আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লংমার্চ খুলনায়

যাত্রা শুরুর পর চতুর্থ দিন শুক্রবার খুলনায় পৌঁছান লংমার্চে অংশগ্রহণকারী কয়েক হাজার মানুষ। বিকালে জনসভা শেষে এখানেই রাতযাপনের কথা রয়েছে তাদের।
শনিবার সকালে চূড়ান্ত গন্তব্য দিগরাজের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে সুন্দরবন রক্ষার এই লংমার্চ।
শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে যশোর থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হন আন্দোলনকারীরা।   পথে যশোরের নওয়াপাড়া ও খুলনার ফুলতলায় দুটি পথসভা  হয়।

দুপুর ২টার দিকে তারা দৌলতপুরে পৌঁছান।
ফুলতলা বাস স্ট্যান্ডে পথসভায় তেল- গ্যাস- খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ- বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন,  “বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনেক বিকল্প আছে, অনেক স্থান রয়েছে। সেই বিকল্প পথে না গিয়ে সরকার ভারতীয় আধিপত্যের তাঁবেদারি করে সুন্দরবন ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে।
সভায় স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
প্রকৌশলী শহীদুল্লাহ বলেন, “ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কর্পোরেশন (এনটিপিসি) নিজেদের দেশে তিনটি রাজ্যে এই ধরনের কয়লাভত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে গিয়ে প্রত্যাখাত হয়েছে।

সেই এনটিপিসি  বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে সুন্দরবন ধ্বংসের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ”  সুন্দরবন রক্ষা করে দেশের স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখতে জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
লংমার্চকারীরা  স্থানীয়দের মধ্যে প্রস্তাবিত রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতিকর দিক নিয়ে প্রচারপত্রও বিলি করে।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, আগামী ২২ অক্টোবর ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিস্থাপন হবে। তবে কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সুন্দরবন হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছে পরিবেশবিদসহ রামপালের বাসিন্দারা।


এই প্রতিবাদের অংশ হিসাবেই মঙ্গলবার ঢাকা থেকে লংমার্চ শুরু করেন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রবিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার ঘোষণা শুনে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিস্থাপন প্রতিহতেরও ঘোষণা দিয়েছে তেল -গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।
অন্যদিকে কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন এই প্রকল্প নিয়ে ‘অপপ্রচার’ চালাচ্ছে বলে সরকারের এক প্রেসনোটে বলা হয়েছে।
২৮ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটের মংলা উপজেলার দিগরাজ এলাকায় সমাপনী সমাবেশ ও ঘোষণাপত্র পাঠের মধ্য দিয়ে  এ লংমার্চ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.