সাহিত্য লেখক কিশোরী-- তব বাক্য বুঝিতেনা পারি
এ তো নহে ভিখারীর ভাষা,
এ যে বিরহীর ব্যথার গান
শত জনমের প্রেম-সাধকের
হৃদয় নিংড়ানো অভিলাস।
কেন যেন মনে হয় ছায়া সম মোর
কোথা যেন শুনেছি আমি
হেন কাব্য গাঁথা।
ওগো সাধক,তব কনঠয়স্বর ক্ষণে ক্ষণে
কর্ণ কুহরে মোর বেজে ওঠে সঙ্গীতের মত।
মন হয় আনমোনা চিত্ত বিগলিত।
বিচ্ছিন্ন স্মৃতির ছায়া ক্ষণে ক্ষণে মূর্ত হয়ে
লুপ্ত হয়ে যায়।
কি যেন হেরিছি আমি
স্বপনের মত। কি অদ্ভুত রহস্য স্মৃতি !
কোথা যেন দেখেছি তোমারে
শুনে তব কন্ঠস্বর যেন মনে হয
জন্ম জন্মান্তরে ছিলে তুমি
কারো প্রতিক্ষায়।
না পেয়ে তাহার দেখা স্বর্গ মর্ত চরাচরে
খুঁজিতেছ তুমি ।
তুমি এক প্রেমের সাধক।
তারে পাবেকি কখনও
যারে খুঁজিছে তোমার আঁখি ?
সাধক-- আমি দেখেছি তাহারে কিন্তু হায়
মহাকালের ব্যবধানে তোমা হতে দূরে,
বহু দূরে ঠেলে দিল মোরে
চাতক সম যেন দেখেছি মেঘেরে,
অবোধ শিশু যথ ডাকিছে চাঁদেরে
দিতে টিপ কপালে তাহার।
কিশোরী-- বিমূর্ত স্মৃতির রাহু ধীরে ধীরে গ্রাসিছে আমারে।
স্মৃতির রুদ্ধ দ্বার বারে বারে খুলে যায়।
ক্ষণে ক্ষণে দেখি কাহার মূরতি ?
আমি যেন নব বধু রূপে, সাত পাক ঘুড়ে
( প্রনমি তাহারে) দিতেছি পুস্পানঞ্জলি চরণে তাহার।
সে নিষ্ঠুর নিলনা পূজা, পেরালো না সিঁথিতে সিঁদুর
আমি যেন বাসি ফুল
ঝরে পড়ে আছি মন্দিরের দ্বারে।
না না বৃথা বাক্য ব্যূয় মোর
নাহি প্রয়োজন ।
ভিক্ষা লয়ে হেথা হতে চলে যাও তুমি।
সাধক --- দিবেনা ভিক্ষা মোরে , পুরাবেনা বাসনা আমার ?
কিশোরী -- তোমা হেন ভিখারিরে দিতে ভিক্ষা কিছু নাহি মোর ।
কেন যেন মনে হয় তোমার অবয়বে
এক পাষাণের বেদী মূলে করে ছিনু
প্রেম অর্ঘ দান। পাষাণ দেবতা মোর
পাষাণের মত আমার প্রেমের অর্ঘ্য
দিয়েছে ফিরায়ে।
বিনিদ্র রজনী মোর কেটেছে একেলা
শুকিয়েছে পুস্পদল ।
নিভে গেছে একে একে সকল দেউটি। (প্রদীপ)
তবু কেন হায়, দ্বার প্রান্ত হতে ফিরাতে তোমারে,
প্রাণ নাহি চায়।
বল, বল হে নিষ্ঠুর ভিখারী, স্মৃতির এ ধূম্রজাল মাঝে
কি ভিক্ষা চাহ তুমি কিশোরীর কাছে ?
কি ধন আছে মোর ত্রিজগত মাঝে
যা দিলে তৃপ্ত হবে তোমার হৃদয় ?
সাধক-- তব আখি দু'টি ভিক্ষা মোর ।
(চলবে....) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।