আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জিদানের জয়নুদ্দিন হয়ে উঠা ও লালকার্ডে বিদায়

যা বুঝি, যা দেখি, যা শুনি এবং যা বলতে চাই

অবসর থেকে ফিরে এসে ফ্রানস ফুটবল টিমের নেতৃত্ব নিয়েছিলেন কাঁধে। বিশ্বে তার চেয়ে বেশি পরিচিত কোনো ফরাসী এখন নেই। ফ্রানেসর অধিবাসীরা তাই জিদানকে দেখেন দেশের এক নক্ষত্র হিসেবে। বয়স হয়েছে। ফুটবল খেলার প্রচন্ড পরিশ্রম এখন শরীরে কুলোয় না।

তারপরও ভাঙাচোরা ফ্রানস দলকে ফাইনালে তুলে এনেছেন কৃতিত্বের সাথে। ঝলসে উঠেছিলেন শেষ খেলায়। ফাইনালেও পেনালিট থেকে করেন দলের প্রয়োজনীয় গোলটি। তারপর ইতালির গোলে যখন খেলা গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে, তাও অর্ধেক সময় পার হয়ে গেছে, ধৈর্য হারালেন জিদান। কিছু একটা হয়তো বলেছিলেন ইটালির খেলোয়াড়টি।

দেহভঙ্গিমায় খুব কঠোরতা প্রকাশ পায়নি। জিদান ঘুরে এসে মাথা দিয়ে খেলোয়াড়টির বুকে প্রচন্ড আঘাত করলেন। এর আগে ক্লাবের খেলায়ও একবার তিনি এরকম মাথা দিয়ে আঘাত করেছিলেন। তাই বলে বিশ্বকাপে। শেষ খেলায়? তিনি কি ধৈর্য হারিয়েছিলেন? স্নায়ুর চাপে ভুগছিলেন।

নিশ্চিতভাবেই এটাই ছিল তার শেষ খেলা। ফুটবল থেকে বিদায় নিতেন তিনি তাতো নিশ্চিত। কিন্তু এমন অখেলোয়াড়োচিত আচরণ করে রেফারির লালকার্ডে তার বিদায় হবে এ ছিল ভাবনার অতীত। ফাইনালে জিতলে ফরাসীরা তাকে হয়তো আসমানে ঠাঁই দিতো। ফাইনালে হারলেও জিদানকে মাথায় তুলেই রাখতো ফরাসীরা এমনই ধারণা করি।

কিন্তু কেন তিনি হঠাৎ এতটা অভব্য আচরণ করে বসলেন তার হদিস হয়তো জানা যাবে না সহসা। তবে কি জিদান মুহুর্তের জন্য হয়ে উঠেছিলেন জয়নুদ্দিন? আলজিরিয়ার কোনো বদরাগী যুবকের প্রতিচ্ছবি?

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।