আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকা ছাত্রের চিকিৎসায় ল্যাবএইডের ‘গাফিলতি স্বীকার’

সেই সঙ্গে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাসুমকে সিঙ্গাপুরে পাঠাতেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী।
মাসুমের চিকিৎসা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের ক্ষোভের মুখে রোববার রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সঙ্গে বৈঠকে বসে।
উপাচার্যের বাড়িতে গভীর রাত পর্যন্ত চলা ওই বৈঠকে মাসুমের পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন। ছিলেন ল্যাবএইডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ এম শামীম, পরিচালক ডা. মাহবুবুল ইসলাম এবং মাসুমকে চিকিৎসা দেয়া চিকিৎসক আমজাদ হোসেনও।
প্রক্টর আমজাদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ অস্বীকার করলেও চিকিৎসায় গাফিলতি ছিল বলে স্বীকার করেছে।


মাসুমের সহপাঠীরা জানান, মাসুম বাম পায়ের গোড়ালিতে টিউমারের চিকিৎসার জন্য ল্যাবএইড হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার টিউমারটি আসলে ক্যান্সার ছিল।
ডা. আমজাদ ক্যান্সারের চিকিৎসা না করে সাধারণ একটি টিউমারের চিকিৎসা করেন এবং চিকিৎসার সময় তিনি বায়োপসি রিপোর্টটিও দেখেননি বলে ছাত্রদের অভিযোগ।
তাদের দাবি, চিকিৎসকের এই ভুল চিকিৎসার কারণে মাসুমের সারা শরীরে এখন ক্যান্সারের জীবাণু ছড়িয়ে পড়েছে।
বিষয়টি জানার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ল্যাবএইডের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগে আন্দোলনে নামে।

তারা এর ক্ষতিপূরণ এবং দায়ী চিকিৎসকের সনদ বাতিলের দাবি জানান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত,  রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, সংসদ সদস্য ও বিএমএ’র সাবেক মহাসচিব মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনও ছিলেন।
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব মাসুমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে।
আর্থিক ক্ষতিপূরণের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না- জানাতে চাইলে তিনি বলেন, মাসুমের পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করা যায় কিনা সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে তিনজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
উপাচার্যের সঙ্গে সেই দায়িত্ব নিয়েছেন অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত এবং অধ্যাপক দিল রওশন জিন্নাত।


প্রক্টর বলেন, মাসুমকে ল্যাবএইডের পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যদি দেখা যায় কেমোথেরাপির মাধ্যমে মাসুমকে বাঁচানো সম্ভব, তবে তা দেয়া হবে।
“আর যদি বাঁচার কোনো সম্ভাবনা না দতে পারেন চিকিৎসকরা, তাহলে মাসুমকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং তার পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা (৩০ লাখের নিচে না) দেবে ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ। ”

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.