সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
মজিদ মাজিদির এই ছবিটা তৃতীয়বারের মতো দেখলাম। বাচ্চাদের নিজস্ব জগৎ আছে। চিন্তার বিশেষ পদ্ধতি আছে। আর আছে সমস্যা সমাধান করার নিজস্ব পদ্ধতি।
ইরানি এই ছবিতে গরিব ঘরের দুই বাচ্চার যে সব কাণ্ড-কারখানা তুলে ধরা হয়েছে তা ম্যাজিককে প্রায় ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু ঘটনাগুলো সবই বাস্তব। বোনের জুতা সেলাই করে আনার সময় হারিয়ে ফেলে আলি। তারপর আলির একজোড়া জুতা দিয়েই কাজ চলতে থাকে তাদের। বাবা মাকে যেন বলে না দেয় এজন্য বোনকে ঘুষ দিতে থাকে আলি।
বোনের স্কুল শেষ হলে সেই জুতা পরেই স্কুলে যেতে হবে আলিকে। তার আছে দ্রুত ছুটবার তাড়া। বোন স্কুল থেকে দৌড়ে ফেরে আর আলি সে জুতা বদল করে ছুটতে থাকে স্কুলের দিকে। তাজ্জব কাহিনী। কিন্তু তাদের জুতার আর বন্দোবস্ত হয় না।
শেষ পর্যন্ত আলি খবর পায় তাদের প্রদেশে এক দৌড়প্রতিযোগিতা হবে। সেখানে তৃতীয় পুরস্কার জুতা। তৃতীয় হওয়ার জন্য দৌড়ে অংশ নেয় সে। কিন্তু হয়ে যায় প্রথম। প্রথম হওয়ার দুঃখে ধাদতে থাকে।
বেহেশতের বাচ্চাদের কেউ দেখেনি। কিন্তু ছবিটা দেখলে বোঝা যায় দুনিয়ার বাচ্চারা কেমন হেতে পারে। ছবিটি তৈরি হয়েছে 1997 সালে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।