কোহিনূর বা আলোর পর্বত নামে খ্যাত হীরার ইতিহাস অতি দীর্ঘ এবং বর্ণাঢ্য। এর ইতিহাসের সূচনা ১৩০৪ সালে। প্রাচীনকালের সুন্দরী কুমারীর মতো এটিও বিভিন্ন রাজা বাদশাহ ও শাসকের হাত ঘুরে এখন স্থান পেয়েছে টাওয়ার অফ লন্ডনে। ষোড়শ শতাব্দীতে কোহিনূর মালওয়ার রাজাদের অধিকারে ছিল এবং পরবর্তীকালে তা মোগল সম্রাটদের হাতে আসে এবং সম্রাট শাহজাহান নির্মিত ময়ুর সিংহাসনের শোভা বর্ধন করে। মোগল সাম্রাজ্য যখন বিক্ষিপ্ত ও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে তখন নাদির শাহকে আমন্ত্রণ জানানো হয় মুসলিম শাসনের গৌরবোজ্জ্বল দিন ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করতে।
কিন্তু তাকে প্রতিশ্রুত অর্থ না দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেয়া হয়। কৌশলে তিনি মোগলদের কাছ থেকে কোহিনূর উদ্ধার করে নিয়ে যান ইরানে। কোহিনূর নামটিও নাদির শাহের দেয়া। নাদির শাহ নিহত হবার পর কোহিনূর আসে আফগানিস্তান সম্রাট হুমায়ুনের পুত্রের কাছে। আফগানিস্তান থেকে মহারাজা রণজিত্ সিং সেটি গ্রহণ করেন এবং শেষ পর্যন্ত রণজিত্ সিংএর পুত্র সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮৫০ সালে তুলে দেন রাণী ভিক্টোরিয়ার হাতে।
১০৮.৯৩ ক্যারট ওজনবিশিষ্ট কোহিনূর প্রথমে রাণী ভিক্টোরিয়া ব্যবহার করতেন তার হাতে। এরপর সেটি স্থান পায় বৃটিশ মুকূটে। উপমহাদেশের এক সময়ের অহংকার এখন বৃটেনে। কোহিনূরের মালিকানা নিয়ে আশির দশকেও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। ইরান, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, এমনকি বাংলাদেশ পর্যন্ত এর সত্ত্ব দাবি করেছিল।
তবে বৃটিশ সরকার সব দাবিই প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এসকল দাবী অযৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করেছে।
ডায়মন্ড রিং দিয়ে আপনার প্রিয় মানুষটিকে প্রস্তাব দিন। সফল হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ৯০ ভাগ। ডায়মন্ড নেকলেস ডায়মন্ডের কানের দুল যে কোন অরনামেন্ট হোক রমনীদের প্রথম পছন্দ হলো ডাযমন্ড। আর ভালবাসার উপমায়ও এটি ব্যবহৃত হয়।
আসলে ডায়মন্ড বহুরূপী কার্বনের একটা রূপ। গ্রফাইট কুচকুচে কালো হলেও ডায়মন্ড দারুণ চকচকে স্বচ্ছ । প্রকৃতি প্রদত্ত বস্তুর মধ্যে হীরক সবচেয়ে শক্ত। মোহোর স্কেলে এটির মান সর্বোচ্চ ১০। কাঠিন্য এত বেশি হওয়ার কারণে সহজেই কাচ কেটে ফেলা যায় ডয়মন্ড ছুরি ব্যবহার করে চকু দিয়ে যেভাবে কাচ কাটা যায় তেমন ভাবে।
খনিজবিদ্যায় বহুরূপী কার্বনের মধ্যম মানের স্থায়ী পদার্থ হলো হীরক। ডায়মন্ড শব্দের উৎপত্তি গ্রীক শব্দ এডামাস থেকে। হীরক গ্রাফাইটেরচেয়ে তুলনামূলক কম স্থায়ী। হীরক বহুল পরিচিত তার পরমোৎকৃষ্ট ভৌত গুণাবলীর জন্য। এগুলোর মূল কারণ এর আনবিক গঠনে শক্তিশালী সমযোজী বন্ধন।
বিশেষ করে বলা যায় প্রকৃতিতে প্রাপ্য সকল বস্তুর মধ্যে সবচেয়ে শক্ত ও তাপবাহী পদার্থ হলো ডায়মন্ড। এজন্য কাটিং ও পলিশিং শিল্পে ডায়মন্ডের উপযোগীতা নিশ্চিৎ হয়। এবং গবেষণার কাজে এটি ব্যবহৃত হীরক ছুরি এবং হীরক এনভিলকোষ হিসেবে।
বর্ণ
বিবিধ বর্ণের হীরক পাওয়া যায়। এটি চরম ঘনত্ববিশিষ্ট হওয়ার কারণে খুব কম সংখ্যক পদার্থ যেমন বোরন এবং নাইট্রোজেন দ্বারা দূষিত হতে পারে।
প্রকৃতিগতভাবে সকল বিশুদ্ধ হূরক বর্ণহীন। অল্প পরিমান অন্য পদার্থেরও উপস্থিতিতে হীরক নানা ধরণের বর্ণ ধারণ করে।
নীল,হলুদ,বাদামী,সবুজ,রক্তিম,গোলাপী,কমলা বা লাল বর্ণের হয়ে থাকে। চমৎকার আলোক সংবেদী বৈশিষ্ট্য, যান্ত্রিক বৈশিষ্ট এবং অপ্রতিদন্ডি ভাবে শক্ত এবং টেকসই হওয়া হীরককে করে তুলেছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও কাংক্ষিত রত্ন।
উৎপত্তি ও সময়
প্রায় সব হিরকই গঠিত হয় উচ্চ তাপমাত্রায় এবং চাপে ১৪০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার গভীরতায়।
হীরকের মূল গঠন উপাদান কার্বনের মূল উৎস হলো কার্বন সমৃদ্ধ খনিজ পদার্থ গুলো। কার্বনথেকে একটা হীরকের জন্ম হতে সময় লাগে দীর্ঘদিন। প্রায় ১ বিলিয়নথেকে ৩.৩ বিলিয়ন বছর। পৃথিবীর বয়সই যেখানে প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন বছর। তার মানে পৃথিবীর বয়সের এক তৃতীয়াংশ থেকে তিন চতুর্থাংশ পর্যন্ত।
আগ্নেয় গিরি আগ্ন্যুপাতের সময় জ্বালামুখ দিয়ে গলিত লাভা বা ম্যাগমার সঙ্গে হীরক বেরিয়ে আসে। এই লাভাগুলো কঠিন হয়েযে আগ্নেয়শিলা গঠিত হয় তাকে কিম্বারলাইট এবং ল্যাম্পোরাইট বলে। হীরক কৃত্রিমভাবেও তৈরী করা যায়। কৃত্রিম উপায়ে উচ্ছ তাপমাত্রা ও চাপ সৃষ্টি কওে কৃত্রিম ডয়মন্ড তৈরি করা হয়। রাসায়সিক বাস্প ঘণিকরন করে বিকল্প হীরক তৈরী করা হয়।
বেশ কিছু ন-হীরক পদার্থ যেমন ননকিউবিক জিরকোনিয়াম এবং সিলিকন কার্বাইড; এগুলোকে নকল হীরক বলে। নকল হীরক থেকে হীরককে পৃথক করার জন্য বেশ কিছু টেকনিক বা কৌশল উদ্ভাবিত হয়েছে।
ইতিহাস
ডায়মন্ড শব্দের উৎপত্তি গ্রীক শব্দ এডামাসথেকে যার অর্থ যথার্থ,অপরিবর্তনীয় ,অভঙ্গুর,অমলিন,ধারণা করা হয় হীরক সর্বপ্রথম ,শনাক্ত করা হয় এবং খনিথেকে উত্তোলন করা হয় ভারত উপমহাদেশে। পেনার,কৃষ্ণ,গোদাভেরী প্রমুখ নদীর তীরবর্তী এলাকায়যেখানে পাললিক মজুদ জমা হয়। ভারত মহাদেশে এটি পরিচিত কমপক্ষে ৩০০০ বছর পূর্বে ।
ধারণা করা হয় এরচেয়েও আগে ৬০০০বছর পূর্বে।
প্রাচীন ভারতে হীরক মহামূল্য রত্ন হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এগুলি তাআ প্রতিমা হিসেবে উপাসনা করতো। ধাতুতে খোদাই করে হীরকখচিত করা হত। প্রাচীন মানব ইতিহাসে এগুলো সুশোভিত মুকুট, প্রতিমা, অলংকার হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
উনিশ শতকে এর ব্যবহার ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। কারণ এ সময়টাতে কাটিং এবং পলিশিং প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়ন। সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটে দারুণ ভাবে। আর প্রচারণা ব্যবস্থার উন্নয়নে সবার কাছে এ সম্পর্কে সম্যক ধারণাও জন্মে।
১৭৭২ সালে ল্যাভয়সিয়ে লেন্সের সাহায্যে শুধুমাত্র অক্সিজেনের উপস্থিতিতে সূর্যের আলোক রশ্মী গুলো কেন্দ্রিভূত করে হীরককে দাহ করে যে গ্যাসীয় পদার্থ সেগুলো আর কিছুই নয় কার্বন যাই অক্সাইড।
এ থেকে প্রমানিত হয় হীরক এর গঠন উপাদান শুধুমাত্র কার্বন। পরবর্তীতে বিজ্ঞানী স্মিথসন ১৭৯৭ সালে সমান পরিমান হীরক এবং গ্রাফাইটকে দাহ করে সমান পরিমান কার্বন-ডাই-অক্সাইড পান। ফলে এটি প্রমানিত হয় গ্রাফাইট আর হীরক বহুরুপী কার্বনের দুই রূপ ।
প্রাপ্তিস্থান
প্রতিবছর প্রায় ১,৩০,০০০,০০০ ক্যারেট (২৬০০০কেজি) হীরক উত্তোলন করা হয়। যার মূল্য প্রায় ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সিনথেটিক হীরক উৎপাদনের পরিমান ১০০,০০০ (এক লক্ষ)কেজি।
গড়পরতা ৪৯% ভাগ হীরক উত্তোলিত হয় মধ্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতে। এছাড়া উল্লেখযোগ্য পরিমান হীরক খনি রয়েছে কানাডা , ভারত, রাশিয়া , ব্রাজিল এবং অষ্ট্রেলিয়াতে। কিম্বারলাইট এবং ল্যাম্পোরাইট ভলকানিক পাইপ বা সুরঙ্গথেকে সাধারণত হীরক উত্তোলন করা হয়।
দক্ষিণভারতে পেনার, কৃষ্ণ, গোদাভেরী নদীর তীরবর্তী পাললিক মজুদে হীরক পাওয়ার ইতিহাস অনেক প্রাচিন।
নবম শতক থেকে অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত ভারতই ছিল প্রধান হিরক উৎপাদনকারী দেশ। প্রথম অভারতীয় হীরক উত্তোলন করা হয় ১৭২৫ সালে। বর্তমানে ভারতের প্রধান হিরক উত্তোলনকারী জায়গাটি হলো পান্না।
১৮০৭ সালে দক্ষিন আফ্রিকায় প্রথম প্রাথমিক মজুদ বা আগ্নেয় শিলা থেকে হীরক নিষ্কাশন করা হয়।
এখন পর্যন্ত সর্বমোট প্রায় ৪,৫০০,০০০,০০০ ক্যারেট বা ৯০০,০০০কেজি হীরক উত্তোলন করা হয়েছে।
যার শতকরা ২০ ভাগ হীরক উত্তোলন করা হয়েছে বিগত পাঁচ বছরে। বিগত ১০ বছরে নতুন ৯টি নতুন খনি উৎপাদনে যায়,আরো নতুন ৪টি উৎপাদনের পথে। এই খনি গুলি কানাডা,জিম্বাবুয়ে এঙ্গোলা এবং রাশিয়ায় অবস্থিত।
অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে লাভজনক হীরক খনি রয়েছে রাশিয়া,বতসোয়ানা ,অষ্ট্রেলিয়া এবং কঙ্গোতে। ২০০৫ সালে রাশিয়া মোট উৎপদিত হীরকের পাচ ভাগের একভাগ উত্তোলন করে।
ব্যবহার
হীরকের সর্বাধিক ব্যবহার আভরণ বা অলংকার হিসেবে। বিংশ শতাব্দীতে মনিকবিদ্যার প্রভূত উন্নয়নসাধিত হওয়ায় হীরক এবং অন্যান্য রত্নের গ্রেডিং ব্যবস্থা তথা মান নির্ধারণ করা শুরু হয়। মান অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণের সুযোগ সৃষ্টি হয়। হীরকের ক্ষেত্রে চার ক্যারেক্টারকে ফোর সি বলা হয় ক্যারেট ,কাট,কালার /বর্ণ এবং ক্লিয়ারিটি বা স্বচ্ছতা। একটি বিশাল আকৃতির বিশুদ্ধ হীরককে বলা হয় প্যারাগন।
প্যারাগণের বাংলা অর্থ দাঁড়ায় আপাত সমপূর্ণ সুন্দর বা পরমোৎকর্ষের মূর্ত রূপ।
এযাবৎকালের বৃহত্তম হীরক তথা প্যারাগন। উজ্জল নীল বর্ণের। ৭.৫৯ ক্যারেট । এটির মূল্য ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
কোহিনূর কাহন
কোহিনূর ১০৬ ক্যারেটের একটি হীরক যেটি এক সময় বিশ্বের বৃহত্তম হীরক ছিল। অতীতে ভারতবর্ষে বেশ কয়েকজন শাসকের হাত ঘুরেছে এটি। হীরকটি এখন বৃটিশ রাজ পরিবারের হাতে। এবংশোভা পায় বৃটেনের রানী এলিজাবেদের মুকুটে।
জনশ্রুতি আছে এটি পাঁচহাজার বছর পুরোণো একটি হীরক খন্ড এবং সংস্কৃতিক পন্ডিতগণের মতে এটি শ্যামান্তাকা রতন হিসেবে পরিগণিত।
তবে ইতিহাসে এর প্রথম দালিলিক উপস্থিতি ১৫২৬ সালে যখন মুঘল সম্রাট বাবর ভারত জয় করেন। তিনি উল্লেখ করেন ত্রয়োদশ শতকে মানিক্যটি ছিল রাজা গোয়ালিকরের।
এটি তিক্ত যুদ্ধ বিগ্রহের মাধ্যমে ভারত ও পারসিয়ান শাসকদের বেশ কয়েকজনের হাত বদল হয়।
কোহিনূর মুঘল রাজাদের ময়ূর সিংহাসনে শোভা পেত। কথিত আছে সম্রাট শাহজাহানকে তার পুত্র এমন ভাবে আটকে রেখেছিলযে শুধু মাত্র কোহিনূরের প্রতিফলিত আলোকেই তিনি তাজমহল দেখতে পেতেন!
পরবর্তীতে আওরঙ্গজেব এটি নিয়ে আসেন বাদশাহী মসজিদে সেখান থেকে নাদির শাহ ১৭৩৯ সালে এটি লুণ্ঠন কওে নিয়ে যান পারস্যতে।
নাদীর শাহর মৃত্যুর পর এটি পুনরায় ভারত বর্ষে ফিরিয়ে আনা হয়। আফগান বাদশাহর সিংহাসন পুনরোদ্ধারে সহায়তা করার শর্তে শাহ সুজা এটি পুণরায় ভারতবর্ষে নিয়ে আসেন।
বৃটিশরা এটি করায়ত্ত করেন পাঞ্জাব জয় করার পর ১৮৪৯ সালে। এটি রানী ভিক্টোরিয়ার হস্তগত হয় ১৮৫১ সালে। সেই সময়ে এটি ছিল ১৮৬ ক্যারেট ছিল এর পূর্বে হীরকটি কাটার কোন ইতিহাস পাওয়া যায় না।
আরো ২০০০টি হীরকের সঙ্গে এটিকে রানীর মুকুটে সুশোভিত করা হয়। বৃটিশদের করায়ত্ত হওয়ার পর এটি পর্যায় ক্রমে রানী ভিক্টোরিয়া, রানী আলেক জানড্রা, রানী মেরী এবং রানী এলিজাবেদের মাথার মুকুটে শোভা পায়। এটি এখন লন্ডন টাওয়ার হলে শোভা পাচ্ছে।
কোহিনূর সংক্রান্ত মজার তথ্যঃ-
কোহিনূর পারস্য শব্দ। এটির অর্থ দাঁড়ায় আলোর পর্বত।
ধারণা করা হয় শব্দটি প্রথম নাদিরশাহ ব্যবহার করেন। এর পূর্বে এটিকে কোহিনূর বলা হত না।
এমন অভিযোগ আছে যে পুরুষরা এটি ব্যবহার করেন তার জন্য এটি অভিশাপ বহন করে। এ কারণে রানী ভিক্টোরিয়া থেকে শুধু মাত্র রাজপরিবারের নারী সদস্যরাই এটি ব্যবহার করেন।
তবে দরিয়া ই নূর যেটি বর্তমানে ইরানে আছে সেটি কোহিনূরের প্রায় দ্বিগুণ।
এটি ১৮২ ক্যারেটের।
হীরকটি কাটার ইতিহাস
বৃটিশ রাজপরিবারে হস্তগত হওয়ার পূর্বে এটি কাটার বা ছোট করার কোন ইতিহাস পাওয়া যায় না। যখন এটি রানী ভিক্টোরিয়ার হাতে পরে এটি ছিল তখন ১৮৬ ক্যারেট বা ৩৭ গ্রাম। প্রিন্স এলবার্ট এটি কাটার জন্য একজন বিখ্যাত হীরক কাটা বিশেষজ্ঞ মি. ক্যান্টর এর কাছে নিয়ে যান। সুদীর্ঘ ৩৮ দিন সময়ে তিনি এটিকে বর্তমান রুপদেন।
এটি এখন ডিম্বাকার এবং ১০৮.৯৩ ক্যারেটের। প্রিন্স এলবার্ট এটির কাটিং এ তৃপ্ত হতে পারেননি কারণ এটি আর আগের মতো চকচক করে না। কোহিনূর বা আলোর পর্বত নামে খ্যাত হীরার ইতিহাস অতি দীর্ঘ এবং বর্ণাঢ্য। এর ইতিহাসের সূচনা ১৩০৪ সালে। প্রাচীনকালের সুন্দরী কুমারীর মতো এটিও বিভিন্ন রাজা বাদশাহ ও শাসকের হাত ঘুরে এখন স্থান পেয়েছে টাওয়ার অফ লন্ডনে।
ষোড়শ শতাব্দীতে কোহিনূর মালওয়ার রাজাদের অধিকারে ছিল এবং পরবর্তীকালে তা মোগল সম্রাটদের হাতে আসে এবং সম্রাট শাহজাহান নির্মিত ময়ুর সিংহাসনের শোভা বর্ধন করে। মোগল সাম্রাজ্য যখন বিক্ষিপ্ত ও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে তখন নাদির শাহকে আমন্ত্রণ জানানো হয় মুসলিম শাসনের গৌরবোজ্জ্বল দিন ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করতে। কিন্তু তাকে প্রতিশ্রুত অর্থ না দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেয়া হয়। কৌশলে তিনি মোগলদের কাছ থেকে কোহিনূর উদ্ধার করে নিয়ে যান ইরানে। কোহিনূর নামটিও নাদির শাহের দেয়া।
নাদির শাহ নিহত হবার পর কোহিনূর আসে আফগানিস্তান সম্রাট হুমায়ুনের পুত্রের কাছে। আফগানিস্তান থেকে মহারাজা রণজিত্ সিং সেটি গ্রহণ করেন এবং শেষ পর্যন্ত রণজিত্ সিংএর পুত্র সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮৫০ সালে তুলে দেন রাণী ভিক্টোরিয়ার হাতে। ১০৮.৯৩ ক্যারট ওজনবিশিষ্ট কোহিনূর প্রথমে রাণী ভিক্টোরিয়া ব্যবহার করতেন তার হাতে। এরপর সেটি স্থান পায় বৃটিশ মুকূটে। উপমহাদেশের এক সময়ের অহংকার এখন বৃটেনে।
কোহিনূরের মালিকানা নিয়ে আশির দশকেও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। ইরান, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, এমনকি বাংলাদেশ পর্যন্ত এর সত্ত্ব দাবি করেছিল। তবে বৃটিশ সরকার সব দাবিই প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এসকল দাবী অযৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করেছে।
ডায়মন্ড রিং দিয়ে আপনার প্রিয় মানুষটিকে প্রস্তাব দিন। সফল হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ৯০ ভাগ।
ডায়মন্ড নেকলেস ডায়মন্ডের কানের দুল যে কোন অরনামেন্ট হোক রমনীদের প্রথম পছন্দ হলো ডাযমন্ড। আর ভালবাসার উপমায়ও এটি ব্যবহৃত হয়।
আসলে ডায়মন্ড বহুরূপী কার্বনের একটা রূপ। গ্রফাইট কুচকুচে কালো হলেও ডায়মন্ড দারুণ চকচকে স্বচ্ছ । প্রকৃতি প্রদত্ত বস্তুর মধ্যে হীরক সবচেয়ে শক্ত।
মোহোর স্কেলে এটির মান সর্বোচ্চ ১০। কাঠিন্য এত বেশি হওয়ার কারণে সহজেই কাচ কেটে ফেলা যায় ডয়মন্ড ছুরি ব্যবহার করে চকু দিয়ে যেভাবে কাচ কাটা যায় তেমন ভাবে।
খনিজবিদ্যায় বহুরূপী কার্বনের মধ্যম মানের স্থায়ী পদার্থ হলো হীরক। ডায়মন্ড শব্দের উৎপত্তি গ্রীক শব্দ এডামাস থেকে। হীরক গ্রাফাইটেরচেয়ে তুলনামূলক কম স্থায়ী।
হীরক বহুল পরিচিত তার পরমোৎকৃষ্ট ভৌত গুণাবলীর জন্য। এগুলোর মূল কারণ এর আনবিক গঠনে শক্তিশালী সমযোজী বন্ধন। বিশেষ করে বলা যায় প্রকৃতিতে প্রাপ্য সকল বস্তুর মধ্যে সবচেয়ে শক্ত ও তাপবাহী পদার্থ হলো ডায়মন্ড। এজন্য কাটিং ও পলিশিং শিল্পে ডায়মন্ডের উপযোগীতা নিশ্চিৎ হয়। এবং গবেষণার কাজে এটি ব্যবহৃত হীরক ছুরি এবং হীরক এনভিলকোষ হিসেবে।
বর্ণ
বিবিধ বর্ণের হীরক পাওয়া যায়। এটি চরম ঘনত্ববিশিষ্ট হওয়ার কারণে খুব কম সংখ্যক পদার্থ যেমন বোরন এবং নাইট্রোজেন দ্বারা দূষিত হতে পারে।
প্রকৃতিগতভাবে সকল বিশুদ্ধ হূরক বর্ণহীন। অল্প পরিমান অন্য পদার্থেরও উপস্থিতিতে হীরক নানা ধরণের বর্ণ ধারণ করে।
নীল,হলুদ,বাদামী,সবুজ,রক্তিম,গোলাপী,কমলা বা লাল বর্ণের হয়ে থাকে।
চমৎকার আলোক সংবেদী বৈশিষ্ট্য, যান্ত্রিক বৈশিষ্ট এবং অপ্রতিদন্ডি ভাবে শক্ত এবং টেকসই হওয়া হীরককে করে তুলেছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও কাংক্ষিত রত্ন।
উৎপত্তি ও সময়
প্রায় সব হিরকই গঠিত হয় উচ্চ তাপমাত্রায় এবং চাপে ১৪০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার গভীরতায়। হীরকের মূল গঠন উপাদান কার্বনের মূল উৎস হলো কার্বন সমৃদ্ধ খনিজ পদার্থ গুলো। কার্বনথেকে একটা হীরকের জন্ম হতে সময় লাগে দীর্ঘদিন। প্রায় ১ বিলিয়নথেকে ৩.৩ বিলিয়ন বছর।
পৃথিবীর বয়সই যেখানে প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন বছর। তার মানে পৃথিবীর বয়সের এক তৃতীয়াংশ থেকে তিন চতুর্থাংশ পর্যন্ত।
আগ্নেয় গিরি আগ্ন্যুপাতের সময় জ্বালামুখ দিয়ে গলিত লাভা বা ম্যাগমার সঙ্গে হীরক বেরিয়ে আসে। এই লাভাগুলো কঠিন হয়েযে আগ্নেয়শিলা গঠিত হয় তাকে কিম্বারলাইট এবং ল্যাম্পোরাইট বলে। হীরক কৃত্রিমভাবেও তৈরী করা যায়।
কৃত্রিম উপায়ে উচ্ছ তাপমাত্রা ও চাপ সৃষ্টি কওে কৃত্রিম ডয়মন্ড তৈরি করা হয়। রাসায়সিক বাস্প ঘণিকরন করে বিকল্প হীরক তৈরী করা হয়। বেশ কিছু ন-হীরক পদার্থ যেমন ননকিউবিক জিরকোনিয়াম এবং সিলিকন কার্বাইড; এগুলোকে নকল হীরক বলে। নকল হীরক থেকে হীরককে পৃথক করার জন্য বেশ কিছু টেকনিক বা কৌশল উদ্ভাবিত হয়েছে।
ইতিহাস
ডায়মন্ড শব্দের উৎপত্তি গ্রীক শব্দ এডামাসথেকে যার অর্থ যথার্থ,অপরিবর্তনীয় ,অভঙ্গুর,অমলিন,ধারণা করা হয় হীরক সর্বপ্রথম ,শনাক্ত করা হয় এবং খনিথেকে উত্তোলন করা হয় ভারত উপমহাদেশে।
পেনার,কৃষ্ণ,গোদাভেরী প্রমুখ নদীর তীরবর্তী এলাকায়যেখানে পাললিক মজুদ জমা হয়। ভারত মহাদেশে এটি পরিচিত কমপক্ষে ৩০০০ বছর পূর্বে । ধারণা করা হয় এরচেয়েও আগে ৬০০০বছর পূর্বে।
প্রাচীন ভারতে হীরক মহামূল্য রত্ন হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এগুলি তাআ প্রতিমা হিসেবে উপাসনা করতো।
ধাতুতে খোদাই করে হীরকখচিত করা হত। প্রাচীন মানব ইতিহাসে এগুলো সুশোভিত মুকুট, প্রতিমা, অলংকার হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
উনিশ শতকে এর ব্যবহার ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। কারণ এ সময়টাতে কাটিং এবং পলিশিং প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়ন। সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটে দারুণ ভাবে।
আর প্রচারণা ব্যবস্থার উন্নয়নে সবার কাছে এ সম্পর্কে সম্যক ধারণাও জন্মে।
১৭৭২ সালে ল্যাভয়সিয়ে লেন্সের সাহায্যে শুধুমাত্র অক্সিজেনের উপস্থিতিতে সূর্যের আলোক রশ্মী গুলো কেন্দ্রিভূত করে হীরককে দাহ করে যে গ্যাসীয় পদার্থ সেগুলো আর কিছুই নয় কার্বন যাই অক্সাইড। এ থেকে প্রমানিত হয় হীরক এর গঠন উপাদান শুধুমাত্র কার্বন। পরবর্তীতে বিজ্ঞানী স্মিথসন ১৭৯৭ সালে সমান পরিমান হীরক এবং গ্রাফাইটকে দাহ করে সমান পরিমান কার্বন-ডাই-অক্সাইড পান। ফলে এটি প্রমানিত হয় গ্রাফাইট আর হীরক বহুরুপী কার্বনের দুই রূপ ।
প্রাপ্তিস্থান
প্রতিবছর প্রায় ১,৩০,০০০,০০০ ক্যারেট (২৬০০০কেজি) হীরক উত্তোলন করা হয়। যার মূল্য প্রায় ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সিনথেটিক হীরক উৎপাদনের পরিমান ১০০,০০০ (এক লক্ষ)কেজি।
গড়পরতা ৪৯% ভাগ হীরক উত্তোলিত হয় মধ্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতে। এছাড়া উল্লেখযোগ্য পরিমান হীরক খনি রয়েছে কানাডা , ভারত, রাশিয়া , ব্রাজিল এবং অষ্ট্রেলিয়াতে।
কিম্বারলাইট এবং ল্যাম্পোরাইট ভলকানিক পাইপ বা সুরঙ্গথেকে সাধারণত হীরক উত্তোলন করা হয়।
দক্ষিণভারতে পেনার, কৃষ্ণ, গোদাভেরী নদীর তীরবর্তী পাললিক মজুদে হীরক পাওয়ার ইতিহাস অনেক প্রাচিন। নবম শতক থেকে অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত ভারতই ছিল প্রধান হিরক উৎপাদনকারী দেশ। প্রথম অভারতীয় হীরক উত্তোলন করা হয় ১৭২৫ সালে। বর্তমানে ভারতের প্রধান হিরক উত্তোলনকারী জায়গাটি হলো পান্না।
১৮০৭ সালে দক্ষিন আফ্রিকায় প্রথম প্রাথমিক মজুদ বা আগ্নেয় শিলা থেকে হীরক নিষ্কাশন করা হয়।
এখন পর্যন্ত সর্বমোট প্রায় ৪,৫০০,০০০,০০০ ক্যারেট বা ৯০০,০০০কেজি হীরক উত্তোলন করা হয়েছে। যার শতকরা ২০ ভাগ হীরক উত্তোলন করা হয়েছে বিগত পাঁচ বছরে। বিগত ১০ বছরে নতুন ৯টি নতুন খনি উৎপাদনে যায়,আরো নতুন ৪টি উৎপাদনের পথে। এই খনি গুলি কানাডা,জিম্বাবুয়ে এঙ্গোলা এবং রাশিয়ায় অবস্থিত।
অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে লাভজনক হীরক খনি রয়েছে রাশিয়া,বতসোয়ানা ,অষ্ট্রেলিয়া এবং কঙ্গোতে। ২০০৫ সালে রাশিয়া মোট উৎপদিত হীরকের পাচ ভাগের একভাগ উত্তোলন করে।
ব্যবহার
হীরকের সর্বাধিক ব্যবহার আভরণ বা অলংকার হিসেবে। বিংশ শতাব্দীতে মনিকবিদ্যার প্রভূত উন্নয়নসাধিত হওয়ায় হীরক এবং অন্যান্য রত্নের গ্রেডিং ব্যবস্থা তথা মান নির্ধারণ করা শুরু হয়। মান অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
হীরকের ক্ষেত্রে চার ক্যারেক্টারকে ফোর সি বলা হয় ক্যারেট ,কাট,কালার /বর্ণ এবং ক্লিয়ারিটি বা স্বচ্ছতা। একটি বিশাল আকৃতির বিশুদ্ধ হীরককে বলা হয় প্যারাগন। প্যারাগণের বাংলা অর্থ দাঁড়ায় আপাত সমপূর্ণ সুন্দর বা পরমোৎকর্ষের মূর্ত রূপ।
এযাবৎকালের বৃহত্তম হীরক তথা প্যারাগন। উজ্জল নীল বর্ণের।
৭.৫৯ ক্যারেট । এটির মূল্য ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
কোহিনূর কাহন
কোহিনূর ১০৬ ক্যারেটের একটি হীরক যেটি এক সময় বিশ্বের বৃহত্তম হীরক ছিল। অতীতে ভারতবর্ষে বেশ কয়েকজন শাসকের হাত ঘুরেছে এটি। হীরকটি এখন বৃটিশ রাজ পরিবারের হাতে।
এবংশোভা পায় বৃটেনের রানী এলিজাবেদের মুকুটে।
জনশ্রুতি আছে এটি পাঁচহাজার বছর পুরোণো একটি হীরক খন্ড এবং সংস্কৃতিক পন্ডিতগণের মতে এটি শ্যামান্তাকা রতন হিসেবে পরিগণিত।
তবে ইতিহাসে এর প্রথম দালিলিক উপস্থিতি ১৫২৬ সালে যখন মুঘল সম্রাট বাবর ভারত জয় করেন। তিনি উল্লেখ করেন ত্রয়োদশ শতকে মানিক্যটি ছিল রাজা গোয়ালিকরের।
এটি তিক্ত যুদ্ধ বিগ্রহের মাধ্যমে ভারত ও পারসিয়ান শাসকদের বেশ কয়েকজনের হাত বদল হয়।
কোহিনূর মুঘল রাজাদের ময়ূর সিংহাসনে শোভা পেত। কথিত আছে সম্রাট শাহজাহানকে তার পুত্র এমন ভাবে আটকে রেখেছিলযে শুধু মাত্র কোহিনূরের প্রতিফলিত আলোকেই তিনি তাজমহল দেখতে পেতেন!
পরবর্তীতে আওরঙ্গজেব এটি নিয়ে আসেন বাদশাহী মসজিদে সেখান থেকে নাদির শাহ ১৭৩৯ সালে এটি লুণ্ঠন কওে নিয়ে যান পারস্যতে।
নাদীর শাহর মৃত্যুর পর এটি পুনরায় ভারত বর্ষে ফিরিয়ে আনা হয়। আফগান বাদশাহর সিংহাসন পুনরোদ্ধারে সহায়তা করার শর্তে শাহ সুজা এটি পুণরায় ভারতবর্ষে নিয়ে আসেন।
বৃটিশরা এটি করায়ত্ত করেন পাঞ্জাব জয় করার পর ১৮৪৯ সালে।
এটি রানী ভিক্টোরিয়ার হস্তগত হয় ১৮৫১ সালে। সেই সময়ে এটি ছিল ১৮৬ ক্যারেট ছিল এর পূর্বে হীরকটি কাটার কোন ইতিহাস পাওয়া যায় না।
আরো ২০০০টি হীরকের সঙ্গে এটিকে রানীর মুকুটে সুশোভিত করা হয়। বৃটিশদের করায়ত্ত হওয়ার পর এটি পর্যায় ক্রমে রানী ভিক্টোরিয়া, রানী আলেক জানড্রা, রানী মেরী এবং রানী এলিজাবেদের মাথার মুকুটে শোভা পায়। এটি এখন লন্ডন টাওয়ার হলে শোভা পাচ্ছে।
কোহিনূর সংক্রান্ত মজার তথ্যঃ-
কোহিনূর পারস্য শব্দ। এটির অর্থ দাঁড়ায় আলোর পর্বত। ধারণা করা হয় শব্দটি প্রথম নাদিরশাহ ব্যবহার করেন। এর পূর্বে এটিকে কোহিনূর বলা হত না।
এমন অভিযোগ আছে যে পুরুষরা এটি ব্যবহার করেন তার জন্য এটি অভিশাপ বহন করে।
এ কারণে রানী ভিক্টোরিয়া থেকে শুধু মাত্র রাজপরিবারের নারী সদস্যরাই এটি ব্যবহার করেন।
তবে দরিয়া ই নূর যেটি বর্তমানে ইরানে আছে সেটি কোহিনূরের প্রায় দ্বিগুণ। এটি ১৮২ ক্যারেটের।
হীরকটি কাটার ইতিহাস
বৃটিশ রাজপরিবারে হস্তগত হওয়ার পূর্বে এটি কাটার বা ছোট করার কোন ইতিহাস পাওয়া যায় না। যখন এটি রানী ভিক্টোরিয়ার হাতে পরে এটি ছিল তখন ১৮৬ ক্যারেট বা ৩৭ গ্রাম।
প্রিন্স এলবার্ট এটি কাটার জন্য একজন বিখ্যাত হীরক কাটা বিশেষজ্ঞ মি. ক্যান্টর এর কাছে নিয়ে যান। সুদীর্ঘ ৩৮ দিন সময়ে তিনি এটিকে বর্তমান রুপদেন। এটি এখন ডিম্বাকার এবং ১০৮.৯৩ ক্যারেটের। প্রিন্স এলবার্ট এটির কাটিং এ তৃপ্ত হতে পারেননি কারণ এটি আর আগের মতো চকচক করে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।