বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ড. এ কে এম নূর-উন-নবী।
গতকাল বিকাল ৩টা থেকে চাকরি হারানো ৩৩৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী তাকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে লাগাতার কর্মসূচি শুরুর পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে উপাচার্য বলেন, এত অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। অনেক আশা নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম। গত ৫ মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে অনেক এগিয়েছি।
কিন্তু একটি পক্ষ তা চায় না বলেই অযৌক্তিভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না বলে তিনি রংপুরবাসীর কাছে ক্ষমা চান। তার সিদ্ধান্তের কথা শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাবেন বলেও জানান তিনি।
বেলা ৩টায় চাকরি হারানো কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রগতিশীল কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ রেখে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। সংগঠনের মুখপাত্র ও চাকরি হারানো নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উপাচার্য চাকরির নিশ্চয়তা প্রদান করলেই কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক (রেজিস্ট্রার) শাহজাহান আলী মণ্ডল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন পাওয়া শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ২৬০ জন। ইউজিসির নির্দেশ উপেক্ষা করে পদ সৃষ্টি না করেই আগের উপাচার্য ছয় মাস মেয়াদে অস্থায়ী ভিত্তিতে ৪১৪ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ করেন। তাদের মেয়াদ ৩০ জুন শেষ হয়ে গেছে। অতিরিক্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিতে গিয়ে অনুমোদিত শিক্ষক-কর্মচারীদের মে ও জুন মাসের বেতন ফুরিয়ে যায়। এসব নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় ৫ মে উপাচার্য ড. আবদুল জলিল মিয়াকে অব্যাহতি প্রদান করে আচার্যের দফতর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।