মন'রে কৃষি কাজ জানো না, এমন মানব জমিন রইলো পতিত, আবাদ করলে ফলতো সোনা
আমার বাবা আইন ব্যবসায় নামার আগে চাকরী করতেন। কাপ্তাই পাওয়ার প্রজেক্টের হেড একাউনট্যান্ট। বাংলাদেশীরা যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও ওখানে পেয়েছিল সব শ্রমিকের পোস্ট।
পানজাবী রা সব গুরুত্বপর্ূণ পোস্ট। আর একই পোস্টে পানজানি আর বাংগালীদের বেতন পর্াথক্য ছিল তিন গুণ ।
পানজাবিরা খাইতো নাকি একজেন চাইর মানুষের খাওয়া । দুইবার ঐ খানে বেতন নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিছিল । আমার বাপে একবার বাংগালীদের তরফে ওকালতি করিয়া ওদের দাবী মিটাইছে। এই কাহিনী বললাম একটা কারণে, উনি নিজে ভারত ভাগের সময় ছিল মনে হয় 18/19 বয়সী । এই ভাগে উনার নিজের পর্ূণ সর্মথন ছিল।
কিন্তু এই কাপ্তাই পাওয়ার প্ল্যান্টের ঘটনা উনি
দেখি য়ে বলতেন , যে পাকিস্তান টিকবে না , টিকার ছিল না। কারন পশ্চিম পাকিস্তানিরা কখনোই আমাদের কে ভাই ভাবে নাই।
উনি নিজে সাদা ধবধবে দাড়ি সমেত একজন সত্যিকার মানুষ ছিলেন , মোর দেন এ মুসলিম । এ্যাডভোকেট হিসেবে উনার প্রচার এবং পাককা মুসলিম দেখে 70 এর ইলেকশনে উনারে জামায়াত থেকে দাঁড়াতেও বলছিল । উনি দাঁড়ায়নি ।
যুদ্ধের সময় যখন দালালরা এসে বললো আসেন উকিল সাহেব , সবাই নিতাছে আপনি কিছু নিবেন না । আমাদের পাড়ার পেঁচকা দাদুর (উনি ভয়ে ইন্ডিয়া পালিয়েছে তখন , হিন্দু) , বাড়ি জায়গা দখল করতে বলছিল নে নাই । আর সেই আমার বাপরে দোহাজারী তে বাস থামায়ে জিজ্ঞাসা করছে , সুরা বল । প্রাণের ভয়ে উনি সুরা সম্ভবত ভূল বলেছিল , শংখ নদীর ধারে গুলি করার জন্য লাইনে দাড়া করাইছে । পরে অবশ্য যে হুজুর সুরা পড়ায় মারা যাওয়ার আগে সে চিনতে পারায় বেঁচে যায় উনি ।
উনারাও মুসলিম ছিল কিন্তু উনাদের চোখ খোলা ছিল, মনের জানালায় শকুনের আহবানে সাড়া দেয় নাই ।
কারণ রক্তজবার ক্ষত তিনি অনুভব করেছিলেন
কারন র্সবোপরি তিনি একজন মানুষ ছিলেন
সব র্ধমের র্উধে তিনি মানব র্ধম কে শ্রেয় মনে করেছিলেন
তিনি হৃদয়ের ক্ষতে হায়েনার থাবা দেখতে পেয়েছিলেন
তার অনেক দোষ ত্রুটির পরও তাকে তাই সম্মান করি।
=======================================
19 শে' জুন 2006
রাত 11:58
কলাম্বিয়া।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।