নিজস্ব কার্যালয়ে উঠছে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। রাজধানীর ৬৬, কাকরাইলে অবস্থিত প্রায় ৫ কাঠা জমির ওপর নির্মিত পাঁচতলা ভবনটির মালিক বিএনপির সহ-প্রকাশনা সম্পাদক ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার শফি বিক্রমপুরী। ১০ কোটি টাকা মূল্যের ওই ভবনটি ইতোমধ্যেই বায়না করা হয়েছে। এর পরই জাতীয় পার্টি ভবনটিতে বিশাল সাইনবোর্ড টানিয়েছে। দীর্ঘ চার বছর ধরে এই ভবনটি কেনার প্রক্রিয়ায় ছিল জাতীয় পার্টি।
সে ক্ষেত্রে অনেকটা গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। ভবনটির মালিক শফি বিক্রমপুরী গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, জাতীয় পার্টি ভবনটি বায়না করেছে। পুরো টাকা পাওয়ার পরই ভবনটি জাতীয় পার্টির কাছে হস্তান্তর করা হবে। ভবন কেনার সত্যতা স্বীকার করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার পার্টির চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন। তবে কত দামে ভবনটি কেনা হলো তা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ১০ কোটি টাকায় কেনা হচ্ছে ভবনটি। পাঁচতলা ওই বাড়িতে বর্তমানে বিভিন্ন চলচ্চিত্র পরিচালক ও নায়কসহ বেশ কয়েকজনের অফিস রয়েছে।
তারা '৮২ সাল থেকে এখানে পজেশন নিয়ে ছবির ব্যবসা করছেন। দীর্ঘদিন ধরে তাদের সঙ্গে সমঝোতা ছাড়াই বাড়িটি বিক্রির চেষ্টা করছিলেন শফি বিক্রমপুরী। এ নিয়ে বিরোধের জের ধরে দীর্ঘদিন ধরে চলছে মামলা-মোকাদ্দমা।
তবে শফি বিক্রমপুরী চলচ্চিত্র পরিচালকদের পাওনা বাবদ ২ কোটি টাকা দিতে রাজি হয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, প্রায় তিন বছর ধরে বাড়িটি কেনার জন্য শফি বিক্রমপুরীর সঙ্গে দরকষাকষি চলছিল জাতীয় পার্টির। এ সময় বাড়ি কেনার জন্য এরশাদের পক্ষ থেকে অগ্রিম প্রায় ২ কোটি দেওয়া হয়। কিন্তু দলের একটি সিন্ডিকেট কমিশন বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়লে বাড়িটির বেচাকেনা প্রক্রিয়া ঝুলে যায়। তিন বছর আগের ৬ কোটি টাকা মূল্যের বাড়ির দাম হাঁকান শফি বিক্রমপুরী ১৪ কোটি টাকা।
কিন্তু এরশাদ কোনোভাবেই এত টাকায় বাড়িটি কিনতে রাজি হননি। শেষ পর্যন্ত ১০ কোটি টাকায় বাড়িটি বেচাকেনার চুক্তি সম্পন্ন হয়।
২৭ বছর পর জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা দলের জন্য একটি নিজস্ব কার্যালয় পেল। দল প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮৬ সাল থেকে জাতীয় পার্টির কোনো নিজস্ব কার্যালয় ছিল না। এতদিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভাড়া বাসা থেকেই দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন এরশাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।