নদীতে বাঁধ দিলে জোয়ারের সৃষ্টি হয় । জোয়ার বাঁধ দিয়া রাখা যায় না । তুমি যতই বাঁধ দিবে ততই জোয়ার শক্তিশালি হবে । একদিন জোয়ার এর সৃষ্টি হবে । সেই জোয়ারের সহকামি হয়ে নিজেকে উৎসর্গ করব ।
ইহা একটি ফান বা ফালতু পোস্ট , ইহার চরিত্র , বা অন্য কিসুর সঙ্গে কোন জীবিত ,মৃত বা অরধ জীবিত কার বা কোন বস্তু এর সাথে মিল থাকলে আমি আর সামু বাদে বাকি সবাই দায়ী ।
দেশ টা অন্ধকারে , অবিচারে ,দুর্নীতি তে নিমজ্জিত হইয়া গেল ,এমন সময়ে হুদা ভাই দেশের জন্য একজন নবীন পথিক এর বড়ই অভাব বোধ হইতে লাগল । এদিকে কিছু তরুন প্রান পৃথিবীর উচ্চতম শৃঙ্গ জয় কয় করিয়া দেশ কে উর্ধে টানিয়া লইতে মহা ব্যস্ত হইয়া পরিয়াছে । তাহারা না হইলে এত দিন দেশ এর মান সম্মান বঙ্গপসাগরে নিমজ্জিত হইয়া যাইত । হুদা ভাই তাহাদের দ্বারা অনুপ্রানিত হইয়া তাহার ও পর্বত শৃঙ্গে আরোহণ করিয়া দেশ কে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়ার একান্ত মন বাসনা জাগ্রত হইয়াছে ।
কিন্তু কোন কিছু করিতে গেলে শত সহস্র বাধা সামনে আসিয়া উপস্থিত হয় । কিন্তু কবি কাজী নজরুল ইসলাম তারুণ্যের জয় গান গাহিয়াছেন । কবি বিভীষিকা কে দূরে ঠেলে সাফল্যের মুকুট আনিবার জন্য তরুন দের প্রতি আহবান জানিয়েছেন । হুদা ভাই সেই আহবানে অগ্নি মন্ত্রে দীক্ষিত হইয়া পিতার সামনে উপস্থিত হইল ।
হুদা ভাই ঃ আব্বাজান ,আপনার সহিত আমার কিছু কথা আছে ।
পিতা ঃ বল
হুদা ভাই ঃআব্বাজান ,আমার মনের মধ্যে দেশ প্রেম জাগ্রত হইয়াছে ,আমি দেশের মান সম্মান রক্ষার্থে এভারেস্ট এর চূড়ায় আরোহণ করিতে চাই ।
পিতা ঃ একি ? তোমার মাথায় কিছু হইয়াছে নাকি ?
হুদা ভাই ঃ না আব্বাজান ,আমার মস্তিস্ক বিভ্রম ঘটে নাই । এভারেস্ট জয়ের ধুম পড়িয়া গিয়াছে,যারা এভারেস্ট জয় করে তাদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষর থেকে ক্রমান্বয়ে অনন্য মৌলিক ধাতু দ্বারা লেখা থাকবে । এখন যদি আমি জয় না করি তবে পরে জয় করিলে সীসার অক্ষরেও লেখা থাকিবে না ।
পিতা ঃ আর কিছু বলার আছে ?
হুদা ভাই ঃ মানুষ যে হারে এভারেস্ট জয় করিতেছে এমন একদিন আসিবে যেদিন বিবাহের ক্ষেত্রে , চাকুরীর ক্ষেত্রে দেখা যাইবে পাত্রকে অবশ্যই এভারেস্ট জয়ী হইতে হইবে ।
পিতা ঃবুঝিতে পারিয়াছি ,তোমার সে রোগে ধরিয়াছে যে রোগ অতি বৃদ্ধদের হইয়া থাকে । পাবনায় আমার এক বন্ধু আছে,তাকে বলিয়া একখানা সীট বুকিং দিয়া রাখিব ।
ইহা শুনিয়া নন্দলাল সেইদিন অত্যন্ত হতাশা গ্রস্থ হইল , সেদিন রাতে খানা খাইয়া বিষণ্ণ মনে বিছানায় গমন করিল ।
হটাৎ হুদা ভাই এর বাবার ডাক , হুদা ,আমি তোমার জন্য সকল বাবস্থা করিয়ে রেখেছি । তুমি অতি শিঘ্র এভারেস্ট এ যাত্রা করতে পার ।
হুদা ভাই আনন্দে আটখানা হইয়া গেল ।
সপ্তাহ খানেক পর , আজ নন্দলাল এভারেস্ট এর চূড়ান্ত পর্যায় , কিন্তু পরিবেশ খুব প্রতিকূল । অতিশয় শীতে হুদা ভাই কাতর হইয়া পরিল ।
হঠাৎ নন্দলাল জেগে উঠল । বিদ্যুৎ নাই ,ঘেমে একাকার হইয়া গেছে ।
একি হুদা ভাই সপ্ন দেখিতেছিল !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।