনই পাওয়া গেলো। শুরু হলো ডায়ারিয়া। ডায়ািেটস না কমে উলটা বেড়ে গেলো। ডাক্তার ডাকা হলো।

ডাক্তার আব্বাকে বকাঝকা করলেন। সকাল থেকে উনার চেম্বার ভতি লোক। সবারই একই সমস্যা পরীজান বিবির ঔষধ খেয়ে ডায়ারিয়া। আব্বার ঘনিষ্ঠজন বলে তিনি আমাদের বাসায় এসেছেন। এর পরেরদিন অনেকেই গিয়েছিলেন পরীজানকে পেত্নীজান বানাতে কিন্তু পরী উধাও ,ঘর খালি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।