আদিল হোসেন নোবেল আর তানিয়া আহমেদ। দুজন দুজনের খুব ভালো বন্ধু। প্রথমজন মডেল হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত, আর পরের জনকে সবাই চেনেন অভিনয়শিল্পী হিসেবেই। একসময় দুই বন্ধু একসঙ্গে র্যাম্পে ও টিভিতে মডেলিং করেছেন। মডেলিংয়ের পাশাপাশি নাটকেও অভিনয় করেছিলেন তাঁরা দুজন; তবে তা উল্লেখ করার মতো নয়।
১৬ বছর পর সম্প্রতি আবার একসঙ্গে অভিনয় করলেন নোবেল ও তানিয়া। ফারুক হোসেনের রচনা ও রায়হান খানের পরিচালনায় নাটকটির নাম ‘নীরবে তিন মিনিট’।
প্রথম আলো ডটকমকে তানিয়া আহমেদ বলেন, ‘আমাদের বন্ধুত্ব কিন্তু দীর্ঘদিনের। একসঙ্গে আমরা র্যাম্পে কাজ করেছি, কাজ করেছি বিজ্ঞাপনচিত্রেও। তবে সেই অর্থে একসঙ্গে অভিনয় করা হয়নি।
অনেক বছর পর একসঙ্গে অভিনয় করে বেশ ভালো লেগেছে। ’
নোবেল প্রসঙ্গে তানিয়া বললেন, ‘অভিনয় নিয়ে নোবেল সেই অর্থে কখনোই ব্যস্ত ছিল না। বরাবরই মানসম্পন্ন মডেলিংয়ে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছে সে। অনেক বছর পর অভিনয় করতে গিয়ে মনে হয়েছে, নোবেল এখন অভিনয়েও অনেক পরিণত। জানি না, কেন যে নিয়মিত সে অভিনয় করে না।
সে যদি নিয়মিত অভিনয় করত, অনেক ভালো কিছু করতে পারত। ’
এদিকে, নোবেল ও তানিয়াকে নিয়ে এত বছর পর একসঙ্গে অভিনয়ের পরিকল্পনা করার জন্য নাটকটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ১৯৫২-এর কর্তাব্যক্তিদের ধন্যবাদ দিয়েছেন তানিয়া। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা দুজন একসঙ্গে খুব বেশি অভিনয় করিনি ঠিকই, কিন্তু অন্যান্য কাজকর্মে আমরা ঠিকই একসঙ্গে ছিলাম। গত দুই বছর ধরে একসঙ্গে ভিট-চ্যানেল আই টপ মডেল প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্বও পালন করেছি। এ ছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও আমাদের একসঙ্গে দেখা হতো।
শুধু একসঙ্গে অভিনয়টা ছাড়া। এত বছর পর আমাদের দুই বন্ধুকে নিয়ে নাটক নির্মাণ করার জন্য “১৯৫২” প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ। ’
প্রসঙ্গত, আজ থেকে ১৬ বছর আগে অরুণ চৌধুরীর ‘ছোট ছোট ঢেউ’ নাটকে একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন নোবেল ও তানিয়া।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।