আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্লিজ পোস্টটি পড়ুন

সবকিছুই তো থাকছে............... তবে অবশ্যই পবিত্রতার স্বার্থে এই ব্লগ একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও তাদের উত্তরসুরী-সমর্থকদের জন্য নিষিদ্ধ.......এটি শুধুতাদের জন্যই উন্মুক্ত যারা সুস্থ চিন্তার অধিকারী মুক্তবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ......

বিচারপতির বরাত ইজি চেয়ারটায় শুয়ে থাকতে থাকতে মাঝে মধ্যে ঢুলুনির মতো আসে। আধো ঘুম আধো জাগরনের মাঝে অদ্ভূত সব স্বপ্ন এসে ভর করে চোখে। প্রায় সময় স্বপ্নগুলোর আগা-মাথা থাকেনা কোনো। আজকের স্বপ্নটা অবশ্য একদম অন্য রকম। বজলুর রহমানের খুব ইচ্ছে করে স্বপ্নটা নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতে।

বাসা খালি, কেউ নেই। প্রায় সময় থাকেওনা কেউ। কে আসবে 70 বছর বয়সী একটি বুড়ো মানুষের সঙ্গে গল্প করতে ? টেলিফোনটা থাকলে হতো। পুরোনো কোন বন্ধুকে ফোন করে খুব আয়োজন করে স্বপ্নটা বলা যেতো। এখন সে উপায়ও নেই।

বজলুর রহমান অনেক চেষ্টা করেও মনে করতে পারলেননা, শেষ কবে টেলিফোনে কথা বলেছেন তিনি। মেলা বিল বাকী পড়েছিলো। তাই কাটা গেছে টেলিফোন লাইন। স্বপ্নের কথাটা কাকে বলা যায়-ভাবতে ভাবতে চেয়ার থেকে খুব কষ্টে ওঠার চেষ্টা করলেন তিনি। ডায়াবেটিসটা চেক করতে যাওয়া দরকার।

রক্তচাপটাও মেপে দেখা হচ্ছেনা অনেকদিন। কিন্তু কারও সাহায্য ছাড়া উঠে দাঁড়ানোটা তার জন্য হিমালয় জয়ের মতো ব্যাপার। অগত্যা উঠে দাড়ানোর চেষ্টা বাদ দিয়ে আবার ইজি চেয়ারটায় বসে পড়লেন তিনি। দুর সম্পর্কের এক ভাইপো এসে প্রতিদিন অন্তত একবেলা দেখে যায়। সহায় বলতে ওই ছেলেটাই।

ও না আসা পর্যন্ত চুপচাপ বসে থাকা ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই তার। সামান্য উঠে দাঁড়ানোর পরিশ্রমেই হাফ ধরে গিয়েছিলো তার। একটু জিরিয়ে নেয়ার জন্য চোখটা বন্ধ করতে যাবেন- তখনই মনে পড়লো ঘটনাটি- হাত একদমই খালি তার। ডাক্তারের ভিজিট লাগবে। ওষুধপত্র কিনতে হবে অনেক।

এই মূহুর্তে টাকা পাবেন কোথায় ? ওষুধপত্র কেনার টাকাটা অনেক সময় ছেলেটাই দিয়ে দেয়। লজ্জায় মাটির সঙ্গে মিশে যেতে ইচ্ছে করে তার। তারপরও না করতে পারেননা তিনি। কিন্তু আজকে ডাক্তারের কাছে যাওয়া-আসার ভাড়াটাই নেই তার কাছে। বজলুর রহমান অনেক পরে খেয়াল করলেন, গোটা শরীর কাঁপছে তার।

সেটা আতঙ্কে না দারিদ্রের লজ্জায়, পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারলেননা তিনি। আপনাদের হয়তো বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে, তবে 100 ভাগ সত্যি কথাটা হলো- এই বজলুর রহমান তালুকদার নামের মানুষটি একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। দারিদ্রের সঙ্গে লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে এই চিরকুমার মানুষটি সাহায্য চেয়েছেন দেশের দরদি মানুষের কাছে। দৃষ্টি আকর্ষন : লেখাটি দৈনিক প্রথম আলোর সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ছুটির দিনে 'র 363 তম সংখ্যা (22 জুলাই প্রকাশিত) য় সম্পাদকীয় হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখান থেকেই সহৃদয়বানদের দৃষ্টি আকর্ষন করে আমি হুবুহু তুলে দিলাম।

20 জুলাই প্রথম আলোতে এ সম্পর্কিত সংবাদ ছাপা হয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.