র্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, ‘কথিত’ ইসলামী মতাদর্শ প্রতিষ্ঠিত করতে ‘জিহাদ’ পরিচালনার নামে এই জঙ্গিরা দেশব্যাপী নাশকতা চালানো এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের পরিকল্পনা করেছিল।
সোমবার বিকালে র্যাব সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক এটিএম হাবিবুর রহমান বলেন, হরকাতুল জিহাদের(হুজি) কর্মীরা গত কয়েক মাস ধরেই নিজেদের সংগঠনের নাম পরিবর্তন করে ‘তামিরুত-আত-দ্বীন’ নামে সংগঠিত হচ্ছিল।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাত ২টার দিকে উত্তরার আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে হুজি সদস্য শরিফুজ্জামান ও মাকছুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
জিজ্ঞাসাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আশুলিয়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় নিরালা সুপার সার্ভিস পরিবহনের একটি বাসে অভিযান চালিয়ে আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মো. খলিলুর রহমান ওরফে শাহরিয়ার ও মো. আব্দুল কাদের নামে ওই দুই জন টাঙ্গাইল থেকে বাসে করে ঢাকা আসছিলেন।
তাদের কাছে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, অস্ত্র ও গুলি পাওয়া যায়।
গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে খলিলুর রহমান ২০০৫ সালের ১৭ অগাস্ট সিরিজ বোমা হামলার পলাতক আসামি।
উদ্ধার করা অস্ত্র ও বিস্ফোরকের মধ্যে একটি বিদেশি পিস্তল, ১১ শতাধিক এসএমজির গুলি, ৩২টি পিস্তলের গুলি, প্রায় তিন কেজি পাওয়ার জেল এক্সপ্লোসিভ, ৮টি ককটেল, একশ দশ গজ কর্ডেক্স, ডেটোনেটর এবং ব্লাস্টিং মেশিন রয়েছে বলে হাবিবুর রহমান জানান।
তিনি বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই চারজন বলেছেন, কামিশপুর জেল থেকে হুজির সামরিক শাখার প্রধান মাওলানা আব্দুর রউফ সংগঠনকে পুনর্জীবিত করার নির্দেশনা দিচ্ছেন। তার নির্দেশ মেনেই পলাতক ও জামিনপ্রাপ্ত হুজি জঙ্গিরা ‘তামিরুত-আত-দ্বীন’ নামে দেশের বিভিন্ন জেলা সফর করে সংগঠনকে সক্রিয় করতে কাজ করছেন।
”
এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, এ সংগঠনের কর্মীরা দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসা ঘুরে নূরানী কোরআন শিক্ষার নামে সাংগঠনিক কাজ চালায়। তারা সাধারণ ধর্মভীরু মানুষের কাছে গণতন্ত্র সম্পর্কে অপব্যাখা দেয় এবং ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলে মানুষকে দলে টানার চেষ্টা করে।
“তাদের গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে র্যাব জঙ্গি দমনে আবারো সাফল হলো। এতে দেশ ও মানুষ ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের হাত থেকে রক্ষা পেল। ”
সংবাদ সম্মেলন শেষে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের উপ পরিচালক মো. গোলাম মোর্শেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জঙ্গিদের কাছে যে পাওয়ার জেল পাওয়া গেছে যা শক্তিশালী বিস্ফোরক হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
কর্ডেক্স ব্যবহার করে পানির নিচেও পাওয়ার জেলের বিস্ফোরণ ঘটানো যায়।
এসব বিস্ফোরক ও ডেটোনেটর ব্যবহার করে বড় ধরনের স্থাপনাও ধ্বংস করা সম্ভব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।