নতুন দিগন্তের খোঁজে...
গত 23 জুন ব্লাগারবৃন্দ জড়ো হয়েছিলেন কালপুরুষের বাসায়। 23 জুনের আশায় ছিলাম সেই কৌশিক ভাইয়ের পোস্ট পড়ার পর থেকেই। দিন যেতে না যেতেই 23 জুন এসে গেল। কিন্তু ব্লগার বন্ধু অ্যালন কে অনেক টানাটানি করার পরেও গেল না। গেল না সামহোয়র ইন . . . ব্লগের একজন খাঁটি পাঠক রাজু ভাই যিনি ব্লগে রেজিস্ট্রেশন করেননি কিন্তু পড়েননি এমন লেখা খুব কমই আছে।
কারণ তার কাছে ইন্টারনেট লাইন আছে। সে যাগগে।
বলছিলাম কালপুরুষের বাসার কথা। যেখানে অনেক ব্লগারদেরই আসার কথা। শুক্রবার আমার অফিস খোলা, কিন্তু তাই বলে কালপুরুষের বাসায় যাওয়ার কথা কিন্তু ভোলার নয়।
শত হলেও অনেক ঘটা করে এই জড়ো হওয়া। যেখানে ঝড়ো হাওয়ারও জড়ো হওয়ার কথা।
যা হোক, দুলদুল গাড়িতে করে দাড়িয়ে দাড়িয়ে হেলতে দুলতে গিয়ে নামলাম বনানী। সেখানে গিয়ে পকেটে হাত দিয়ে দেখি কালপুরুষের বাসার ঠিকানাতো আনিনি। কি আর করা মোবাইলে কউকে ধরার চেষ্টা করতে লাগলাম।
ধানসিঁড়ির মোবাইলে কল দিলে কি এক মহিলা কথা বলে, একবার বাংলায় একবার ইংরেজি তে। ছোট বেলায় আমি আবার ইংরেজি তো 02 পেয়েছিলাম কাস ফোরে থাকতে (পরের পরীায় অবশ্য 88 পেয়েছিলাম)। পুরো ফোনবুক খুঁজে কালপুরুষের মোবাইল নম্বর পেলাম না। মনে মনে ভাবলাম থাক আজ নাহয় গেলাম না। যাব না কেন? এতদূর এলাম তারপরে যদি না যাই তাহলে কেমন হয়।
সাইবার ক্যাফে খুঁজতে শুরু করলাম। বনানী মসজিদের কাছে গিয়ে তিন তলায় একটা সাইবার ক্যাফে পাওয়া গেল। কিন্তু সামহোয়ার ইন . . . ব্লগে ঢোকা গেল না সহজে। কম্পিউটার পরিবর্তন করে তার পরে অনেক কষ্টে ঢুকলাম। পকেটে হাত দিয়ে দেখি কলম নেই।
ক্যাফের লোকটার কাছে চাইলাম কিন্তু দুঃখের বিষয় কলমটাতে কালি নেই। অতপর কলম পরিবর্তন। অতপর কালপুরুষের বাসায় পদর্াপন। লিফট অতপর সিঁড়ি বেয়ে উঠেতেই ধানসিঁড়ি লাফ দিয়ে উঠলেন। "আরাফাত....." ইত্যাদি ইত্যাদি।
সেকি এক কঠিন পরীার মধ্যে পড়া গেল। কিন্তু কউকেই ধরা গেল না কোনটা কে। ধানসিঁড়ি ছাড়া আমি আর কোন সিঁড়ি চিনি না। তবে পরীায় পাশই করেছি বলতে হবে। দু একটা ভুলের পর কৌশিক ভাই, ঝড়ো হাওয়া, অন্যমনষ্ক শরৎ কালপুরুষদেরকে চিনতে পেরেছিলাম।
তবে সুনীল সমুদ্র'র কুল চিনতে পারিনি।
কিছুণ পরে ইমন ভাই আসলেন। তাকে নিয়ে কি একটা হট্টোগোল বাধলো। আমার মনে হয় তার পোশাক নিয়ে সমস্যা ছিল। কি একটা লম্বা পোশাক পড়ে এসেছিলেন ইমন ভাই তাই নিয়ে সবার যত মন্তব্য।
গান গাওয়া হলো, কবিতা পাঠ হলো, ব্লগে পোস্ট করা লেখাও পাঠ করলেন সুনীল ভাই। কারো মুখে তখন কোন কথা নাই। সবার চোখে পানি। আসলেই প্রাপ্তিকে নিয়ে লেখা সেই লেখাটি চোখে জল প্রাপ্তির মতই।
সাদিক মোহাম্মদ আলম, জিন্নাতুল হাসান (হাসান ভাই) উনারা অনলাইনে ছিলেন।
ওয়েব ক্যামে তাদের সাথে চ্যাট করলাম। প্রাপ্তিকে নিয়ে শরৎ ভাইয়ের করা ভিডিও চিত্রটি দেখলাম।
অতপর খাওয়া দাওয়া হলো। কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হলো। আতাউর ভায়ের জীবন কাহিনী শুনলাম।
অতপর যাবার পালা।
বাড়ি যাওয়ার জন্য কোন গাড়ি রাস্তায় নেই। সস্তায় যাওয়া যাবে বলে মনে হলো না। কি আর করা। ট্যাঙ্ িক্যাব একটা নিলাম।
ভাড়াও দিলাম। অবশেষে বাসায় গিয়ে গফুর ভায়ের তাড়া খেলাম। "এত রাত পর্যন্ত কোথায় ছিলেন?" প্রাপ্তির কথা বলে পাড় পেয়ে গেলাম।
যারা সেদিন আসতে পারেননি তারা আমার এই লেখা পরে হয়তো কিছুটা স্বাদ পাবেন আশা করি। যদিও কিছুটা দেরি হয়ে গেল।
ইচ্ছে করেই দেরি করেছি। এবিষয়ে আরও অনেকেই লিখেছেন। পরের দিন লিখলে তাদের লেখার ভীড়ে আমারটা হারিয়ে যেত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।