যে ঘড়ি তৈয়ার করে - সে - লুকায় ঘড়ির ভিতরে
আমরা প্রতি মুহুর্তে আমাদের মাথার ভিতরে নানান ধরনের বাস্তবতা তৈরী করি। বাস্তবতা অথবা পরাবাস্তবতা। কে জানে, কোন শব্দ চয়না সঠিক!
আমরা তৈরী করে যাই নানান পদের, নানান মশলার, নানান রঙের নিউরাল ফ্যান্টাসী। কল্পনার ফানুস, অথবা প্যারালাল বিভিন্ন অদৃশ্য জগৎ। ইতিবাচক অর্থে নয়, নেতিবাচক অর্থের কথা বলছি।
আর এই নিউরাল ফ্যান্টাসী বা মস্তিষ্কের এই মিথ্যে জগৎ তৈরীতে এতটাই বিভোর থাকি, আমরা ভুলে যাই অনেক কিছু।
যেমন ধরা যায় অহমিকার কথা। দুই পাতা বই পড়ে আমরা অবলীলায় অন্যদের কটাক্ষ করতে শুরু করি। মনে করি, আরে ধ্যাৎ ঐ বেটা কিছু পড়ে নাকি?! বেমালুম ভুলে যাই, আমি যে কয়েকখানা বই পড়েছি, যা নিয়ে আমার এতো অহমিকা - এই মিথ্যা নিউরাল ফ্যান্টাসীটা বেজায় ঠুনকো। জ্ঞানীর জ্ঞান নিয়ে অহমিকার মতো ভয়ংকর জিনিস খুব কমই আছে।
এটা একেবারে আস্তাকুড়ে ফেলে দেয় যা কিছু অর্জন অথবা অর্জনের সম্ভাবনা।
কারন তখন একটার পর পর মস্তিস্কের ধুসর কোষের ভিতরে গড়ে ওঠে অগনিত নিউরাল ফ্যান্টাসীর প্রাসাদ। আর আমরা বেঁেচ থাকি (অথবা মরে যাই, কিভাবে দেখবেন নির্ভর করে আপনার উপরে) সেই মিথ্যে ফ্যান্টাসীর মায়াজালের ভিতরে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।