আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তারেক মুচলেকার শর্ত ভঙ্গ করেছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান মুচলেকার শর্ত ভঙ্গ করেছেন। তাই অভিযুক্ত হিসেবে বাংলাদেশে এনে তাঁকে বিচারের মুখোমুখি করে শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরে চারটি থানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অপরাধী হিসেবে স্বীকৃত হওয়া সত্ত্বেও তারেক রহমান মুচলেকা দিয়ে চলে যান বিদেশে। সেই মুচলেকায় লেখা ছিল, পরবর্তী তিন বছর পর্যন্ত তিনি রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবেন না।

তিনি একটি ভিন্নতর রাষ্ট্রে আশ্রয় নিয়েছেন। আর যাওয়ার আগে বাংলাদেশ সরকারকে মুচলেকা দিয়ে গেছেন।
লন্ডনে একটি জনসভায় দেওয়া তারেকের বক্তৃতার সমালোচনা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেখানে (লন্ডন) রাজনৈতিকভাবে বিকৃত বক্তব্য উপস্থাপন করে তারেক মুচলেকার শর্ত ভঙ্গ করেছেন। এ জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে কৃত অপরাধের মামলা করা হয়েছে। সেই মামলায় তাঁকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য সরকার সব কিছু করছে।


এর আগে চট্টগ্রাম নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইনের মেট্রোপলিটন শ্যুটিং ক্লাবে নতুন চারটি থানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রকে হত্যার জন্য ধর্মান্ধতার মোড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। ধর্মের মোড়কে স্বৈরতন্ত্রকে রুখতে হলে শেখ হাসিনাকে সমর্থন করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।
মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় পুলিশ বাহিনী কখনো অত্যাচারের ধারক-বাহক হতে পারে না। গণতন্ত্র অক্ষুণ্ন থাকলে পুলিশ বাহিনী আরও বিস্তৃতভাবে কাজ করার সুযোগ পায়।
অনুষ্ঠানে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘এখন বিচারক কিংবা আইনজীবী খুন হন না।

খুন হননি সাংসদ কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টার কিংবা মমতাজউদ্দিনের মতো সাংসদেরা। ২১ আগস্টের মতো কোনো ঘটনা দেশে ঘটেনি। অথচ হেফাজতে ইসলামকে টানার জন্য রাজনীতিবিদরা যা করছেন, তা অনভিপ্রেত। এই সংগঠনটি ১৮ বছরের কম বয়সের শিশুদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করছে। জ্বালাও-পোড়াওয়ের নামে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করে আসছে।

আমি পুলিশে থাকলে হেফাজতে ইসলামকে ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। ’
চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মো. আফছারুল আমিন, সাবেক মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সাংসদ আবুল কাশেম, এম এ লতিফ ও মইনুদ্দিন খান বাদল, চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক মো. নওশের আলী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
চট্টগ্রাম নগরে চকবাজার, সদরঘাট, আকবর শাহ ও ইপিজেড থানার উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর। এ নিয়ে চট্টগ্রাম নগরে থানার সংখ্যা ১৬-তে উন্নীত হয়েছে। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.