বাস্তবতা ফেরী করে বেড়াচ্ছে আমার সহজ শর্তের সময়গুলোকে
বলিউডের বাদশা হিসেবে অনেক আগেই স্বীকৃতি পেয়েছেন শাহরুখ খান। একের পর এক সফল মুভিতে অভিনয় করে নিজেকে ক্রমশই নিয়ে যাচ্ছেন জনপ্রিয়তারর্ চূড়ায়। যে অবস্থান থেকে কেবল নিজেকে ছাড়িয়ে যাবার ব্যাপারটি ঘটে। আগস্টের মুক্তি পাওয়া কাভি আলবিদা না কেহনা মুভিটি বলিউড বক্স অফিসে দুর্দানত্দ ব্যবসা করে। মুভিটিতে শাহরুখের অভিনয় শুধু ভক্তদের প্রশংসাই পায়নি সেই সঙ্গে কুড়িয়েছে সমালোচকদের অকুণ্ঠ প্রশংসা।
তবে কাভি আলবিদা না কেহনা'র সাফল্যে মোটেই অবাক হননি কিং খান। বরং তিনিই এই অর্জনকে ধরে রেখে সামনে আরো সাফল্যকে নিজের করতে চান। আগামী অক্টোবরেই মুক্তি পাচ্ছে বহুল আলোচিত ডন মুভির রিমেক। বহু বছর আগের ডন মুভিটিতে যে চরিত্রটি অভিনয় করেছিলেন বিগ বি খ্যাত অমিতাভ সেই চরিত্রটিতেই রূপদান করছেন শাহরম্নখ খান। নতুন মুভিটির সাফল্য নিয়ে আশাবাদী তিনি।
আগের মুভি এবং সামনে মুক্তি পেতে যাওয়া মুভি নিয়ে তিনি কথা বলেছেন ইন্ডিয়া টাইমস-এর সঙ্গে। শাহরুখ খানের বয়ানেই সাক্ষাৎকারটি অবলম্বনে লেখা হয়েছে ফিচারটি।
যখন আমরা একটি মুভি তৈরি করি, প্রথমেই প্রত্যাশা নিয়ে ততোটা মাথা ঘামাই না। আমরা সবাই চেষ্টা করি ভালো একটি মুভি তৈরি করতে। যদি এটি ব্যবসা সফলতায় মোড় নেয়, আমাদের সবাই খুশি হয়।
লজিকটি হচ্ছে প্রচুর সংখ্যক লোক এটি দেখেছে। লোকেরা আমাকে মুভির ট্রেড ফিগার নিয়ে বলে। তখন আমি ধারণা করি হয়তো মুভিটি অনেকেই দেখেছে। কাভি আলবিদা না কেহনার ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। তবে আমি সঠিক ট্রেড ফিগারটি জানি না।
গেল 16 বছর আমি কখনোই বলিউড বক্স অফিস ফিগার দ্বারা প্রভাবিত হইনি। সাফল্যে উলস্নসিত না হয়ে সাফল্যকে ধরে রেখে ভালো কাজ করার পৰে আমি।
ডন মুভির রিমেককে প্রাথমিক পর্যায়েই অমিতাভ বচ্চন অভিনীত আগের ডন মুভির মতো হিট হবে ভাবা হচ্ছে। তবে আমি পুরোপুরি এভাবে বলতে চাই না। আমি মনে করি না দুটি মুভির মধ্যে কোনো তুলনা আসতে পারে।
মনে রাখা উচিত নতুন ডন তার সেট ফেলছে ভিন্ন একটি সময়ে। ত্রিশ বছর পর পুরোপুরি ভিন্ন পরিবেশে।
আমি মনে করি আগের ডন ওয়ান্ডারফুল একটি মুভি ছিল। তবে এই ডন ভিন্ন লেভেলের আকর্ষণ উপহার দেবে। মুভিটি তৈরিতে বেশ কিছু ইয়াং বস্নাড যুক্ত হয়েছে।
ফারহান আখতার এবং রিতেশ সিদ্ধানত্দির মতো খুবই কর্মঠ ফিল্ম মেকাররা কাজ করছে। মিউজিক ডিরেকশনের কাজ করছে শংকর, এহসান এবং লয়। আমি মনে করি দুটির মধ্যে কমপ্যারিজন করে ক্রেডিট দিতে গেলে তা ভুল এবং অড একটি বিষয় হবে। এখনকার আইডিয়াটি কখনোই অরিজিনাল ডনের সঙ্গে মিল খাবে না। ত্রিশ বছরের জেনারেশন গ্যাপের পর মুভিটি তৈরি হয়েছে।
আমাদের জন্য এটি চিনত্দা করা ভালো যে এটি বর্তমান জেনারেশনের উপস্থিতি এবং চিনত্দা ভাবনার ফসল।
নতুন ডনের ব্যতিক্রমী কিছু বিষয়, বন্ড স্টাইল এবং আমার ব্যতিক্রম উপস্থিতি নিয়ে বেশ কথা হচ্ছে। তবে আমি বলতে চাই, এটি মোটেই জেমস বন্ডিশ টাইপের মুভি নয়। তবে হঁ্যা, ব্রুস উইলিস-এর 'দি ডে অফ দি জ্যাকাল'-এর সঙ্গে কিছুটা মিলের কথা উঠছে। তবে আমি মনে করি সেই মুভিটিতে শ্বাসরম্নদ্ধকর বিষয় একটু বেশি মাত্রার।
নতুন ডন পুরোপুরি তেমন নয়। এতে ভিন্ন রকমের স্টাইলের প্রয়োগ রয়েছে। ফিল্ম মেকিং-এর ৰেত্রেও আগেরটি থেকে নতুনটিতে অনেক নতুনত্ব এসেছে। অরিজিনাল ডনের একটি ডায়ালগ আমার খুব প্রিয় ছিল। সেটি নতুন মুভিতে একেবারেই ইনকর্পোরেট করা হয়নি।
আমার ব্যক্তিগত প্রিয় ডায়ালগটি ছিল, যখন প্রাণ সাব বলেন, আস ডায়েরি মে এক দাদি বালে কা ভি না থা...' কিন্তু এখানে সমানভাবে জনপ্রিয় আরেকটি সংলাপ রয়েছে 'ডন কো পাকাড়না মুশকিল হ্যায় নাহি নামুকিন হ্যায়। আমার চরিত্র নিয়ে আমি অরিজিনাল ডন অর্থাৎ অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে কোনো কথা বলিনি। কিন্তু আমি কোথায় যেন পড়েছিলাম, তিনি ডন দেখতে পছন্দ করেন। আমরা এটাও প্রত্যাশা করি নতুন ডন মুভিটি দেখতেও তিনি পছন্দ করবেন।
নতুন ডন কি জনপ্রিয়তা পাবে? এর উত্তর কেবলই দর্শকদের কাছে।
তবে এর জন্য অপেৰা করতে হবে মুভিটি মুক্তি পাওয়া পর্যনত্দ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।