মঙ্গলবার ফুটবল থেকে অবসর নেয়ার কথা জানিয়েছেন এসি মিলানের এই সাবেক তারকা। ৩৭ বছর বয়সী সিডর্ফ ২০১২ সালে মিলান ছেড়ে ব্রাজিলের বোটাফোগোতে যোগ দেন। কোচ হিসেবে অবশ্য তার কোনো অভিজ্ঞতাই নেই।
এসি মিলানের ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে কর্তৃপক্ষ কোচ মাস্সিমিলিয়ানো আল্লেগ্রিকে বরখাস্ত করে। মৌসুম শেষে এমনিতেই সরে যাওয়ার কথা বলেছিলেন, তবে রোববার সাস্সুয়োলোর কাছে এসি মিলান হেরে যাওয়ার পরদিন তাকে অব্যহতি দেয়া হয়।
বোটাফোগো স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে সিডর্ফ বলেন, "বোটাফোগোতে গত দেড় বছরে আমি যে অভিজ্ঞতা পেয়েছি তা আমাকে এসি মিলানের কোচ হিসেবে সাহায্য করবে। "
খেলোয়াড় হিসেবে এখনই অবসর নেয়ার কোনো ইচ্ছেই ছিল না সিডর্ফের। কিন্তু মিলানের প্রস্তাবটা এত ভালো ছিল যে তিনি তা ফিরিয়ে দিতে পারেননি।
"সেখানে আমি আমার জীবনের ১০টা বছর কাটিয়েছি।
সভাপতির সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। তাই তিনি যখন বললেন, আমি মানা করতে পারিনি। "
ভিন্ন তিনটি দলের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা প্রথম খেলোয়াড় সিডর্ফ। ১৯৯৫ সালে আয়াক্স আর্মস্টারডাম, ১৯৯৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদ ও ২০০৩ ও ২০০৭ সালে এসি মিলানের হয়ে শিরোপা জেতেন তিনি। এছাড়া ইন্টার মিলান ও সাম্পদোরিয়াতেও খেলেছেন এই মিডফিল্ডার।
এসি মিলানের হয়ে দু'টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা ছাড়াও দুই বার লিগ ও একবার ইতালিয়ান কাপ জিতেছেন সিডর্ফ।
তবে কোচ হিসেবে মিলানকে এ মৌসুমে সাফল্য এনে দেয়া কঠিনই হবে সিডর্ফের জন্য। চলতি মৌসুমে সেরি আর ১৯ ম্যাচে মাত্র পাঁচটি জয় পেয়েছে তারা, সমান সাতটি করে ম্যাচ হেরেছে ও ড্র করেছে। লিগের ঠিক মাঝামাঝি অবস্থায় এসে ২২ পয়েন্ট নিয়ে মিলান এখন আছে একাদশ স্থানে। লিগের শীর্ষস্থানে থাকা জুভেন্টাসের চেয়ে ৩০ পয়েন্ট পিছিয়ে তারা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।