বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনা, প্রত্যাশা ও সম্ভাবনার সংগ্রহমালা
হৈমন্তী আত্মপ্রকাশ করেছিল প্রায় 92 বছর আগে সবুজপএে। এদেশের চিরায়ত বাঙ্গালী সমাজে হৈমন্তীর বলিদান পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর অবস্থানের সামাজিক ও আচরণগত দৈন্য ও বৈষম্যের এক প্রাণবন্ত চিএকর্ম। জুলাই মাসের 9 তারিখে নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত "নববধুর মূল্য" শীর্ষক লেখাটিতে উন্নয়নশীল বিশ্বে বাল্যবিবাহের শিকার কিশোরীদের উপর প্রতিবেদনটি হৈমন্তীদের কস্ট ও অসহায়ত্বের কথা আবার তুলে ধরে। এদেশে এখনও হৈমন্তীর যেমন বয়স বাড়েনি, তেমনি তার ভোগান্তি ও যন্ত্রণারও অবসান ঘটেনি। তাই হৈমন্তীদের দু:খ, কস্ট, যন্ত্রণা ও বঞ্চণার সেই চিরায়ত চিএে কোন পরিবর্তনও আসেনি।
হৈমন্তী শুধু গল্প নয়, সামাজিক অনুন্নয়নের ও নারীর প্রতি বৈষম্যের এক প্রামান্য দলিল। তাই এতো বছর পরে প্রশ্ন আসে কেমন আছে হৈমন্তী?
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রতি সাতটি মেয়ের মধ্যে একটি মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় পনের বছর বয়স হওয়ার আগে। ভারতের রাজস্থান ও উওর প্রদেশে এই হার 36%, বাংলাদেশে 37%, নাইজেরিয়ার উওর পশ্চিম এলাকায় 48% আর ইথিওপিয়ার আমহারা এলাকায় 50%। উপরের ছবিটি আফগানিস্তানে তোলা যেখানে বাল্যবিবাহের হার আশঙ্কাজনক। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দারিদ্র, ধমর্ীয় কুসংস্কার আর অশিক্ষার কাছে পণবন্দী হয়ে রয়েছে লক্ষ লক্ষ কিশোরী।
এর ফলে বাড়ছে নারী নির্যাতন ও নিপীড়ন। অপরিণত বয়সে বিয়ে গর্ভকালীন মৃতু্যর হার বাড়িয়ে দিচ্ছে। পাশাপাশি নারী পরিণত হয়েছে আর্থিক বিপণনের সামগ্রী হিসেবে। মুল প্রতিবেদনটি পড়তে চাইলে: http://tinyurl.com/ftr2g
দৈনিক ইওেফাকের 12ই জুলাইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে 10 থেকে 19 বছর বয়সীরা হচ্ছে মোট জনসংখ্যার 23 শতাংশ। জনমিতি স্বাস্থ্য সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী 15 থেকে 19 বছর বয়সী মেয়েদের প্রায় 46 শতাংশই এবং 10 থেকে 14 বছর বয়সী আরো 11 শতাংশ বিবাহিত।
গ্রামে এর চেয়ে কম বয়সেও বিয়ের নজির আছে। বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের প্রবণতা সবচেয়ে বেশী শতকরা 65 ভাগ। এর পর রয়েছে নেপাল ও ভারত যথাক্রমে 57 ও 46 ভাগ। এদেশের জনসংখ্যার প্রায় 50 ভাগ কিশোরী মেয়ে বিবাহিত। ভাগ্যিস নিই ইয়র্ক টাইমসের প্রকাশিত সংখ্যায় বাল্যবিবাহের এই হার প্রকাশ পায়নি।
গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে হৈমন্তীদের বলিদান এখনও চলছে। সামাজিক বৈষম্য যখন প্রকটভাবে বিরাজ করছে সেখানে হৈমন্তীদের আশু মুক্তির কোন সম্ভাবনা নেই। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে লিখুন হৈমন্তীরা কেমন আছে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।