এখানে সিন্ডিকেটবাজদের পাত্তা দেয়া হয় না
কোনো কোনো স্যর চান তাঁদের প্রশ্নের উত্তর ছাত্ররা না পারুক। তাঁদের অগাধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার মিশেলে তৈরী প্রশ্ন কোন পুঁচকে ছাত্র পেরে ফেললে একে 'যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা' দেখায়।
আমি নিজে অমন ১জন স্যরের দেখা পেয়েছিনু। আইটেমে স্যর কোয়েস্চান কোরে জবাব না পাওয়ার প্রত্যাশায় ছাত্রের মাথার উপর দিয়ে সিলিংএর দিকে শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতেন, পারলে দেয়াল ভেদ কোরে দৃষ্টি আসমানে চলে যায় আর কী। ছাত্র কভু মুখ খুললেই স্যর রাগ কত্তেন, দৃষ্টি স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নেবে আসত তাঁর, বোলতেন- এঁএঁএঁএঁএঁএঁএঁএঁএঁএঁএঁ? কীইইইইইই?
তারপর আইটেম পেন্ডিং দিয়ে দিতেন।
ব্যাপারটা আমি গোড়ার দিকেই ধরে ফেলায় কক্ষনো আইটেমে টুঁ শব্দটি কত্তাম না, পুরোটা সময় ফ্যালফ্যাল কোরে তাকিয়ে থাকতাম। ফলে স্যর আমার প্রতি খুব প্রসন্ন ছিলেন এবং কখনো আমি পেন্ডিং খেতাম না, অথচ ভালো ভালো পুয়াপুরিরা হরদম পেন্ডিং খেত (মুখ খোলার অপরাধে)।
তো একদিন আমরা দুই বন্ধু ঐ স্যরের কাছে আইটেম দিচ্ছিলেম।
স্যর : ক ত দেখি ইনফ্ল্যামেশন কী?
বোলেই স্যর সিলিং ভেদ কোরে আকাশের দিকে। আমার ত বুক ফাটে ত মুখ ফোটে না।
বন্ধু : ওয়েল স্যর, দ্য টার্ম ইনফ্ল্যামেশন মে বি ডিফাইনড এজ নাথিং বাট...এঁ...উঁ...
স্যর সাথে সাথে রাগ কোরলেন। তাঁর দৃষ্টি মর্ত্যে নেবে আসল। ছাত্র মুখ খুলেছে!?
স্যর : এঁএঁএঁএঁএঁএঁ! কী ব্যাটারির চার্জ শ্যাষ?
কাপুরুষ সেজে এদ্দিন পাস কোরে গেছি। আজ প্রিপারেশন ভালো হওয়ায় সাহস কোরে মুখ খুলেই বোসলাম- স্যর ইনফ্ল্যামেশন ইজ... কমপ্লিট কোরলাম। স্যর ভীষণ রুষ্ট হোলেন।
এদ্দিন তাঁর কাছে আমার যে ভালো ভাবমূর্তি ছিল তা নষ্ট হোয়ে গেল।
স্যর : এইসব মুখস্থবিদ্যা বেবাকেই পারে, কনসেপ্ট ক্লিয়ার কেউরই থাকে না। এক্সপ্ল্যানেশন দিতে পারবি?
আমি সঠিক এক্সপ্ল্যানাশন দিলাম। এতে স্যর আরো বেশি রুষ্ট হোলেন।
বোললেন- অই মিয়া তুমি কি নিজেরে বিজ্ঞানী মনে কর যে যেমনে খুশি এক্সপ্ল্যানেশন দিয়া দিলা?
আমি : কিন্তু স্যর...
স্যর : যা উঠ্ তরা ২টাই পেন্ডিং।
এরপরে আর কখনো স্যরের কাছে মুখ খোলার ভুল করি নি এবং পেন্ডিংও খাই নি!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।