কায়রো: মিশরের সেনা মদদপ্রাপ্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশটির ৫৫ হাজার ইমামের ওপর শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ভাষণ (খুতবা) দানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
দেশটির সেনা অভ্যুত্থান বিরোধী এবং গণতন্ত্রের সমর্থকদের বিরুদ্ধে নেয়া বিভিন্ন আগ্রাসী পদক্ষেপের মধ্যে এটি সর্বশেষ যুক্ত হলো।
মিশরের সেনা মদদপ্রাপ্ত অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ মোখতার জুমায়া’ বলেন, ভাষণদানে ইমামদের কোনো লাইসেন্স নেই। আর যার ‘মিশরীয় রাষ্ট্রের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হয়ে উঠে তারা সন্ত্রাসী’ হিসেবেই বিবেচিত হবে।
এ পদক্ষেপের ফলে ৫৫ হাজার মসজিদ বন্ধ হয়ে যাবে।
কারণ, তাদের আর কোনো বিকল্প ইমাম নেই।
মিশরীয় ঐতিহাসিক মোহাম্মদ আল জাওয়াদি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, মিশরের ইতিহাসে এই প্রথম এক সঙ্গে এতো বেশি সংখ্যক মসজিদ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এই ব্যক্তি আধুনিক তুরস্কের কামাল আতাতুর্ককেও ছাড়িয়ে গেছেন। বিশ শতকের শুরুতে কামাল আতাতুর্ক ইসলামের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে ইসলামের সর্বশেষ সাম্রাজ্য ওসমানি খেলাফতের অবসান ঘটান এবং সেক্যুলার তুরস্কের গোড়াপত্তন করেন। ’
ধার্মিক এবং সেক্যুলার যাই হোকনা কেন মিশরের বেশির ভাগ মুসলিমই শুক্রবারের জুমার নামাজে অংশ নিয়ে থাকে।
ফলে সেনা মদদপ্রাপ্ত অন্তর্বর্তী সরকার ভেবেছে, ব্রাদারহুডের সমর্থক ইমামরা মুসল্লিদের আবেগে উস্কানি দিতে পারে। এতে মুসল্লিদের বেশিরভাগই আবারো সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে।
এদিকে, গত ৩ জুলাই গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট মুরসিকে উৎখাতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিশরীয় নিরাপত্তাবাহিনীগুলো কয়েকটি মসজিদে হামলা চালায় এবং শুক্রবারের জুমার নামাজ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টাও করেছে।
কারণ, সাধারণত শুক্রবারের জুমার নামাজের সময়ই সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীরা একত্রিত হয় এবং নামাজ শেষে নতুন করে তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে।
আরটিএনএন :
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।