সাহিত্য লেখক ৪ র্থ পর্র
আমি যেন বাসী ফুল,
ঝরে পড়ে আছি মন্দিরের দ্বারে।
না-না-না বৃথা বাক্য ব্যয় মোর নাহি প্রয়োজন
ভিক্ষা লয়ে হেথা হতে চলে যাও তুমি।
সাধক-- দিবে না ভিক্ষা মোরে ? পুরাবেনা বাঞ্চনা মোর ?
কিশোরী -- তোমা হেন ভিখারীরে দিতে ভিক্ষা কিছু নাহি মোর
কেন যেন মনে হয় তোমার অবয়বে
এক পাষাণের বেদী মূলে করে ছিনু প্রেম অর্ঘ্য দান।
পাষাণ দেবতা মোর পাষানের মত আমার
প্রেমের অর্ঘ্য দিয়েছে ফিরায়ে। বিনিদ্র রজনী মোর
কেটেছে একেলা শুকিয়েছে পুস্পদল।
নিভে গেছে একে একে সকল দেউটি। ( প্রদীপ)
তবু কেন হায় দ্বার প্রান্ত হতে ফিরাতে তোমারে
প্রাণ নাহি চায় । বল, বল হে নিষ্ঠুর ভিখারী
স্মৃতির এ ধূম্রজাল মাঝে
কি ভিক্ষা চাহ তুমি কিশোরীর কাছে ?
কি ধন আছে মোর ত্রিজগৎ মাঝে
যা দিলে তৃপ্ত হবে তোমার হৃদয় ?
সাধক--- তব আঁখি দু'টি ভিক্ষা মোর।
চাহ মোর পানে ফিরায়োনা নয়ন তোমার ।
আখির পল্লবে তব হেরি সহস্র স্মৃতির জ্বালা,বিরহের মালা ।
ওগো নীপ বালা লক্ষ যোজন হতে
দেখিলেও চিনিতাম আমি -
তোমার পটল চেরা হরিনী নয়ন।
হেরিনু তোমার আঁখি প্রথম যখন
দেখিলাম আখির পল্লবে তব
আমার হারানো স্মৃতি কাঁদিয় ফিরিছে।
আমার প্রানের বধু কিশোরীর বেশে
দাঁড়ায়ে সম্মুখে মোর শান্তনার ছলে।
আজ মহাকালে এক প্রান্তে আমি অন্য প্রান্তে তুমি।
কারো কাছে যেতে নারি কেহ,
জন্ম জন্মান্তরে বাসনার ফানুষে টানিতেছ তুমি।
তাই বারে বারে ফিরে আসি তোমার সকাশে।
এক নেত্রে চাতক সম তৃষ্ণার্ত নয়নে হেরিতেছি তোমা।
তোমার স্মৃতির নীড় শিশিরের মতো
ঝড়ে পড়ে যেতেছে মিলায়ে।
পুর্ব জন্মে বধু বলে করিনি গ্রহন
সেই অপরাধ বোধ অন্তরে আমার
চাবুকের মত তীব্র কষাঘাতে
রক্তাক্ত করিছে মোর হৃদয়ের ক্ষত।
বঞ্চনার দীর্ঘশ্বাস অনন্তের পথে
ঠেলে তিল জীবন তোমার।
মহাকালের অনির্বান শিখার অণলে আজি
পরিতেছি আমি।
তবু তৃষ্ণিত অন্তর মোর তৃপ্ত হেরি তোমা।
পুরিছে আঁখির সাধ দেখিয়া তোমারে ।
যার লাগি একদিন ত্যাগী বর্ণ- ত্যাগী সর্ব সুখ
চেয়েছিলে বর মাল্য দিতে,সে আজ দাঁড়ায়ে দ্বারে ।
তুমি শুধু ভাবহীন চিন্তাহীন ছবির মতন
এক দৃষ্টে চেয়ে আছ অবাক নয়নে।
আসিয়াছ দিতে তারে পার্থিব সম্পদ ?
বিশ্বের সম্পদ মোর নাহি পৃয়োজন।
নাহি চাহি মনিমুক্তা হিরা জহরত।
নাহি চাহি শক্তি মতে শাসিতে ধরণী ।
ওগো." তন্বী শ্যামা শিখরী দর্শনা",
দেখিব নয়ন তব,শুন তব কন্ঠস্বর যেন
স্বর্গের বীণার ধবনী অন্তরে আমার ।
( চলবে) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।