মন'রে কৃষি কাজ জানো না, এমন মানব জমিন রইলো পতিত, আবাদ করলে ফলতো সোনা
অনেকদিন ধরেই ছবিটা দেখবো দেখবো করে দেখা হচ্ছিল না। আজ দেখে ফেললাম। লিটল মিস সানশাইন।
ছোট্ট মেয়ে অলিভ। সব মেয়ের মতই একটা স্বপ্ন সেও লালন করে, সে সবার চেয়ে সুন্দর।
এই ছোট্ট মেয়ের স্বপ্ন ঘিরে পরিবারের সব সদস্যের ছোট ছোট স্বপ্নগুলো দেখানো হয়েছে। বাবার নাম রিচার্ড ,খুব চেষ্টা করে যাচ্ছেন তার নিজের একটা , '' নয় ধাপে সাফল্য লাভ'' জাতীয় ক্রাশ কোর্স একটা কোম্পানীর কাছে বিক্রী করতে। তার একটাই মূলনীতি '' উইনার অর লুজার ''। এই মূলনীতির চাপ ওয়েইন আর অলিভের মধ্যে যেটা তৈরি করে সেটা হচ্ছে হেরে যাওয়ার ভয়। অলিভের দাদা শেষ বয়সে এসে হিরঞ্চি।
সারাদিন পর্ণ ম্যাগাজিন নিয়ে থাকে। অলিভের সবচেয়ে ভাল বন্ধু ।
অলিভের মামা ফ্রাংক একজন প্রফেসর, নিজের এক ছাত্রকে ভালবাসতো, কিন্তু তার প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক প্রফেসর সেই ছাত্রকে
বাগিয়ে নিয়ে গেছে, তাই সে সুইসাইড করতে চেয়েছিল। অলিভের ভাই ওয়েইন টিনএজার। এয়ারফোর্স একাডেমীতে ভর্তি হবে পাইলট হবে সেজন্য একটা কোর্স করছে, সে কারণে গত সাত মাস যাবৎ সে কারো সাথে কথা বলেনা।
মা সবার মধ্যে সংযোগের সেতু। অলিভ লস এ্যঞ্জেলসের লিটল মিস সান শাইন পেজেন্ট কম্পিটিশনে শেষ পর্বের জন্য সিলেক্টেড।
সবাই মিলে একটা বিগ ভ্যান নিয়ে ৮০০ মাইল ড্রাইভ করে লস এ্যঞ্জেলস রওয়ানা দিয়েছে।
পথিমধ্যে দাদা মারা গেল, গাড়ি নষ্ট হল, রিচার্ড জানতে পারল তার ক্রাশ কোর্স কেঊ কিনছে না সে নিজেই একজন লুজার, ফ্রাংক দেখতে পেল তার প্রেমিক পুরুষ তার প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে লং ড্রাইভে, ওয়েইন হঠাৎ করে আবিষ্কার করে সে কালার ব্লাইন্ড, পাইলট সে হতে পারবে না । সাত মাসের নীরবতা ভেঙ্গে সে চিৎকার করে ওঠে, ্তুআই হেইট ইউ অল্থ।
দাদা অলিভকে স্টেজ পারফরমেন্স এর ট্রেনিং দিয়েছিল, এবং তার নীতি একটাই, You are, what you are, be yourself and you are the most beautiful girl in this whole world । অনেক হুজ্জোতির পর দাদার লাশ গাড়ীর ট্রাংকে নিয়ে, একটু দেরীতেই সবাই পৌঁছালো প্রোগ্রামে। ছয়-সাত বছরের ছোট ছোট মেয়েরা স্নো-পাঊডার মেখে নাচ-গান পারফর্ম করলো। আগেই বলেছি, অলিভের দাদা ছিলো পর্ণহোলিক সে অলিভকে ট্রেনিং দিয়েছে , ড্যান্স বারের স্ট্রিপটিজের। যেটা হবার সেটাই লোকজন হল ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে অলিভের পারফর্ম্যান্সের সময়, বিচারকরা ক্ষুব্ধ।
সে সময় পাশে এসে দাঁডিয়েছে মা, বাবা,ভাই , মামা সবাই স্টেজে গিয়ে।
একটা বিষয় এখানে খুব লক্ষ্য করবার মত, সেটা হচ্ছে, এই বয়সের একটা বাচ্চাকে/মেয়েশিশুকে এখনে থেকেই নারী হবার ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে বিঊটী পেজেন্ট, মেক আপ, বার্বি ডল এবং সুন্দর ফিগার রাখতে হলে আইস্ক্রিম খাওয়া যাবে না বলে। সেটাকে ব্যঙ্গ করা হলো অলিভের স্ট্রিপটিজ দিয়ে।
ছবির শেষ কথা হচ্ছে ৮০০ মাইলের এই জার্নি এবং ঘটনাগুলো সবাইকে একটা বিষয় শেখালো, সেটা হচ্ছে Life never ends, whether you are in the losing end or winning end , what matters is; be proud of what you are, do whatever you like, everything else doesn
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।