আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ...
চাকরি যেন সোনার হরিণ। দেশে দিন দিন বেড়ে চলা বেকারের সংখ্যাই যদি আপনার চোখে বেশি পড়ে তবে জেনে রাখুন চাকরিজীবীর সংখ্যাও কিন্তু বাড়ছে অন্যদিকে। অনেকে তো একই সময়ে বেশ কিছু লোভনীয় চাকরির অফার পেয়ে যান যে বাছাই করাই কঠিন হয়ে যায় কোনটি ছেড়ে কোনটি তার করা উচিত!কিন্তু মনের মত ভালো একটা চাকরি পেতে হলে আপনাকে কিন্তু একটু চোখ কান খোলা রাখতে হবে আর অবলম্বন করতে হবে বেশ কিছু কৌশল।
১) চাকরি খোঁজার মাধ্যম ঠিক করুনঃ
প্রথমেই ঠিক করুন আপনি কোন মাধ্যমে চাকরি খুঁজবেন। কিছু পত্রিকা যেগুলোয় চাকরির বিজ্ঞাপন বেশী দেয়, বা কিছু পত্রিকা কেবল চাকরির খবর নিয়েই প্রকাশিত হয়।
সেগুলো সম্পর্কে খোঁজ নিন ও হকারকে বলুন যাতে নিয়মিত আপনার বাসায় দিয়ে যায়। সবচেয়ে দ্রুত ও বিশদ তথ্য পেতে মাঝে মাঝে ভিজিট করুন বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইটে।
২) জব ফেয়ারঃ
মাঝে মাঝে বিভিন্ন স্থানে জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত হয়। এসব মেলায় বড় বড় প্রতিষ্ঠানের স্টলগুলোয় তারা তাৎক্ষণিক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে চাকরি প্রদান করে। এই কনফার্মেশন আপনি সাথে সাথেই বা কিছুদিন পরেও পেতে পারেন।
তাই খেয়াল রাখুন কবে কোথায় আয়োজিত হচ্ছে চাকরি মেলা। নিজের আপডেটেড সিভি, কভার লেটারের হার্ড ও সফট কপি ও এক কপি ছবি নিয়ে হাজির হয়ে যান।
৩) চাকরির ধরনঃ
আপনি ঠিক কী ধরনের চাকরি করতে চান আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী সেটা সবার আগে ঠিক করুন। এমন কোন জায়গায় সিভি পাঠানোর দরকার নেই যেখানে জব পেলেও আপনি করবেন না। এতে শুধু শুধু আপনার ইমেজ খারাপ হবে।
ওই প্রতিষ্ঠানে আপনি পরবর্তীতে পছন্দের পোস্টে এপ্লাই করলেও আপনাকে না ডাকার সম্ভাবনাই বেশি।
৪) সিভি ও কভার লেটারঃ
সিভি ও কভার লেটারের ফরম্যাট ও বানানের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। সে ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করবেন তা যেন হয় মানসম্পন্ন। এতে আপনার ডাকনাম বা ছদ্মনাম ব্যবহারের বদলে মূল নাম ও দু একটি সংখ্যা ব্যবহার করুন।
৫) জব সাইটে খোঁজ রাখাঃ
বিভিন্ন জব সাইটগুলোয় নিজের সিভি আপডেট করে রাখুন।
অন করে রাখুন ইমেইল নোটিফিকেশন।
৬) নিজের এলাকার প্রতিষ্ঠান সমূহঃ
নিজের এলাকার প্রতিষ্ঠানগুলোয় খোঁজ নিন। সাধারনত চাকরিদাতারা কাছাকাছি দূরত্বে বসবাসকারী দক্ষ লোকেদের চাকরি দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
৭) ক্যারিয়ার নির্ভর সোশ্যাল নেটওয়ার্কঃ
যোগ দিন ক্যারিয়ার নির্ভর সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, যেমন, “লিংকড ইন” এর সাথে। এতে আপনার যোগ্যতা অনুসারে দেশে বিদেশে চাকরি, পেশা বিশয়ক আলোচনার মাধ্যমে দরকারী টিপস পাবেন আপনি।
৮) নেটওয়ার্কের সাথে সম্পৃক্ত থাকাঃ
আপনার চারদিকের মানুষগুলো, ফেসবুক বা টুইটারের মত সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটগুলোকে কাজে লাগান। আপনার দক্ষতা ও চাকরীর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সবাইকে জানিয়ে রাখুন।
৯) দক্ষতা বাড়ানোঃ
এক নজরে দেখে নিন কি কি বিষয় চাকরীক্ষত্রে দরকার ও কী কী বিষোয়ে আপনার বেশ খানিকটা ঘাটতি রয়ে গেছে। ইংরেজী বা নতুন কোন ভাষার কোর্স, আইইএলটিএস স্কোর, কম্পিউটার জ্ঞান, রিসার্চের কোর্স এসব আপনার সিভিকে আরো সমৃদ্ধ করবে চাকরি দাতাদের কাছে।
১০) ইন্টারভিউর জন্যে প্রস্তুতিঃ
ইন্টারভিউর জন্যে প্রস্তুতি নিন।
পরামর্শ নিন অভিজ্ঞ কারো কাছে। পোষাক, আচরণ, ভাষা, কাগজপত্র সব দিক থেকে নিজেকে ঠিকঠাক প্রস্তুত করে ফেলুন। হয়ে উঠুন আত্মবিশ্বাসী।
ব্যস। এবারে দেখুন আপনি নয়, চাকরীই ছুটবে আপনার পেছনে...!
মূল লেখাঃ http://www.priyo.com/2013/10/03/34145.html
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।