সাহিত্য লেখক কাব্য নাট্য:
সরদারহারুণ আল রশীদ
চরিত্র
: ১) বৈষ্ণব সাধক- তিনি পূর্ণ জাতিস্মর। তার পূর্বজন্মের কথা মনে আছে। তিনি আগের
জন্মে এক আশ্রমে করতেন
তখন একটি মেয়ে তাকে ভালবেসেছিল কিন্তু তিনি তার প্রেম প্রত্যাখ্যান করেন ফলে মেয়েটি মনকষ্টে
মারা যায়। এ জন্মে সে কথা তার স্মরণে আছে তাই তিনি পূর্ব জন্মের প্রেমিকাকে পথে প্রান্তে খুঁজে বেড়ায়। সে রাজপুত্র তাই রাজ্য ত্যাগ করে তার পূর্ব জন্মের সেই মেয়েটিকেই খুঁজে বেড়ায়।
তার বয়স- ৮০ বছর
২) কিশোরী- পূর্ব জন্মের সেই প্রত্যাখ্যাত মেয়ে তার বয়স ১৬ বছর। এ জন্মে সে অর্ধজাতিস্মর। তাকে মনে করিয়ে দিলেই শুধু পূর্বজন্মের কথা মনে করতে পারে। এ জন্মে সে এক প্রাচীন শহরে বাস করে।
দৃশ্যপট
[প্রাচীন নগরী।
এক তারা হাতে বৈষ্ণব সাধক কীর্তণ গেয়ে দ্বারে দ্বারে ভিক্ষে করে বেড়ায়। প্রাচীন নগরীর এক গৃহস্তের দ্বারে এসে থামবে ওখানে কিশোরী বাস করতো]
বৈষ্ণব সাধক:।
গান- আমি খুঁজি দ্বারে দ্বারে
পাব কি বধুরে
যে ছিল আমার সাথী ?
আমার জীবন ফুরালো মরণ আসিল
আসিবে আঁধার রাতি।
( এক গৃহের দ্বারে এসে থামবে)
সাধক- ভিক্ষারী এসছে দ্বারে , হে পুরবাসী,
খুলিযা তোমার দ্বার দেখ আরবার
ভিক্ষা মাগে ভিখারী ।
( ঘরের ভেতর থেকে এক কিশোরী বলবে)
কিশোরী:- কে আছ কোথায় ? ভিক্ষা দাও
ভিখারী দাড়ায়ে দ্বারে।
সাধাক-: যতদিন আসি তব দ্বারে
পাঠিযে দাও ভিক্ষা
নিজে নাহি এসে।
আজ তুমি যদি নিজে এসে
ভিক্ষে নাহি দাও,
চলে যাই তবে দ্বার প্রান্ত হতে
আপন আলয়ে
কিশোরী - কার কন্ঠস্বর শুনিতেছি ভিখারীর মুখে !
দখিনা দুয়ার আজো খোলা যারে লাগি-
পুরাতন কন্ঠস্বরে এসেছে কি সে
জানাতে আমায় স্মৃতির দহন জ্বালা ?
খুলিব দুয়ার,
বরিব তোমারে আমি আপণ আলয়।
ফিরাবনা রিক্ত হস্তে ভিখারীরে মোর।
(চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।