মানুষ আমি খুঁজছি মানুষ আরো মানুষ হতে
খাঁটি একটি রাজনৈতিক দল। মাইক্রোক্রেডিট তন্ত্র আর সোশ্যাল বিজনেস এর ধের্াঁয়ার ওপর গঠিত হচ্ছে বাংলাদেশী সাম্রাজ্যবাদী গ্রামীন লীগ। যার প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যিনি সাম্রাজ্যবাদী চেতনাধারী বাংলাদেশী এক প্রবাদ পুরুষ। অশান্তির তীর্থকেন্দ্র বাংলাদেশে শান্তি কায়েমের সর্বোচ্চ এ্যাওয়ার্ড জিতেছেন তিনি।
এবার খাওয়ার জন্যে মানুষের মুখে লাগিয়ে দেবেন মাইক্রোক্রেডিট চামচ আর হোগায় লাগাবেন সাম্রাজ্যবাদী কণ্ডেন্স মিল্কের ডিব্বা। যেখানে বাংলাদেশের দারিদ্র শান্তিতে খাবে আর হাগবে। বুশ-ব্লেয়ার কিংবা তারও আগে কিনটন-ব্লেয়ার দুধকলা দিয়ে মানুষ করে পাঠিয়েছেন তাকে। বাংলাদেশের গরীবের চকচকে ফটোগ্রাফের নিচে ড. ইউনূসের নিখাদ হাসি বিশ্ববাসীকে দিয়েছে শান্তির মন্ত্রণা। ফাঁটকে ভরে গরুর দুধ দোহনের মতো মহাজনী সিস্টেমে দারিদ্রের স্তন চুষে চুষে গ্রামীন নামের বহু প্রতিষ্ঠান গড়ার পর এবার এসেছে সোশাল বিজনেস নিয়ে।
ইতালির ডানোন যে দধি তৈরি করবে তা খাবে বাংলাদেশের গরীব রিঙ্াঅলার ছেলেরা যারা দধির মুখ চোখে দেখেনি কোনকালে। মাইক্রোক্রেডিট খুব খাচ্ছে পৃথিবীর রাঘব বোয়াল শাসকরা। বাংলাদেশে একসময় ড. ইউনূস ঢুকিয়েছেন 'টেলিনর'। প্রতি সেকেণ্ডে লাখ লাখ টাকা চলে যাচ্ছে নরওয়ে। যে নরওয়েতে গিয়ে তিনি আনলেন শান্তির নোবেল।
ভাগ্যিস! মাদার টেরিজা বেঁচে নেই, থাকলে শান্তির সংজ্ঞা পাল্টে দিতেন তিনিই। যাক গে, কথা বলা যাক রাজনীতি নিয়ে। ড. ইউনূস নামছেন রাজনীতিতে। সুন্দরী রূপসীর সিনেমায় নামার মতো ব্যাপার। বাংলাদেশে ফাট্টাফাট্টি হটকেক বিষয় এটি।
ফখরুদ্দীন সরকার যখন দেশে গণমাধ্যমে রাজনৈতিক প্রপাগাণ্ডা এক্কেবারে নিষিদ্ধ করে রেখেছেন, ঠিক এই সময় ফাঁকা মাঠে গোল দিচ্ছেন ড. ইউনূস। সাবাস! ড. ইউনূস সাবাস!!!!
বাংলাদেশী সাম্রাজ্যবাদী গ্রামীন লীগের রূপরেখা কি হতে পারে ? ড. ইউনূস থাকবেন চেয়ারপার্সন। কমিটিতে থাকবেন গ্রামীন পরিচালনা বোর্ডের সদস্য, গ্রামীনের আর্শিবাদপুষ্ট কয়েকজন অর্থনীতিবিদ, থাকবেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কয়েকজন অবস্থানচু্যত নেতা। মহানগর কমিটিতে থাকবেন, রাজনৈতিক প্রজ্ঞাহীন কতিপয় একাডেমিশিয়ান, জেলা কমিটি তৈরি হবে গ্রামীনের জেলা লেভেলের কর্মকর্তা এবং বিএনপি, আ'লীগ, জামাত, জাপার কতিপয় স্ট্যান্টবাজ নেতাদের নিয়ে। যারা বক্তব্যে বলবেন, 36 বছর পর আমরা বাংলাদেশে আনছি এক আলোকবর্তিকা।
আর ড. ইউনূস বঙ্গবন্ধু ও শহীদ জিয়ার মাজারে পরপর দেবেন ফুল। রাজনৈতিক সেমিনার শুরু করবেন খালেদাকে দিয়ে আর শেষ করবেন হাসিনাকে দিয়ে। তিনি বলবেন, বাঙালি ও বাংলাদেশী এই দুটিই আমাদের জাতীয়তাবাদ। বলবেন, মুক্ত বাজার অর্থনীতি আর বিশ্বায়ণের এই সময়ে বাংলাদেশে বসাতে হবে আমেরিকা আর ইউরোপের সব শিল্প কারখানা। আমাদের শ্রমশক্তিকে পাঠাতে হবে আমেরিকা-ইউরোপে।
11 কোটি গরীবের হাতে প্রতিদিনের রোজগার হিসেবে পঞ্চাশ থেকে এক'শ টাকা তুলে দিয়ে আমাদের সম্পদ ব্যবহারের অবাধ সুযোগ দেয়া হবে তাদের। এশিয়ান হাইওয়ে থেকে শুরু করে মার্কিনীদের বঙ্গোপসাগর ব্যাবহারের সুযোগ দেয়া হবে। বাংলাদেশে মার্কিনীদের সাম্রাজ্য স্থাপন সফলকাম করার জন্য ড. ইউনূস তার প্রথম স্ত্রী আর হিলারী কিনটনকে একসঙ্গে হাঁটাবেন বাংলাদেশের রাজপথে। আমরা পুলকিত হবো। বলবো, হিলারি ইউসূসের বন্ধু, আমাদের রাষ্ট্রনায়কের বন্ধু।
কি গর্বের কথা !! হিলারির নামে উৎপাদিত হবে পেট্রোলিয়াম জেলি, গ্রীজ। ইউএসএ চিহ্নিত টুপি পরে হুজুর পড়াবে নামাজ। আমরা একদিন আমেরিকার ইরান আক্রমণের প্রধান সহায়ক ঘাঁটিতে পরিণত হবো।
ড. ইউনূসের রাজনীতিতে নামার প েপ্রথম সাফাই গেয়েছেন ড. কামাল হোসেন। যিনি জাতিসংঘের বিশেষ এসাইনমেন্টে দেশে দেশে সংবিধান মেরামতের কাজ করে বেড়ান।
শান্তিচুক্তিতে কাটাছেড়া করেন। যিনি বাংলাদেশে একটি মেরুদণ্ডহীন জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল গঠন করে মাসে চারবার উড়াল দেন ব্রিটেন আমেরিকায়। তিনি ছাড়া কে বুঝবে ড. ইউনূসের কেরামতি!
নোবেলের পর এবার বছরের সেরা বাঙালি। মুম্বাইও অপো করছে সেরকমই একটি সেরা...কোন উপাধি দেয়ার জন্য। ড. ইউনূসও অপো করে আছেন।
এখন আমেরিকা-ভারত, আমেরিকা-জাপান, আমেরিকা-চীন সম্পর্ক উন্নয়নের মুখপাত্র ড. ইউনূস। জাপানের এসাইনমেন্ট ইতোমধ্যে কাভার করেছেন। এবার অবস্থান করছেন ভারতে। ভারত-আমেরিকার বন্ধুত্ব টেকসই করতে এবার সবচেয়ে শক্তিমাণ তিনি। নোবেল জেতা অর্থনীতিবিদ হয়ে কাজ করছেন ইন্টারন্যাশনাল পলিটিঙ্রে।
পলি-ট্রিঙ্ না করলে বিষয়টি ভালো জমছে না, তাই আসছে বাংলাদেশী সাম্রাজ্যবাদী গ্রামীন লীগ। যোগ দিন দলে দলে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।