১: পোশাক শিল্প থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ শতকরা ৭৮ ভাগ।
২: পোশাক শিল্প রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান ২য়।
কিন্তু মজুরি মাত্র ৬০০ টাকা বৃদ্ধি ? এটা কি মশকারি ? বিজিএমই থেকে বলা হচ্ছে তাদের প্রতি সদয় হওয়া উচিত। আর কত সদয় হবে ? সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী দারিদ্র্যসীমাকে ভিত্তি ধরা হলে এ মুহূর্তে একজন শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি হওয়া উচিত ছয় হাজার ৪৪৫ টাকা। আর একজন শ্রমিকের জীবনযাপনের সর্বনিম্ন ব্যয় বিবেচনায় নিলে মজুরি হওয়া উচিত আট হাজার ২০০ টাকা।
এ ছাড়া একজন শ্রমিক যদি তাঁর ছেলেমেয়েসহ একটু পুষ্টিকর খাবার খেতে চান, তাহলে তাঁর ন্যূনতম মজুরি হওয়া উচিত ১৭ হাজার ৮০০ টাকা।
তাহলে আমাদের শ্রমিকরা আর কত সদয় হবে ? তারা তো পুষ্টিকর খাবার খেতে চায় নাই। চেয়েছে শুধু সর্বনিম্ন ব্যয়ে জীবন কে যাপন করতে। আর কত সদয় হবে ? মজুরি বাড়াতে বললে মালিক পক্ষ বলবে তাদের লাভ হবে না। তাদের মাঝারি বা ছোট প্রতিষ্ঠান।
দিতে গেলে তাদের কারখানা লাভজনক থাকবে না, কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে। অর্থাৎ তাঁদের যুক্তি অনুযায়ী মালিকদের ব্যবসা লাভজনক রাখার জন্য শ্রমিকদের এরকম মজুরিই নিতে হবে।
অর্থনীতিতে যা পড়েছি, মজুরি হচ্ছে শ্রমিকদের শ্রমশক্তির দাম। এই দাম বা মজুরি ঠিক করতে গেলে অন্য সব পণ্যের মোট উত্পাদন খরচ হিসেব করতে হয়। মালিক কখনই তার যা উত্পাদন খরচ তার থেকে কম দামে কি তার পণ্য বিক্রি করবে ? কখনই না।
তারা কি তাদের সমস্যার কথা বলে কাপড়, রং, সুতা, কাচামাল এসব কম দামে কিনতে পারবে ? পারবে না। অন্য সব খরচ বহন করতে রাজি ; শুধু শ্রমিকের দাম দিতে গেলে লাভ হয় না তাদের !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।