প্রায় সাড়ে ৭ বছর আগে হলেও ঐ ঘটনা আজো অনেক ফুটবল-ভক্তের মনে উজ্জ্বল। হোরেসিও-ও ঘটনাটা ভুলতে পারেননি। একই সঙ্গে এই আর্জেন্টাইন রেফারির বিশ্বাস, সেই ঘটনার জন্য অনেকেই তাকে মনে রেখেছে।
ফুটবল বিষয়ক বিখ্যাত ওয়েবসাইট ‘গোল ডটকম’-এর সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, “তাকে (জিদানকে) মাঠের বাইরে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্তটা ছিল ভীষণ কঠিন। তবে সেটা যে সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল, তা বুঝতে কারোর ভুল হওয়ার কথা নয়।
”
ঘটনাটার গুরুত্ব বোঝাতে হোরেসিও এরপর বলেন, “বিশ্বকাপের ফাইনালে অমন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেখানোর জন্য আমাকে আজো সবাই মনে রেখেছে। কারণ তিনি ছিলেন ফ্রান্সের অধিনায়ক এবং বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। ”
“ঐ ঘটনার পর দুটি বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেলেও সবাই আমার কাছে ঐ মুহূর্তটার কথাই জানতে চায়। ঘটনাটা ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ হলেও সেটা আমার নেয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল না। ”
কাকতালীয়ভাবে ৯ জুলাই বার্লিনের সেই ফাইনালের দুই গোলদাতাই জন্ম দেন আলোচিত ঘটনাটার।
সপ্তম মিনিটে জিদানের পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ১৯ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে ইতালিকে সমতায় ফেরান মাতেরাজ্জি।
নির্ধারিত সময়ে আর গোল না হওয়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১১০ মিনিটে জিদান বেরিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ফ্রান্সই বেশি ভালো খেলছিল। কিন্তু দলের সবচেয়ে বড় তারকাকে হারানোর ধাক্কায় বিপর্যস্ত ফরাসীরা টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে হেরে যায়।
তিনবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার জিদানকে অবশ্য দোষ দেয়া যায় না। মা ও বোন সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য শুনে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি তিনি, ক্ষুব্ধ হয়ে মাতেরাজ্জির বুকে গুঁতো দিয়ে বসেন।
আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন, বিশ্বকাপ খেলে ফুটবলকে বিদায় জানাবেন। জীবনের শেষ ম্যাচটা তাই অনন্ত আক্ষেপ হয়েই থাকবে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারের জীবনে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।