আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাবিতে নারী নির্যাতনকারী শিক্ষকের লঘু শাস্তি

আধারে দেখা বৃত্তান্ত আলোয় প্রকাশ

জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সানোয়ার হোসেনকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদবনতি দেওয়া হয়েছে। একই ধরণের অভিযোগে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক সহযোগী অধ্যাপকের বিষয়টিতে আইনগত জটিলতা থাকায় মীমাংসার জন্য বিষয়টি হাইকোর্টে প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠা নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সানোয়ার হোসেন ও একই ধরণের অভিযোগ ওঠা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক সহযোগি অধ্যাপকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য জরুরী সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে রাত সাড়ে দশটার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির সভার সিদ্ধান্ত জানান। সিদ্ধান্তে জানানো হয়, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সানোয়ার হোসেনকে যৌন নিপীড়নের দায়ে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদবনতি দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে ২ বছরের বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়া হয়েছে। এছাড়া শিককে লাঞ্চিত করার অপরাধে বিভাগের ৬ শিার্থীর বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং শিক লাঞ্চনার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকল শিার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সকল শিকদের কাছে মা চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ৩ মে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের চার ছাত্রী বিভাগীয় এক সহযোগী অধ্যাপক সানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে ১৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় অভিযুক্ত শিককে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

বিভাগের শিার্থীরা সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করে ওই শিককে বিভাগে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে। ২০০৮ সালের ২১ অক্টোবর ওই শিক বিভাগে গেলে শিার্থীরা তাকে লাঞ্চিত করে। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওইদিনই বিভাগের ৬ শিার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করে। ২০০৮ সালের ২৭ নভেম্বর মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র, নিজেরা করি, কর্মজীবি নারী, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম ও কামাল লোহানী জনস্বার্থে ঘটনার পূর্নতদন্ত, শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার ও অভিযুক্ত শিককে অব্যাহতি দেওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে। পরে ২০০৯সালের ১৭মে হাইকোর্ট পুন:তদন্ত করতে ও ৬ শিার্থীর বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিদের্শ দেয়।

ওই নির্দেশের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করে। অপরদিকে আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক সহযোগী অধ্যাপকের বিষয়টিতে আইনগত জটিলতা থাকায় হাইকোর্টে প্রেরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি বিভাগের কাজে যোগ দিতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য গত ১৫ এপ্রিল আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক সহযোগী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের কাছে নিপীড়নের অভিযোগ করেন একই বিভাগের এক শিকিা। উপাচার্য অভিযোগটি বিশ্ববিদ্যালয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী গঠিত নিপীড়ন বিরোধী সেলে প্রেরন করেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.