বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অভিনেত্রী চম্পা কাজ করছেন দীর্ঘ দিন ধরে। এ পুরো সময়টাতেই চলচ্চিত্রকে খুব কাছ থেকে বিভিন্ন কোণে দেখেছেন তিনি। তাঁর ধারণা, বর্তমানে মেধাবী নির্মাতা আর গল্পের অভাবে ভুগছে আমাদের চলচ্চিত্র।
‘কয়েক বছর ধরেই নানা মাধ্যম থেকে শুনে আসছি, বাংলা সিনেমা খুব শিগগিরই ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু সেসবের কোনো বাস্তব-চিত্র এখনো চোখে পড়ছে না।
চলচ্চিত্র বারবার তাঁর সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হচ্ছে। ’ কথাগুলো একসময়ের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী চম্পার। বাংলা চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে এমনটাই মূল্যায়ন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর।
চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে প্রথম আলো ডটকমের সঙ্গে আলাপে চম্পা বলেন, বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে একসময় গল্পের বৈচিত্র্য ছিল। বৈচিত্র্যপূর্ণ সেসব গল্পের ছবিগুলো দর্শকদের প্রতিনিয়ত আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়।
কিন্তু ইদানীং বাংলা সিনেমার গল্পে কোনো নতুনত্ব পাওয়া যাচ্ছে না। মান্ধাতার আমলের ধ্যান-ধারণা থেকেই বেশির ভাগ নির্মাতা এখনো ছবি নির্মাণ করে যাচ্ছেন। ভালো গল্প একেবারে নেই বললেই চলে। রয়েছে মেধাবী নির্মাতার অভাবও, যা কিনা ভালো ছবির জন্য একটা বড় অন্তরায়। আর এ কারণেই এখনকার বেশির ভাগ বাংলা সিনেমা সেই অর্থে দর্শক-হূদয়ে জায়গা করে নিতে পারছে না।
গিয়াসউদ্দীন সেলিমের ‘মনপুরা’ ছবিটি গত কয়েক বছরের মধ্যে নিজের ভালো লাগার অন্যতম ছবি বলে উল্লেখ করেন চম্পা।
চম্পা আরও বলেন, ‘মনপুরা ছবির গল্প, নির্মাণশৈলী এতটাই চমত্কার মনে হয়েছে যে খুব সহজেই ছবিটি দর্শক-হূদয়ে জায়গা করে নিতে পেরেছে। আর ছবিটির গানগুলো তো বাংলাদেশের মানুষের মুখে মুখে ফিরেছে। এখনো “মনপুরা” ছবির গান অনেককেই গাইতে শুনি। এটাই একটা ছবির সার্থকতা।
কিন্তু পরবর্তী সময়ে “মনপুরা” ছবির মতো এতটা জনপ্রিয় আর কোনো সিনেমা দর্শক পায়নি। সেটা খুব দরকার ছিল। “মনপুরা”র পর যদি আরও কয়েকটা ভালো মানের ছবি দর্শক উপহার পেত, তাহলে সিনেমার চিত্রটা কিছুটা হলেও পরিবর্তন হতো। ’
ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে চলচ্চিত্র নির্মাণের সংখ্যা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে চম্পা বলেন, ‘এটা ঠিক যে ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে কম বাজেটেও ছবি বানানো সম্ভব হচ্ছে। ছবির উপস্থাপনায়ও একটা চাকচিক্য এসেছে।
তবে এই জোয়ারে যেন টেলিছবিকেও আবার ছবি বানিয়ে চালিয়ে দেওয়া না হয়। এমনটা ইদানীং হচ্ছে বলেও আমার মনে হয়। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।