বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া খুলনার বৃষ্টিস্নাত জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ডাকাতের কবলে পড়েছে দেশ। এরা সর্বস্ব লুট করে নিতে চায়। এদের হাত থেকে দেশ ও মানুষকে বাঁচাতে হবে। জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, আগামী ২৫ অক্টোবর সরকারের মেয়াদ শেষ হবে। এ পর্যন্ত আমরা দেখব সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস করে কিনা? এর পর তাদের ক্ষমতা শেষ।
আগামীতে দেখা হবে রাজপথের আন্দোলনে, হয় খুলনায় না হয় ঢাকার রাজপথে। দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় সামরিক বেসামরিক প্রশাসনের সহযোগিতাও চান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল বিকালে খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে বৃষ্টিভেজা জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলেন বিরোধীদলীয় নেতা বেগম জিয়া। এর আগে যশোর থেকে দুপুর ১২টায় খুলনার উদ্দেশে রওনা দিয়ে বেলা ২টার পর তিনি খুলনা সার্কিট হাউসে পৌঁছেন। যশোর থেকে খুলনা পর্যন্ত দীর্ঘ ৬০ মাইল রাস্তার প্রায় পুরোটা জুড়েই ছিল মানুষের স্রোত।
জনসভার প্রস্তুতি হিসেবে খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার প্রতিটি জেলাতেই দলের সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম সমাবেশ করেন। এর বাইরেও পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর, পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জ জেলা থেকেও বাস-ট্রাকে করে হাজার হাজার নেতা-কর্মী এসে যোগ দেন। নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তাদের সমর্থকদের নিয়ে ব্যাপক শো-ডাউন করেন। খুলনা প্রবেশের ১০ কি.মি আগে থেকে তোরণ আর ডিজিটাল ব্যানার দিয়ে সাজানো হয় রাস্তার দুই পাশ। খুলনা শহরে সকাল থেকেই মানুষের ঢল নামে।
চারিদিক থেকে খন্ড খন্ড মিছিলের স্রোত এসে নামে সার্কিট হাউজ ময়দানে। সকাল থেকে জাসাসের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে নেতাকর্মীদের মাতিয়ে রাখেন। গাজী মাজহারুল আনোয়ার, আশরাফউদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, বেজি নাজনীন, মনির খান, রিজিয়া পারভিন নেতাকর্মীদের আনন্দে মাতিয়ে রাখেন। বিকাল ৩টা ৫ মিনিটে সার্কিট হাউজে প্রবেশ করেন বেগম খালেদা জিয়া। এরপর ৩ টা ৪৫ মিনিটে তিনি জনসভা মঞ্চে উপস্থিত হন।
পৌনে ৫টায় বেগম জিয়া তার ভাষণ শুরু করেন। খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু্র সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা অধ্যক্ষ মোঃ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিষ্টার মওদুদ আহমেদ, জনসভার প্রধান সমন্বয়কারী তরিকুল ইসলাম, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, জামায়াতের এমপি আ ন ম সামসুল ইসলাম, ডাঃ সৈয়দ আবত্দুলস্নাহ মোহাম্মদ তাহের, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, জামায়াতে ইসলামের অধ্যক্ষ মোঃ ইজ্জত উল্লাহ, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, জমিয়তে ইসলামের মাওলানা শাহীন পাশা, ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল মমিন, বিএনপির এম নূরুল ইসলাম দাদু, অধ্যাপক মাজিদুল ইসলাম, কৃষক দলের সভাপতি সামসুজ্জামান দুদু, জামায়াতের আমিনুর ইসলাম, মোহাদ্দীস আব্দুল খালেক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, বরকত উলস্নাহ বুলু এমপি, ব্যারিষ্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, সাবেক হু্ইপ মশিউর রহমান, শাহ কামাল তাজ, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ছাত্রনেতা আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, মহিলা দলের নূরে আরা সাফা, ছাত্রশিবিরের মিজানুর রহমান, সাঈদী পুত্র শামীম সাঈদী, জামায়াত মহানগর আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সাবেক মেয়র সিরাজুল ইসলাম, জামায়াতের মাওলানা এমরান হোসাইন, খেলাফত মজলিসের মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, জেপির সিরাজ উদ্দিন সেন্টু, লেবার পার্টির লোকমান হাকিম, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মুফতি রেজাউল করিম, পিপলস লীগের ডাঃ আফতাব হোসেন, বিএনপির সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রম্নমী, অধ্যৰ সোহরাব হোসেন, কবীরমুরাদ, সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন, এম এ সালাম, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন খুলনা সিটি মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরম্নজ্জামান মনি, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা ও খুলনা মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলম। বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, আমরা ঢাকায় সমাবেশ শেষে নতুন কর্মসুচি দেব। আন্দোলনের মুখে সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে তারা জনগণের দাবি মানবে নাকি সংঘাতের পথে যাবে।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের এমন ভরাডুবি হবে মুখ দেখানোর মত অবস্থা থাকবে না। হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবেনা। নির্বাচন হতেও দেয়া হবেনা। নির্বাচন প্রতিহত করবো ইনশাল্লাহ।
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রসঙ্গে বেগম জিয়া বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ চাই আমরা, তবে রামপালে করা যাবে না।
করতে দেয়া হবেনা। তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটিকে বলবো- আমরা আপনাদের পাশে আছি। আন্দোলনকারীদের সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করা হবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা যেমন সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা পাচ্ছি, তেমনি আশা করি সর্বস্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কমৃচারিরাও সহযোগিতা করবেন। তারা পুলিশ, বিজিবি, আনসার, মিলিটারি কিংবা সিভিল প্রশাসনের যে-ই হোন না কেন, গণতন্ত্র ও দেশ রক্ষায় আপনাদের সকলের সহযোগিতা চাই।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে সমাবেশে জমায়েত হওয়ায় খুলনাবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, আপনারা সরকারকে হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন মেয়র নির্বাচন করে। এখন তারা ভয়ে একলা নির্বাচন করতে চায়। কাউকে সাথে নিতে চায়না। যশোর থেকে খুলনায় আসতে- যে ঢল দেখেছি মানুষের তা অবিশ্বাস্য। সারাদেশের মানুষ আজ চুরি-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
খালেদা জিয়া বলেন, রাস্তারঅবস্থা অত্যন্ত খারাপ। যে সরকার রাস্তা বানাতে পারেনা, সংস্কার করতে পারেনা তার কাছ থেকে উন্নয়নের দাবি করে লাভ নেই। তাদের উন্নয়ন চোখে দেখা যায়না। কারণ তারা নিজেদের উন্নয়ন করেছে। হলমার্ক, ডেসটিনি দুর্নীতি করে পকেট ভরেছে।
রূপসা সেতু আমরা করেছি। এর ভিত্তি প্রস্তরের দিন তারা হরতাল ডেকেছিল। শিল্পনগরী খুলনাকে ধ্বংসের জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে খালেদা জিয়া বলেন, পুরনো ঐতিহ্যের গৌরবে গর্বিত এ শহর। এখানে পাট শিল্প আজ মৃত। এ শহরের পুরনো গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে।
ব্যাপক লোকের কর্মসংস্থান আমরা করবো। বন্ধ কলকারখানা আমরা চালু করবো।
খালেদা জিয়া বলেন, ৯০-৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (স.)কে নিয়ে ব্লগাররা কুৎসা করেছে। এই সরকার সেই ব্লগারদের লাইট দিয়ে, খাবার দিয়ে, জায়গা দিয়ে লালন-পালন করেছে। হেফাজতে ইসলাম প্রতিবাদ করতে ঢাকায় এসেছিল।
তারা সরকারের অনুমতি নিয়েই বসেছিল। মুফতি শফি সাহেবের অপেক্ষা করছিল তারা। তিনি এসে তাদেরকে যে নির্দেশনা দেবেন তা শোনার জন্য। শফি সাহেবকে পরিকল্পিতভাবে সরকার আটকে রেখেছিল, তাকে আসতে দেয়নি। হেফাজতের হাতে কোনো অস্ত্র ছিলনা।
তাদের হাতে ছিল জায়নামাজ, তসবিহ, কোরআন শরীফ। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা সেখানে কোরআন পুড়িয়েছে। হেফাজতের উপর আক্রমণ করেছে। রাতের অন্ধকারে লাইট বন্ধ করে দিগন্ত টিভি, ইসলামী টিভি বন্ধ করে বহু আলেমকে হত্যা করেছে। এই হত্যাকান্ডের তদন্ত হয়নি।
বিচার হয়নি।
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দে র বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান প্রকাশ করে খালেদা জিয়া বলেন, রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ হচ্ছে। কুইক রেন্টালে বিদ্যুৎ পায় না। কিন্তু কুইক টাকা বানিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিদ্যুৎ কেন্দ দরকার।
আমরাও বিদ্যুৎ কেন্দ চাই। তবে রামপালের মত জায়গায় বিদ্যুৎ কেন্দ করতে দেয়া হবে না। সুইটেবল জায়গায় এটি করতে হবে। বিদ্যুৎ কেন্দ হলে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে। পরিবেশ থাকবেনা।
মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পানি নষ্ট হয়ে যাবে। মানুষ বসবাস করতে পারবে না। বেগম খালেদা জিয়া বলেন, এ সরকার কাউকে সম্মান দিতে জানেনা। নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের সাথে তারা কী আচরণ করেছে দেখেছেন।
গ্রামীণ ব্যাংক দখল করে দলীয়করণ করা হবে। ড, ইউনূসকে সম্মান দিন। না দিলে আপনারা ধিকৃত হবেন। গ্রামীণ ব্যাং ড. ইউনূসের কাছে ফিরিয়ে দেয়া উচিত। গার্মেন্ট শিল্প ধ্বংস করতে উঠে-পড়ে লেগেছে সরকার।
নৌমন্ত্রী কেন যান গার্মেন্ট নিয়ে কথা বলতে ? তারা বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প ধ্বংস করে অন্য কোথাও নিতে চায়। সোনালী অাঁশের মত গার্মেন্ট শিল্পকেও ধ্বংস করতে চায় তারা। বিএনপি সরকার কৃষকদের মূল্যায়ন করেছে। আগামীতে কৃষকদের সব রকম সহয়তা দেয়া হবে। কৃষি এবং শিল্প নগরী এই খুলনাকে আবার নতুনভাবে সাজাবো।
খুলনাতে আমরা ইপিজেড করবো। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একমাত্র পরিকল্পনা ক্ষমতায় টিকে থাকা। তাদের অধীনে নির্বাচন নয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। তারা বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করেছে। সকল স্থানে তারা দলীয়করণ করেছে।
সেনাবাহিনীকেও দলীয় করণ করা হয়েছে। তাই কি করে এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এখনই আমাদের রাজপথে সমাবেশ করতে দেয় না। ঘরের মধ্যেও মিটিং করতে দেয়না। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনও তাদের তৈরি।
সব দলীয় লোক সেখানে রয়েছে। এই নির্বাচন কমিশন অথর্ব, অযোগ্য, মেরুদন্ডহীন। এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠুনির্বাচন হতে পারে না। ভোটার তালিকা পর্যন্ত তারা করতে পারেনি। ভোটার লিস্টেও গড়মিল রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই- বিল পাশ করে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। জনতার রোষ সামলাতে পারবেন না। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। তাদের মধ্যে অগি্নস্ফুলিংগ দেখেছি। তাদের ঠেকাবার সাধ্য নেই।
তিনি বলেন, এদেশে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সব জঙ্গিবাদ হয়েছে। জআওয়ামলিীগ কোন জঙ্গি ধরেনি। আমরা সব জঙ্গীদের ধরেছি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে জঙ্গিবাদ দমন হবে। তিনি বলেন, আমরা নতুন ধারার রাজনীতি করবো।
সময়মতো এই নতুন ধারার রাজনীতি জানানো হবে। তিনি বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে এদের এমন ভরাডুবি হবে মুক দেখানোর মত অবস্থা থাকবেনা। হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবেনা। আমি আজ নির্বাচনী বক্তব্য দিতে আসিনি। হাসিনাকে হঠাতে হবে, দেশ বাঁচাতে হবে।
হঠাও হাসিনা বাঁচাও দেশ। ঈমান রক্ষা করতে হবে। খুলনার রাজপথে না হয়, ঢাকার রাজপথে দেখা হবে।
এরআগে যশোরে সার্কিট হাউজে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, এখন নির্বাচন নয়, সবাইকে আন্দোলনমুখী হতে হবে। দেশ ও মানুষকে বাঁচাতে আগে শেখ হাসিনা সরকারকে হঠাতে হবে।
তার আগে কোনো নির্বাচন নয়। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের প্রশংসা করে বিরোধী নেতা বলেন, তরিকুল ইসলামকে কেবল যশোরের নয় গোটা দক্ষিণাঞ্চলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তার নেতৃত্বেই এ অঞ্চলে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তিনি সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যশোরের মতবিনিময় সভায় জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুল হুদার সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম ও জেলা কমিটির সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু।
এসময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, আবুল হোসেন আজাদ, যশোরসহ ছয়টি পৌরসভার মেয়র, উপজেলা কমিটিগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।