আরাধ্য জয়ই বটে। এই মৌসুমে জয় যেন সোনার হরিণ হয়ে গেছে এসি মিলানের জন্য। তাই কাল রাতে সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ে ফুটে উঠল উচ্ছ্বাসটা। মৌসুমে দ্বিতীয় জয়টি বেশ তাড়িয়েই উপভোগ করেছে ‘রোসোনেরি’রা। খেলার ৪৬ মিনিটে স্লোভেনিয়ান ভালটার বিরসার দেওয়া একমাত্র গোলটিই শেষাবধি জয়-পরাজয়ের নিয়ামক হয়েছে।
গতকালের জয়ে সিরি ‘আ’র পয়েন্ট তালিকার অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে মিলান। ম্যাচের প্রথম থেকেই সুস্পষ্ট প্রাধান্য ছিল মিলানের। ১৭ মিনিটে রবিনহোর ভাসিয়ে দেওয়া বলে কেভিন কনস্ট্যান্টের তীব্র ভলি সাম্পদোরিয়ার পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। সাত মিনিট বাদে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে বিরসার বাঁকানো ফ্রি-কিক বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ২৬ মিনিটে অবশ্য মিলানের গোলে বল ঠেলার মোক্ষম সুযোগ এসেছিল সাম্পদোরিয়ার সামনে।
কর্নার থেকে পাওয়া বলে আন্দ্রেয়া কস্তার হেড বারপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ২৮ মিনিটে মনোলো গাব্বিয়াদিনি প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে শট নিলে তা মিলানের ক্রসবারে হাওয়া লাগিয়ে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মিনিটে সুলে মুনতারির ভলি গোলে প্রবেশের মুখে সাম্পদোরিয়ার শোকদ্রান মুস্তাফির গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন না করলে মিলান হয়তো এগিয়ে যেতে পারত তখনই। এরপর মুহূর্তেই বিরসার ফ্রি-কিক থেকে ফিলিপ্পে মেক্সেস পা লাগাতে ব্যর্থ হলে হতাশা নিয়েই বিরতিতে যেতে হয় আলেগ্রির ছেলেদের।
দ্বিতীয়ার্ধেই শুরুতেই গোল পেয়ে যায় মিলান।
রবিনহোর পাস সাম্পদোরিয়ার বক্সের ঠিক মাথায় পেয়ে বিরসা ঠান্ডা মাথায় পরাভূত করেন গোলরক্ষক অ্যাঙ্গেলো দা কস্তাকে। ৬৩ মিনিটে আলেসান্দ্রো মাত্রি মিলানকে ২-০ গোলে এগিয়ে দিতে পারতেন কিন্তু তাঁর দুর্বল শট সাম্পদোরিয়ার গোলরক্ষক দা কস্তার পায়ে লেগে প্রতিহত হয়। কিছুক্ষণ বাদে রবিনহোর আরও একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন ওই দা কস্তাই। মুস্তাফি আরও একবার আলোচনায় আসেন মাত্রির শট গোলে প্রবেশের আগেই শরীর দিয়ে প্রতিহত করে। ৮০ মিনিটে খেলার সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল সাম্পদোরিয়া।
কিন্তু গিয়ানলুকা স্যানসোনে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে মৌসুমের দ্বিতীয় ‘তিন পয়েন্ট’ প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় মিলানের। খেলার শেষ মুহূর্তে মিলানের এমবায়ে নিয়াংয়ের শট দা কস্তা ফিরিয়ে দিলেও দলের পরাজয় এড়াতে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। সূত্র: রয়টার্স।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।