[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/
গত 10 তারিখ , সেপ্টেম্বর 2006 এর। ঢাকায় শুয়ে শুয়ে টিভি দেখছিলাম আমার অজস্র স্বপ্ন গঠন এবং স্বপ্ন ভঙ্গের বহুকালের সঙ্গী আপন ঘরের খাটে।
ফোন টা মাত্রই রাখলাম। প্রিয় এক নারীর সাথে কথা বলছিলাম। ...........তারপরই জানালার ওপারে নিচে ভীষণ হৈ চৈ।
এদ দৌড়ে চলে গেলাম ছাদে।
........মানুষের ভীড় বাড়ছে পাশের ছয় বাড়ীটার সামনে। মহিলারাই বেশী। আশেপাশের সব বাগীর মহিলারা রান্নাবান্না ছেড়ে নেমে এসেছে ।
বেশী ক্ষণ লাগল না জানতে ......................
ছেলেটা লাফ দিয়েছে ছযতলার উপর থেকে।
আমি নিচে যাওয়ার আগেই তাকে অর্ধমৃত অবস্থায় চালান করা হয়েছে হাসপাতালে ।
রবিন ছেলেটার নাম। রক্তাত্ব চেহারাটা দেখার সুযোগ হলোন।
মনে পড়ল চেনা মুখটা রবিনের। ওই ছয়তলার নিচ তলাতে থাকত ভাড়া বেশ কয়েক বছর ধরেই।
। আমার প্রিয় বারান্দায় দাড়ালে বাম পাশে পড়ে বাড়ীটার উত্তর সাইট।
ছেলেটা ওখানে খেলত মাঝে মাঝে ক্রিকেট। ও পথ দিয়ে এলেই সামনে পড়লেই ডেকে সালাম দিত প্রায়শই। আমিও বলতাম কেমন আছ।
গত বছর এস এসসি পাস করেছিল। ইন্টার এ ভর্তি হয়েছিল শুনেছিলাম কোথায় যেন।
কিন্তু কই জানতাম না তো বাসায় ওর সৎ মা।
কি ভীষণ কষ্ট জীবনে তার। না হলে বুদ্ধি রোপ পেয়ে এই সকালের পড়ন্ত প্রহরে দুপুর বারোটায় ওত উপর থেকে লাফ দেয়।
কি পরিমান কষ্টে নষ্ট হয় বেঁচে থাকার লোভ।
কি নিদারুন।
কক্সবাজার আসার আগ পর্যন্ত খবর নিয়েছি.........বেঁচে ছিল। কিন্তু ওভাবে বেঁেচ থেকে কি লাভ । অচল।
পা দুটোই নাকি একদম ভেঙ্গে শেষ। আর নাকি কোন হাটতে পারবনো।
আসলেই পারবেনা। গতকাল এক বন্ধু পাশের বাসার ফোন করে জানাল রবিন বেঁচে নেই।
আত্মহননের বোকমী ,অর্বাচীন ভ্রান্ত সাধ অবশেষে তার পূরণ হলো।
জীবন কি এতই তুচ্ছ রবিন?
মরে গেলে সব সমস্যার সমাধান।
তুমি কি জানতে না , কেউ কি জানায়নি-------জীবনে এই মুহূর্তে যতই কষ্ট বেদনা আসুক খানিক পরে যে অনকে ভাল কিছু হতেও পারে। ....কেন মরলে ......কেন ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।