আমার আসলে হবে না কিছু। আনিস বেশ হতাশা নিয়ে কথাটা বলে।
কেন? তুমি হতাশ হচ্ছো কেন? দুশ্চিন্তাগ্রস্থ নিতুর প্রশ্ন।
আরে ন। হবে না।
আমার কোনদিনও কোন গতি হবে না। আমার মেইন সার্ভারেই মনে হয় সমস্যা।
তারপর দুজনের আর কোন কথা নেই।
আনিস আর নিতু পাশাপাশি বসে আছে মাঠটায়। বিরান মাঠ।
যতদুর দৃষ্টি যায় আকাশ আর আকাশ। আনিসের আজকের হতাশা নিতুকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছে। অথচ সে কি ভয়াবহ আত্মবিশ্বাসী মানুষ ছিল। তার ডায়ালগগুলো একে একে মনে করতে থাকে নিতু।
একদিন বলছিল, তুমি চাইলে ডাউনলোড দিয়ে আকাশ নামিয়ে ফেলব।
জোসনা ছুয়ে দেখতে চাও? দাড়াও, এক মিনিট। লিংক এনে দিচ্ছি।
আজ সেই আনিসের কণ্ঠে হতাশা।
নিতুর আর ভাবতে ইচ্ছে করে না। ভাবনার ব্যান্ডউইথ কমে আসে তার।
নিতু অনেক বোঝাতে চেষ্টা করেছে। নিতু বোঝানোর মাত্রা যত বেড়েছে। আনিসের হতাশাও বেড়েছে দ্বিগুন গতিতে।
সেই থেকে দুজনের মধ্যে অজ্ঞাত দুরুত্ব বেড়েছে প্রতিদিন। নিতু আনিসকে বোঝায়।
আনিস চেষ্টা করে। তবে হয়না কিছুই।
আনিস একটা চাকরী খুঁজতে খুঁজতে তার জুতোর কয়েক গিগাবাইট স্পেস হারিয়ে ফেলে। আনিস বুঝে যায়, এই শহরে চলতে হলে মামা চাচার ব্রডব্যান্ডের লাইন প্রয়োজন। তার বিটিটিবির লাইন দিয়ে চলবে না।
এ ভাবনার সাথে সাথে নিতুকে না পাওয়ার ভাবনাও তার মাথায় চলে আসে। কারন, নিতু বাবার কঠিন শর্ত চাকরী করতে হবে। নিতুর বাবা বেশ কঠিনভাবেই বলেছিল, বিয়েটা এতো সহজ জিনিস না যে, ইচ্ছেমত লগ ইন লগ আউট করবা।
এভাবে ক্রমশ তীর হারানো আনিস একদিন চরম কষ্ট বুকে চেপে নিতুর জীবন থেকে অফলাইন হয়ে যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।