মিরপুর
মিরপুর 10 গোল চক্কর হয়ে 12 নাম্বার যাওয়ার পথে হাতের ডানে বিশাল বড় জায়গা খালি পড়ে আছে অনেক দিন। এই জায়গাটি মিরপুর-বাসীর কাছে টাউন হল নামেই বেশী পরিচিত। কারণ এক সময় এখানে ছিল সাংস্কৃতি প্রেমিদের মিলনকেন্দ্র, মা ও শিশুদের সেবাকেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার সহ অনেক সামাজিক উন্নয়নমূলক কেন্দ্র। কয়েক বছর আগে অত্র এলাকার কমিশনার আসাদ ও সিটি করপের্ারেশন কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের মাধ্যমে টাউন হলকে ঝুকিপূর্ণ ভবন দেখিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয়। "টাউন হল স্কয়ার" নামে নতুন করে ভবন নিমার্ণের জন্য সিটি করপের্ারেশন সিদ্ধান্ত নেয় যা এখনও ফাইলবন্দী, আর সবকিছুর আড়ালে এই বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রন করছে শাহ্জাহান এন্ড গ্রুপ নামের একটি ডেভেলপার কোম্পানী।
বর্তমানে প্রজেক্ট এ একটি সাইনবোর্ড লাগানো আছে, এর মধ্যে শাহ্জাহান এন্ড গ্রুপ নাম লেখা। গত 5 মাস দরে এখানের পজেশন বিক্রি চলছে। অনেক ব্যবসায়ী মিরপুর 10নম্বর গোল চক্করে একটি দোকানের আশায় কোন খোজ খবর না নিয়েই পজেশন কিনার জন্য অন্ধবিশ্বাসে টাকা প্রদান করে যাচ্ছেন শাহ্জাহান এন্ড গ্রুপ বরাবর, এরই মধ্যে প্রায় 2 কোটি টাকার পজেশন (দোকান) বিক্রি শেষ, যা সম্পূর্ন বেআইনী, কারণ সির্টি করপের্ারেশন এখনও কিছুই চুড়ান্ত করেনি। কোম্পানীর কাছে "টাউন হল স্কয়ার" এর কাগজ পত্র দেখাতে বলা হলে, লোকজন এই বিষয়ে কোন কাগজ দেখাতে পারেননি, কোম্পানীর মার্কেটিং ম্যানেজার কিছু ড্রইং দেখিয়েই যাতা বুঝানোর চেষ্টা করছিলেন। গোপনসূত্রে জানা যায়, এই শাহ্জাহান এন্ড গ্রুপ একটি নিম্নমানের ডেভেলপার, কারণ উত্তরায় "গৃহলী" নামের একটি 6তলা ভবনের নিমার্ণ কাজে সময় ব্যয় করে সাড়ে ছয় বছর, যার এখনও 40% ভাগের বেশী কাজ বাকী, কাজের গতি দেখে এক বিমারবালা (ফেটের মালিক) বলেই বসলেন আগামী 2010সালের আগে এই বাড়িতে উঠা হয়ে উঠবে বলে মনে হচ্ছে না।
অন্য একটি প্রজেক্ট বিজয়নগরে "মাহতাব সেন্টার" একই অব্#713;্থা, 8 বছরে 20 তলা ভবনের 10তলা হওয়ার পর গত 2 বছর যাবত এর কাজ বন্ধ। বর্তমানে এই কোম্পানীর ব্যাংক লোন প্রায় 10 কোটি। এই ধরণের ডেভেলপার দিয়ে "টাউন হল স্কয়ার" এর মত বিশাল কাজ আগামী 30বছরেও সম্পূর্ণ হবে কিনা তা চিন্তার বিষয় ??অতএব কতৃপরে কাছে আবেদন এই প্রতারকদের হাত থেকে আমাদের উদ্ধার কে করবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।