আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খেয়াল করূন খাবার প্যাকেটটি স্বাস্থ্য সম্মত কি?

আমার চিন্তা, আমার চেতনা, আমার অভিজ্ঞতা

গতকাল বন্ধুদের অতিরিক্ত আবদারে ইফতারির মেনুতে তেহারী যোগ করতে বাধ্য হলাম। বাজেট কম বলে বসুন্ধরা সিটির নিকট পশ্চিম সাইডে মেইন রোডের পাশে ছোট্ট তেহারীর দোকানটি (নাম ভুলে গেছি) থেকে ফুল 4 প্যাকেট তেহারি আনা হল। খাওয়া শুরূর আগে প্যাকেট খুলতে যেয়ে দেখতে পেলাম কাগজের প্যাকেটের ঢাকনা বা উপড় দিকের অংশের সাথে খাবার একেবারে ল্যাপ্টে চ্যাপ্টে একাকার। প্যাকেটের নিচের অংশে পাতলা পলিথিনের টুকরো থাকায় খাবার কাগজের সংস্পর্শ লাগেনি। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে প্রতিদিনের এরকম ঘটনায় অবাক হওয়ার তেমন কিছু না দেখা গেলেও স্বাস্থ্য হানির ঝুঁকি উড়িয়ে দেয়া যাবে না খাবার প্যাকিংএ নিম্নমানের প্যাকেট ব্যবহারের জন্য।

বর্তমানে ভেজালবিরোধী অভিযান আবার চলছে। এতে সর্বসাধারণ স্বতঃসফূর্তভাবে সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন। এ প্রসঙ্গে অমি আরো একটি বিষয়ে জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। বিভিন্ন মিষ্টির দোকান, হোটেল, রেসটুরেন্ট ও খাবারের দোকানগুলোতে বিভিন্ন খাদ্য কাগজের মোড়কে গ্রাহককে পরিবেশন করা হয়। ওইসব কাগজের মূল উপাদান হচ্ছে টোকাইদের কাছ থেকে সংগৃহীত ডাসটবিন, ময়লা আবর্জনা থেকে আহরিত কাগজ্ল যা ব্যাকটেরিয়া এবং বিভিন্ন ক্ষতিকর জীবাণুতে পরিপূর্ণ।

সেই কাগজগুলোকেই প্রক্রিয়াজাত করে বোর্ড তৈরি করা হয় এবং তা থেকেই তৈরি করা হয় প্যাকেট। এ প্যাকেটেই বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য বিশেষ করে মিষ্টি, বিরিয়ানি ও ভাত গ্রাহকদের দেয়া হয়। দু-একটি ব্যতিক্রম বাদে এটা চলছে। এতে করে প্যাকেটে রোগ জীবাণু থেকেই যাচ্ছে। কোনো কোনো নামী-দামি দোকান আবার কাঁঠালপাতা/গোলপাতার মোড়ক ব্যবহার করে এবং সে মোড়কে কীটপতঙ্গ অহরহ দেখা যায়।

জনস্বাস্থ্য এবং জনস্বার্থের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রেখে এসব জীবাণুযুক্ত মোড়কের পরিবর্তে স্বাস্থ্যসমমত মোড়ক ব্যবহারে ব্যবসায়ীদের বাধ্য করা একান্ত প্রয়োজন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।