আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এভারেস্ট মানবী

দেখতে চাই ধরনী

http://www.muntasirmamun.com এভারেস্ট মানবী, জুনকো তাবেই মুনতাসির মামুন ইমরান [ইংলিশ]"ঞবপযহরয়ঁব ধহফ ধনরষরঃু ধষড়হব ফড় হড়ঃ মবঃ ুড়ঁ ঃড় ঃযব ঃড়ঢ়--রঃ রং ঃযব রিষষঢ়ড়বিৎ ঃযধঃ রং ঃযব সড়ংঃ রসঢ়ড়ৎঃধহঃ. ঞযরং রিষষঢ়ড়বিৎ ুড়ঁ পধহহড়ঃ নুঁ রিঃয সড়হবু ড়ৎ নব মরাবহ নু ড়ঃযবৎং--রঃ ৎরংবং ভৎড়স ুড়ঁৎ যবধৎঃ." - ঔঁহশড় ঞধনবর[ইংলিশ] এখন এভারেস্ট আরহনের জন্য কি প্রয়োজন হয়? একটা আইস এঙ্, শক্তি আর অনেক অনেক টাকা। যদি আপনার কাছে টাকা থাকে তো যে ভাবেই হোক কেউ না কেউ পাশে থাকবেই আপনাকে শিখওে পৌছে দেয়ার জন্য। কথা গুলো শুনতে খবই খারাপ লাগলেও এর সত্যতা যথেষ্টই। আর তাই সময়ের বহমান ধারাবাহিকতায় যারা অনেক আগে আরোহন করেছিলেন এভারেস্ট তাদের সব কিছুই এখন ক্লাসিক মর্যাদা পেয়ে যায় কেন জানি। কেননা সে সময় আরোহন এতটা সুবিধা জনক ছিল না।

আর আরোহীদেও মৃতু্যও হার ছিল যথেষ্টই ভয়াবহ। কিন্তু তাদেও মাঝে ক জন আছেন যারা স্বীয় বীরত্বে বীর্যবান এবং তাদেও এই অকুতোভয় মানসিকতার জয় হয়েছে বার বার। আর এভাবেই 1975 সালে প্রথম যে মহিলা আরোহন করেছিলেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থানে, তিনি আর কেউ নয়, জাপানের অধিবাসী, জুনকো তাবেই। কালের সাক্ষী এই দূদান্ত পর্বতারোহীর সাথে দেখা হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার গত মাসে তারই আমন্ত্রনে। হিমালেয়ের খুব কাছের দেশ হয়েও আমাদেও পর্বত সম্পর্কে সম্মুক কোন ধারনার ইতিহাস আমার জানা।

কিছু একটা যে ছিলনা তাও না, হাজার বছর আগে আমাদেও পূর্বপুরুষের পদধূলি পরেছে হিমালয়ে। কিন্তু সমসাময়িক কালে এমন একটাও নজির দেখান যাবে না। ভূ মন্ডলের সবচেয়ে বড় পর্বতমালা আমাদের পাশ্ববতর্ীদেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল আর ভুটানের কিছু অংশেই অবসথিত। আমাদেও থেকেও এরা খুব বেশি দূওে না। যদিও আমাদেও শুরু অনেক অনেক দিন পর, তবুও বছর কয়েক আগে বন্ধু প্রতিম রিফাতের সাথে এভারেস্ট দেখে আশার পর এ ব্যপাওে বেশ কিছু মানুষ কে উদ্বুদ্ধ করা গিয়েছিল মনে হয়।

আর এখন এটার জনপ্রিয়তা উঠতির দিকে। ভারতে পর্বতারোহন কালে জাপানী এক ভদ্রলোকের সাথে পরিচয় হয়েছিল 2004 সালে। সেই আমাকে জাপান যাবার রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছিল। মূলত এশিয়ান দেশ গুলোর সর্ববৃহত পর্বতারোহন সম্পর্কিত অরগানাইযেশন থেকেই আমার আমন্ত্রন পত্র টি এসেছিল। এর নাম ছিল ইয়াং ক্রস কালচার মাউন্টেই কনসারভেশন মিট 2005।

মূল উদ্দেক্তা হলো হিমালায় এডভাঞ্চার ট্রাস্ট অব জাপান। তাবেই ছিলেন তার চেয়ারপারসান। তাবেই জাপানে জন্মগ্রহন করেন 1939 সালে, ফুকুশিমাতে। উত্তর জাপানের ছোট শহরের এক পরিবারের 5 বোনের একজন তিনি। সাবার কাছে খুবই দূবর্ল হিসেবে পরিচিত তাবেই স্কুলে পাঠরত অবস্থায় প্রথম গিয়েছিলে মাউন্ট নাসু'তে।

তখন তার বয়স মাত্র 10। শুরু হলো সে সময় থেকেই। পর্বত যেন পেয়ে বসল তাকে, তখনই তার মনে হয়েছিল দূবর্ল (!) শরীরটাকে নিয়েই জয় করতে হবে পর্বত। এটা এমন এক খেলা যাতে কেবল নিজেই অংশগ্রহন করা যায় পুরোপুরি ভাবে। অনেকের সাথে থাকলেও নিজের গতি নিজেকেই ঠিক কওে নিতে হবে।

এটা তিনি বুঝেছিলেন অনেক আগেই। তাই মনে জয় করতে পেরেছিলেন সবকিছু। সোওয়া ওমেন্স ইউনিভর্াসিটি থেকে লেখাপড়া শেষ হওয়ার পর তার গুরুতর পর্বতারোহনের শুরু হয়। তিনি ছিলেন ইংরেজি সাহিত্যেও ছাত্রী। নিজে আরহন করার সাথে সাথে 1969 সালে মহিলাদেও জন্য প্রথম পর্বতারোহন ক্লাবের জন্ম দেন জাপানে।

যার নাম এল সি সি (খধফরবং ঈষরসনরহম ঈষঁন: ঔঅচঅঘ (খখঈ) সে সময় এভারেস্ট আরোহনের জন্য জাপানী টি ভি এবং সংবাদপত্রে সম্ভাব্য অভিযাত্রী দের যে টেলেন্ট হান্ট হচ্ছিল তিনি তাতে আবেদন করেন। এটা 1972 এর সালের ঘটনা। সারা দেশ থেকে সেরাদেও মাঝ থেকে বেছে নেয়া হয় মাত্র 15 জনকে। তাদেও মাঝেও জুনকো সেরা হিসেবে বিবেচিত হলেন। অধিনায়কত্ব দেয়া হল তাকে।

32 বছরের গৃহবধু সবে মাত্র মা হয়েছেন সেসময়, চলে গেলেন পর্বতারোহনে। এভারেস্ট এর মত বড় পর্বতারোহনে তার নিজেরও খরচের পাচ হাজার আমেরিকান ডলার জোগার করতে গিয়ে তাতে পিয়ানো শেখাতে হয়েছিল অনেক দিন। তিন বছরের কষ্ট সাধ্য পরিশ্রমের পর প্রথম মহিলা এভারেস্ট অভিযানের উপযুক্ত হয়ে উঠেছিলেন। এর আছে ব্যক্তিগত ভাবে কয়েক জন এভারেস্ট আরোহনের চেষ্টা চালালেও দলগত ভালে মহিলাদেও অংশগ্রহন ছিল এটাতেই প্রথম। 1975 সালের ঘটনা, কাঠমান্ডুতে আরোহনের পর 9 জন শেরপা ঠিক কওে তারা কাঠমান্ডু ভ্যালি থেকে চলে এলেন সলোকম্ভু এভারেস্ট রিজিয়নে।

সাথে শুধু একটাই সং্কল্প, শিখর। আরোহন কালে এক ভয়াবহ এ্যভেলাঞ্চের কবলে পরেছিলেন তারা। ভাগ্যক্রমে বেচে গিয়েছিলেন সবাই। নয়তো ইতিহাস হয়তো কিছুটা হলেও অন্যরকম হতো। কিন্তু শিখর আরোহনের ঐক্রান্তিক প্রচেষ্টা চালানই তার এক মাত্র লক্ষ্য ছিল।

যেহেতু কোন দূঘর্টনা হয়নি, তাই তিনি দল নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকলেন। তুষার ঝড়ে পথের অবস্থা খারাপ। নতুন তুষার পরাতে কষ্ট হচ্ছে দ্বিগুন। তার ডাইরী থেকে জানা যায় কখনও তারা রীতি মত ক্রল কওে এগিয়েছিলেন সামনের দিকে। সব কষ্টের ইতি টেনে 1975 সালের 16ই মে, পর্বতারোহনের ইতিহাসে বীরত্বেও একটি পালক সংযোজিত হয়েছিল আজ।

শীর্ষ জয় করলেন তিনি। তার এই আরোহন শুধু আরোহন হিসেবে বিবেচিত হয়না আজও, পর্বতারোহনে পুরুষদেও পাশাপাশি নারীর অংশগ্রহনের মাইল ফলক টা প্রথিত হয়েছিল সেদিন। কাঠমান্ডুতে তাকে নিয়ে হলো নানা অনুষ্টান। জাপানের প্রাইম মিনিষ্টার থেকে শুরু করে, নেপালের রাজ পরিবার, কেউ বাকি নেই তাকে সংবর্ধনা জানাতে। এর পর তার অভিযানের সম্পাতি এখানেই হয়নি।

চার ফুট নয় ইঞ্চি উচ্চতার এই ক্ষুদ্রাকার ক্লাইম্বিং জায়েন্ট একে একে আরোহন করেন সাত মহাদেশের সাতটি সবের্াচ্চ পর্বত। মহিলা হিসেবে এটাই ছিল প্রথম। আর পর্বতারোহীদেও কাছে বিশেষ সবচেয়ে মর্যাদার বিষয় যেগুলো তাদেও মধ্যে এটা অন্যতম একটি। এছাড়া নানা দেশের সবের্াচ্চ পাহাড় গুলোতেও তার পদচিহ্নি পরেছে। পরিবেশ বাদী আন্দোলন তার বর্তমান নেশা।

মূলত আমার আমন্ত্রন টাও অনেক খানি এ ব্যপারেই। জাপানের সর্ববোচ্চ পর্বত ফুজি আরোহনের সময় আমাদেও সাথে ছিলেন তিন। এত বড় মাপের মানুষের সাথে পর্বতারোহন আমার জন্য সত্যিই একটু বেশি ছিল ! তার প্রতিটি পদক্ষেপকে আলাদা করা যায় সবার কাছ থেকে। এই 66 বছর বয়সে তিনি যেভাবে এগোলেন আমাদেও সাথে তাতেই আচ করা যায় আর 30 বছর আগে তিনি কি ছিলেন। আমি এখনও গর্ববোধ করি এই ভেবে যে আমি এমন একজন ব্যক্তির সাথে ফুজিতে আরোহনের জন্য পা বাড়িয়ে ছিলাম যার প্যারালাল কেউ আছে বলে পর্বতারোহীরা মনে করেন না।

যদিও আমাদেও বেশ খানিকটা উঠার পর ফিওে আসতে হয়েছেল। প্যাসিফিক কোস্ট থেকে যে টাইফুনটা ধেয়ে এসেছিল জাপানের দিকে তার লক্ষ্য স্থল ছিল ফুজি। সবার মন একটু ভার ছিল শিখওে আরোহন না করতে পারায় তবে আমার এবারও তা মনে হয়নি। সময় এবং অর্থ জোগার করা হয়তো সম্ভব কিন্তু এমন ব্যাক্তির সাথে পর্বতারোহনের সুজোক আর কোন দিন পাব বলে মনে হয়না। বাংলাদেশ থেকে প্রথম বার অংশগ্রহন কওে এর চেয়ে বড় পাওনা আর কি হতে পারে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.