তারেক জিয়াকে জড়িয়ে "হাওয়া ভবন" এবং খাম্বা সহ প্রচুর প্রোপাগান্ডা চলে, যারা ভাবেন ওগুলা বুঝি সত্যি কিংবা সন্দেহে ভুগেন তাদের জন্য এই লেখাটি। নিচে যেসব লিঙ্ক দিয়েছি তা ভালো করে পড়ে বিবেচনা করছেন। বিশেষ করে, অনলাইনে আওয়ামী সমর্থক এবং পেইড অ্যাক্টিভিটিস্টরা কোন প্রমাণ তথ্য ছাড়াই এই প্রপাগান্ডা ভয়ংকর ভাবে ছড়িয়ে থাকে। তাদের জন্য ছুড়ে দেওয়া নিচের তথ্য-উপাত্ত গুলো ওপেন চ্যালেঞ্জ ।
তারেক জিয়া কে নিয়ে কেন এই সরকারের এত মাথা ব্যাথ্যা? বছরে কেন ১৬ কোটি টাকা ব্যায় করা হয় শুধু তারেক জিয়ার নামে অপ প্রচারে?
লিংক
খাম্বা, হাওয়া ভবন সম্মন্ধে অনেক কথাই বলি, না জেনে।
বিদ্যুৎ নাই, খাম্বা কেন? এবার শুনেন খাম্বার ইতি কথা।
2000 সালে পাওয়ার জেনারেসনে ফান্ড দেয়ার পর এডিবি নতুন বিএনপি সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করে পাওয়ার সেক্টর ডেভেলপমেন্ট এর উপর, যার বড় একটি অংশ জুড়ে ছিল পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউসন সিস্টেম উন্নয়ন করা, সিসটেম লস কমানো ও বিল আদায় বাড়ানো। সেই পলিসির কারনে পাওয়ার জেনারেসনে ফান্ডিং কমিয়ে দেয়। এবং ভবিষ্যত ফান্ডিং এর উপর 8 টি শর্ত জুড়ে দেয়া হয়।
তার একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল বহুল আলোচিত খাম্বা।
2001 এর 17ই ডিসেমবার 260 মিলিয়ন ডলারের প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয় বাংলাদেশের পশ্চিমানচলের খান্বার জন্য ও অন্যান্য রিফরময়ের জন্য। যার মধ্যে 200 মিলিয়ন ডলার ছিলো এডিবি লোন।
West Zone Power System Development Project
১। লিংক(Page 5)
২। লিংক
তারপর, 2003 সালের 10ই ডিসেম্বারে 2 ভাগে আরো 280 মিলিয়ন ডলার লোন দেয়া হয় পাওয়ার সেক্টর রিফরম ও উত্তর পশ্চিমানচলের খাম্বা ও মেঘনাঘাট-2 প্রজেক্ট।
Power Sector Development Program
১। লিংক
২। লিংক
তারপর 2005 সালে 800000 ডলার দেয়া হয় আরেকটি রিফরম এর জন্য।
Corporatization of Bangladesh Power Development Board(BPDB)
লিংক (Page 9)
এখানে সব প্রজেকট এর খবর পাবেন।
লিংক
এইসব শর্ত পুরনের উপর ভিত্তি করেই বলা হয় যে বাংলাদেশ 2 ভাগে আরো 465 মিলিয়ন ডলার পাবে পাওয়ার জেনারেশনের জন্য।
Sustainable Power Sector Development Program (Project)
১। লিংক
২। লিংক
যা কিনা 2007 সালে দেয়া হয়েছে। এর বড় একটি অংশ যাবে জেনারেশনে।
--------------------------------------------------------------------
সুতরাং খাম্বাগুলো ছিলো এডিবির শর্তের একটা বড় অংশ।
তারেক জিয়ার কোনো চুরির ধান্ধা না।
তারেক রহমানের মালয়েশিয়াতে টাকা পাচারের কাহিনী
=============================
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়াতে অর্থ পাচারের প্রথম অভিযোগ বাংলাদেশে আসে গুজবের মেশিন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার মুখ থেকে ফেব্রুয়ারীর 25 তারিখ 2004 এ, যা ফেব্রুয়ারী 26, 2004 এ প্রকাশিত হয়, তিনি ভোলাতে দেশবাসীকে তারেকের 11000 কোটি টাকা পাচারের খবর দেন। সেইখানে তিনি জানান যে তারেক মালয়েশিয়া, সিংগাপুর ও থাইল্যান্ডে এই অর্থ পাচার করে।
At party rallies in Bhola amid mounting fears of attack by political rivals, she accused a son of the premier of siphoning off Tk 11,000 cores from Bangladesh to Singapore, Thailand and Malaysia. : লিংক
এবং এরপর তিনি সেই বছরেরই 21শে ডিসেম্বর 2004, যা প্রকাশিত হয় 22শে ডিসেম্বর 2004 এ, ঢাকায় জানান যে প্রধানমন্ত্রীর পরিবার ক্ষমতা গ্রহনের 2 বছরের মাথায় 80000 কোটি টাকা পাচার করে।
According to her, the PM's family members alone have transferred about Tk 80,000 crore abroad in the first two years of the present government.
এবং তিনি আরো জানান যে, মালয়েশিয়া সরকার এই টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে এবং ইনভেস্টিগেশন পুরাদমে চলছে ………হা....হা....।
"The Malaysian government has forfeited it and an investigation is on over there about the matter," she told a discussion organised at the Institution of Engineers, Bangladesh by Bangabandhu Parishad in the city to mark the Victory Day. :
লিংক
তো, এটাই হচ্ছে তারেক রহমানের মালয়েশিয়ায় টাকা পাচারের ইতিকথা যা কিনা পরবর্তীতে সারা দুনিয়াময় বাংলাদেশীদের মধ্যে বিদ্যূত গতিতে বিভিন্ন শাখা প্রশাখা গজিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে যেমনটা ছড়ায় সব কথা ।
কিন্তু, মালয়েশিয়ার কোন পেপারে এই পাচার বা ইনভেস্টিগেশনের কথা আসে নাই এবং এই তথাকথিত ইনভেস্টিগেশন এখনো শেষ হয়েছে কিনা তাও আমরা কেউই জানিনা।
এই টাকা পাচার করার জন্য তারেকের পরিবারকে গড়ে প্রতিদিন 110(=80000/730) কোটি টাকা করে চাদা নিতে হয়েছিল…………মাত্র.....।
ফেব্রুয়ারী 2004 এ হাসিনা বললেন 11000 কোটি, আর ডিসেম্বর 2004 এই বললেন 80000 কোটি!!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জিগ্যেস করা উচিত, আসলে কোনটি সঠিক !!!
Copy Paste Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।