বাজারে এল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের আধুনিক ইনসুলিন ট্রেসিবা। অন্য ইনসুলিনের চেয়ে ট্রেসিবার কার্যকারিতার সময় বেশি। ৮ থেকে ৪২ ঘণ্টার মধ্যে পুনরায় ডোজ নেওয়া যায়। অন্য ইনসুলিনের এই সময়সীমা আরও কম। বাজারে এই ইনসুলিন এনেছে ডেনমার্কভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি নভো নরডিস্ক।
গতকাল বৃহস্পতিবার র্যাডিসন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ট্রেসিবা বাজারজাতকরণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সফররত নভো নরডিস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যামিলা সিলভেস্ট, নভো নরডিস্ক বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজন কুমার, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির (বাডাস) সভাপতি এ কে আজাদ খান, বারডেমের অধ্যাপক ফারুক পাঠান, বারডেম একাডেমির পরিচালক জাফর আহমেদ লতিফ প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে সারা বিশ্বের ডায়াবেটিস পরিস্থিতি নিয়ে একটি উপস্থাপনা দেন নভো নরডিস্কের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সাইফুল।
পরে রাতে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে ট্রেসিবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশে ট্রেসিবা পরিবেশনার দায়িত্বে থাকবে ট্রান্সকম ডিস্ট্রিবিউশন।
খুচরা পর্যায়ে ট্রেসিবার দাম পড়বে দুই হাজার ৪৯০ টাকা। কলম আকৃতির একটি ট্রেসিবায় ৩০০ ইউনিট ইনসুলিন থাকে। প্রতিবারে গড়ে ১০ ইউনিট করে ৩০ বার ইনসুলিন নেওয়া সম্ভব। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের ১০টি দেশে নভো নরডিস্কের ট্রেসিবা পাওয়া যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডায়াবেটিস রয়েছে এবং আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, বাংলাদেশে এমন লোকের সংখ্যা প্রায় এক কোটি।
আর ডায়াবেটিস আছে জানার পরও একজন ব্যক্তির ইনসুলিন নেওয়া শুরু করতে গড়ে পাঁচ বছর সময় লাগে। আরও জানানো হয়, ট্রেসিবা ইনসুলিন রক্তে চিনির মাত্রা ৭-এ নামিয়ে আনতে সহায়তা করবে। আর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাইপোগ্লেসিমিয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। আর এই ট্রেসিবা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়।
সংবাদ সম্মেলনে এ কে আজাদ খান বলেন, ডায়াবেটিস সারা পৃথিবীতে মহামারি আকার ধারণ করেছে।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে জীবনযাত্রার দ্রুত পরিবর্তন হওয়ায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা বাড়ছে।
ক্যামিলা সিলভেস্ট বলেন, বিশ্বের ইনসুলিন বাজারে নভো নরডিস্কের ৫০ শতাংশ অংশীদারি রয়েছে। আর বাংলাদেশের ইনসুলিনের বাজারে নভো নরডিস্কের ৭০ শতাংশ অংশীদারি রয়েছে।
এই অঞ্চলের ২৮ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার ডায়াবেটিস পরিস্থিতি ভালো বলে মনে করেন জাফর আহমেদ লতিফ।
ফারুক পাঠান বলেন, ডায়াবেটিসের ইনসুলিন তৈরির সময় দুটি বিষয় বেশ গুরত্ব দেওয়া হয়।
এগুলো হলো, রোগীর যাতে হাইপোগ্লেসিমিয়া না হয় এবং ওজন যাতে না বাড়ে। আর ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসায় খরচের চেয়ে প্রতিরোধ করাই শ্রেয়।
রাজন কুমার জানান, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ডায়াবেটিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বেশ কিছু কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে নভো নরডিস্ক।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।