রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ৩২ রানের মধ্যে আবাহনীর দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফীস ও নাজিমউদ্দিনকে আউট করে দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন মাশরাফি।
কিন্তু ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় ভালো শুরুর সুবিধা কাজে লাগাতে পারছিল না মোহামেডান। সতীর্থদের বাজে ফিল্ডিংয়ে মাঠেই বেশ কয়েকবার হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায় মাশরাফিকে।
আবাহনীর ইনিংসের শেষ দিকে রান নেয়ার জন্য ছুটে আসা আলাউদ্দিন বাবুর সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে তাকে জড়িয়ে ধরেন মোহামেডান অধিনায়ক। ব্যাটসম্যান এ নিয়ে কোনো আপত্তি না জানালেও আবাহনীর সমর্থকরা মাশরাফির নামে দুয়ো দিতে থাকে।
যদিও এই মাশরাফির অধিনায়কত্বে দুবার লিগ শিরোপা জিতেছিল আবাহনী।
আবাহনীর ইনিংস শেষে মাঠ থেকে ফেরার সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি মাশরাফি। ভিআইপি গ্যালারিতে বসা আবাহনীর সমর্থকদের দিতে তেড়ে যেতে চাইলে শামসুর রহমান শুভসহ কয়েক জন সতীর্থ তাকে জাপ্টে ধরে নিজেদের সাজঘরে নিয়ে যান।
খেলার শেষে অবশ্য দেশের অন্যতম সেরা পেসারের মুখেই ছিল বিজয়ীর হাসি। ৪০ রানে ৪ উইকেট নেয়ার পর ব্যাটিংয়ে নামার সময় আবার দুয়ো শুনলেও তা পাত্তা দেননি মাশরাফি।
১২ বলে একটি করে ছক্কা ও চারের সাহায্যে ১৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে মোহামেডানকে ৩ উইকেটের জয় এনে দিতে ভালো অবদান রাখেন তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।