সত্য তো সত্যই। কেউ মানো বা না মানো-চিনি মিষ্টি । আগুন গরম। বরফ ঠান্ডা। তোমার মানা বা না মানায় তার মূল বা বৈষিষ্টে বিন্দুমাত্র পরবির্তন আসবে না।
সত্য ,ইসলাম এবং ধর্ম তেমনি সত্যি। আমরা যারা প্রকৃত জ্ঞান এবং সাধনা দিয়ে তার মর্ম অনুধাবন করতে পারি তারা শান্তি পাই, আর যারা চেষ্টা করে তারা ও। আর একদল যারা বুঝেওনা বুঝতে চায়ও না অথচ সমালোচনা করে তাদের কথা ভিন্ন।
তুলনামূলক আলোচনা হেতু একজন আস্তিক হিসেবে যুক্তি প্রদান করছি।
()নাস্তিকতাকে অনেকে অত্যাধুনিকতা ও নিজেকে অন্যের চেয়ে আলাদাভাবে উপস্থাপনের তরল প্রয়াস বলে বিবেচনা করেন-
জবাব : ] তাতে কোন সন্দেহ নেই।
কিছু ব্যাক্তি স্বাতন্ত্রবাদী নিজের আমিত্ব প্রকাশে এবং কারো না কারো ক্রীড়নক হয়ে স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায়.. তা করে থাকে।
()একজন আস্তিক প্রতিদানের আশায় (তাকে আপনি বেহেস্ত, প্যারাডাইস কিংবা স্বর্গ যাই বলুন) সৎ! থাকার চেষ্টা করেন। প্রতিদানের প্রত্যাশা করাটা ব্যবসায়িক মনোবৃত্তিরই পরিচায়ক।
জবাব:]
অনুপ্রেরণা বা প্রত্যাশা ছাড়া জীবন চলে না। আপনি যদি ভিন গ্রহের জীব হয়ে থাকেন তো ভিন্ন কথা.. কিন্তু পার্থিব জীবনে আশা-প্রত্যাশা নিয়েই জীবন চলে।
যেমন আপনি বা আপনারা যারা তথাকথিত নাস্তিকতাকে মহামন্ত্র ভাবছেন তারাও তো প্রত্যাশা করছেন যে এর ব্যাপক প্রসার বা বিকাশ হোক। আপনাদরে এই প্রত্যাশাও কি তবে বানিজ্যিক!!!!
() অপরদিকে একজন নাস্তিক কোনো প্রতিদানের আশা না করে শুধুমাত্র নিজের বিবেকের দায়বদ্ধতা থেকেই বিবেকের কাজগুলো সম্পন্ন করেন।
জবাব: ] উপরের আলোচনা ওবক্তব্যের সূত্রেই স্ব-বিরোধিতা।
()*** নাস্তিকতার ভিত্তি বিবেকের দায়বদ্ধতা আর আস্তিকতার ভিত্তি প্রতিদানের প্রত্যাশা।
জবাব:]
বিবেক।
বিবেক কি? এ কি আপনাতেই জন্ম নেয়? নেয়না। গড়ে ওঠে ব্যাক্তির জ্ঞান, প্রজ্ঞা, পরিবেশ, বিশ্বাস বোধ, মানবিকতা, তথা সামগ্রিকতার মধ্য দিয়ে। সুতরাং বিবেক শুধু স্বয়ং ক্রিয়াশীল কিছু নয় বরং বহুমাত্রিকতার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এক চেতনা। যা ব্যাক্তি সমাজ রাষ্ট্র ভেদে ভিন্নতর, বহুমাত্রিক।
আর আস্তিকতার ভিত্তি প্রতিদানের প্রত্যাশা।
এতো আপনার ব্যাক্তিগত মতের ছাড়া ভিন্ন কিছু নয়, জ্ঞানী মাত্রই তাতে একমত। ধরে নলিাম জাতীয়রা ছাড়া।
()নাস্তিকতাকে অর্জন করতে হয়। পক্ষান্তরে আস্তিকতা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। এর সূতিকাগার হচ্ছে বিশ্বাস।
জবাব: ]
তা সত্যি। সকল কছিুই অর্জন সাপেক্ষ- আগুন পানি মাটি বাতাস এভং এই রুপ প্রাকৃতিক সকল সম্পদ ব্যাতিরেকে সকল কিছুই অর্জন করতে হয়। এবং অদ্ভুত হাস্যকর কথা বললেন আস্তিকতা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। এর সূতিকাগার হচ্ছে বিশ্বাস।
সত্যি বলতে কি আস্তিকতার পূর্ণ অর্থ উপলদ্ধি না করার ফলেই আপনার এমন উক্তি।
আপনি আমি তার স্রোতে ভাসি বলেই কি এমন বলতে হবে।
অথচ আপনি নিশ্চয়ই জানেন ইব্রাহিম (আ এর সত্য প্রাপ্তির ঘটনা? যদি না জনেন জেনে নেবেন। আর এত অল্প জানা নিয়ে এত বড় বিষয় অবতারনা করা বোকমি বৈকি?
আর যদি জানেন তবে এবার বলুন আস্তিকতা কিভাবে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। ? তাকি কেবলই সমাজে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চক্রান্ত?
আপনি যা বলছনে তাই যদি সত্যি হত তবে তো মুহাম্মদ সাঃ সবার আগে পৌত্তলিক হতেন। নয়কি? উত্তরাধিকার তত্ত্বে আস্তিক হলেতো তাই হবার কথা।
কিন্তু তা হয়ন। কারণ সত্য ধর্ম হলো উপলদ্ধির, আবিস্কারের, উদঘাটনের। আপনি জানেন না তাই বলে ধর্মকে গাল দেবেন এরচে মূর্খতা আর কি হতে পারে? তাই আগে ভাল করে জানুন। তারপর বলুন।
() নাস্তিকতা অবশ্যই একটি ধর্ম।
সাধারণভাবে ধর্ম বলতে সেই পন্থা, বা পথ কে বুঝায় যা কোনো পদার্থ, ব্যক্তি অথবা ব্যক্তিবর্গ অনুসরণ করে থাকে। সেই হিসেবে নাস্তিকতা অবশ্যই একটি ধর্ম।
জবাব:
অবশ্যই । মুরগী আর উটপাখি যদি পাখি হতে পারে নাস্তিকতা কেন ধর্ম হবেনা? যেহেতু সকল পদার্থেরই ধর্ম আছে। পানি ন্মিনমূখি... গরম বায়ু উর্দ্ধমূখি.... ইত্যাদি।
সেই হিসেবে নাস্তিকতা অবশ্যই একটি ধর্ম।
()......কারণ আস্তিকতার ভিত্তিতে পরিচালিত ধর্মগুলো তাদের প্রবর্তকের গুণকীর্তনে ব্যস্ত। তারা স্রস্টার গুণকীর্তনের চেয়ে শুধু তাদের প্রবর্তকদের শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করতে ব্যস্ত।
এর ফলশ্রুতিতে জেহাদ, ক্রুসেড প্রভৃতি ধর্মযুদ্ধের অবতারণা হয় যার ফলাফল সম্পর্কে সবাই অবহিত। অপরদিকে নাস্তিকতা সব মানুষকে সম মর্যাদা নিয়ে মানুষকেই সবচেয়ে বেশি মর্যাদা দেয় এবং এক যাচিত সাম্যের সৃষ্টি করে।
জবাব: ]
কোথায় গুনকীর্তন আর কোথায় জিহাদ ক্রুসেড?? ভাল করে জেনে নবেনে এদরে পেছনে ধর্ম না স্বার্থ কোনটা দায়ী। সত্য কখনোই স্বার্থের পেছনে ছোটে না। স্বার্থবাদীরা সত্যকে ব্যবহার করে মাত্র। আর তাতে সত্য মেথ্যে হয়ে যায় না, বরং স্বার্থবাদীই একদনি ইতিহাসে কীটে পরিণত হয়, আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়।
অপরদিকে নাস্তিকতা সব মানুষকে সম মর্যাদা নিয়ে মানুষকেই সবচেয়ে বেশি মর্যাদা দেয় এবং এক যাচিত সাম্যের সৃষ্টি করে।
এর স্বপক্ষে নিদেন একটি উপমা, ঘটনা বা ইতিহাস তুলে ধরুন প্লিজ। ।
বাকী আপনার সব ব্যাক্তিগত মতের আর উত্তর দেবার প্রয়োজন মনে করালাম না বিধায় অনেক বিষয় এড়িয়ে গেলাম।
যৌক্তিক উত্তর এবং মন্তব্য আশা করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।