একদিন হয়তো তুমি পড়বে এই লেখা, তাই লিখি শীতের বিকেলগুলো কেমন যেন!
মনটা কেমন যেন উদাস উদাস, বিষন্ন হয়ে যায়। কিছু ভালো লাগে না, অথচ কোন কারণও নেই তার।
বিকালের রোদ গায়ে লাগতে না লাগতেই হারিয়ে যায়। ঝুম করে সন্ধা নেমে আসে। বন্ধূর সাথে দূরে মটর সাইকেলে গিয়ে, সরিষা খেতের পাশে চা খেয়ে ফিরতে না ফিরতেই সন্ধা নেমে আসে পথে।
একদিন এরকম বিকালে আমাদের আড্ডা হতো রাজেন্দ্র কলেজের মাঠে। আহা কেমন না ছিল সেই সব দিন। বিকালে তেতুলতলায় মাঠে চা খেয়ে গলা ছেড়ে গান গেয়ে উঠত আমার কোন কোন বন্ধু। পকেটে তখন থাকত মাত্র দশ টাকা। বিকালে চা পুরি খেয়ে কলোনীর মাঠের পাশের রেলিঙে বসে থাকতাম।
সেই সব বন্ধুদের সাথে এখন যোজন যোজন পার্থক্য তৈরি হয়ে গেছে।
রাজেন্দ্র কলেজের মাঠে বড় মেহগনি গাছের নীচে বসে আবোল তাবোল ভেবে কেটে গেছে কতদিন। সাহিত্যের আড্ডায় তখন মার্কেজের নতুন লেখা গল্প নিতে হতো জটিল আলোচনা।
রিপনভাইয়ের চায়ের দোকানে গরম সিঙারায় কামড় দিতে গিয়ে ঠোট পুরে যেত। এরই মাঝে হাসান ভাই এসে পিঠে চাপড় বসাতো।
আমাদের কলেজের ফর্সা সুন্দরী মেয়েরা রাস্তা দিয়ে হেটে গেলে আমরা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতাম। তখন সময় ছিল যৌবনের, তবে আমরা ছিলাম না ততটা সাহসী, তাই যেসব বন্ধূদের প্রেমিকা ছিল, তাদের দিকে তাকাতাম ইর্ষার চোখে।
এখন সবাই কত ব্যস্ত হয়ে গেছে। সবার নিজের জগত। এখন আর সেই মেহগনী গাছের নীচে যাবারও সময় নেই কারো।
আর এমনকি মেহগনী গাছ আর রাস্তাগুলোয় কত বদলে গেছে !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।