দেশের আলোচিত সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। এ সম্মেলনে আগামী দিনের কর্মসূচি নির্ধারণের পাশাপাশি নতুন শূরা কমিটি গঠন এবং কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠিত হবে। একই সঙ্গে হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির বিতর্কিত মঈনুদ্দীন রুহীসহ তিন নেতার বহিষ্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
হেফাজতে ইসলামের মুখপাত্র, সাহিত্য সম্পাদক মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী বলেন, 'শনিবার (আজ) সকাল ১০টা থেকে ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন শুরু হবে। সম্মেলনে সংগঠনের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হেফাজতের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে যোগদান করতে সারা দেশের দুই শতাধিক নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সম্মেলনের ভেন্যু মিডিয়ার কাছে প্রকাশ না করলেও তা ফটিকছড়ির বাবুনগরে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে ১৩ দফা আদায়ের জন্য আগামী দিনের কর্মসূচি নির্ধারণের পাশাপাশিগঠিত হবে ২৫ সদস্যের শূরা কমিটি। শূরা কমিটিতে হেফাজত আমির আল্লামা আহমদ শফী ও মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীর পাশাপাশি মহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, মুফতি ওয়াক্কাস, মাওলানা ছলিমুল্লাহ, মুফতি জসিম উদ্দিন প্রমুখ স্থান পাবেন। এ ছাড়া বর্তমান কমিটির কিছু নেতাকে বাদ দিয়ে পুনর্গঠিত হবে ১৪০ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি। নতুন করে কমিটিতে কয়েকজন নায়েবে আমির ও যুগ্ম-মহাসচিব যুক্ত হবেন। এ ছাড়া পুনর্গঠন হবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি। কর্মসূচির বিষয়ে এক নেতা জানান, ১৩ দফা আদায়ের জন্য ফের অবরোধ ও মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা দিতে পারে হেফাজত।
বিতর্কিত তিন নেতার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন সাধারণ নেতা-কর্মীরা : হেফাজতের বিতর্কিত যুগ্ম-মহাসচিব মঈনুদ্দীন রুহী, মুফতি ফয়জুল্লাহ এবং কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক, হেফাজত আমিরের ছেলে মাওলানা আনাস মাদানীর বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন সংগঠনটির সাধারণ নেতা-কর্মীরা। গতকাল হেফাজত কর্মীরা রুহীর অনুসারীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র বিলি করেন। 'খোলা চিঠি' নামে ওই শ্বেতপত্রে অভিযোগ করা হয়- ৫ মে শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চক্রান্তে লিপ্ত হন রুহী ও তার অনুসারীরা। অভিযোগ, এ জন্য একটি পক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকাও নেন রুহী। রুহীর কারণে হেফাজতের আন্দোলনে কলঙ্ক লেপন হয়। এ ছাড়া ওই শ্বেতপত্রে অভিযোগ করা হয়- মাদ্রাসাছাত্রদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, অর্থ আত্দসাৎ এবং প্রতারণার অভিযোগে মাদ্রাসা ও সমাজ থেকে রুহীকে নয়বার বহিষ্কার করা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হেফাজতের এক শীর্ষ নেতা বলেন, রুহী ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে সাধারণ নেতা-কর্মীদের অনেক অভিযোগ রয়েছে। রুহীকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছেন আমিরের ছেলে আনাস মাদানী এবং মুফতি ফয়জুল্লাহ। আজকের ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে তাই তাদের বহিষ্কার করা হবে। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নিতে রুহীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।