এবারের দুই টেস্টের সিরিজ তাই মুশফিকুর রহিম ও তার সতীর্থদের স্বদেশকে অন্য ধরনের এক উপহার দেয়ার ‘মিশন’। প্রথম টেস্ট শুরু হচ্ছে বুধবার থেকে, চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
তবে লক্ষ্য পূরণের পথে নামার আগে বাংলাদেশকে চোখ রাঙাচ্ছে বৃষ্টি। মঙ্গলবার রাতেও থেমে-থেমে বৃষ্টি অতীষ্ঠ করে তুলেছে বন্দরনগরীর মানুষকে।
নিউ জিল্যান্ডের কাছে আগের ৯টি টেস্টের ৮টিতে হেরেছে বাংলাদেশ।
এর মধ্যে প্রথম চারটিসহ পাঁচটিতেই ছিল ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়। বাকি তিনটি হারের দুটিও ৯ উইকেট ও ১২১ রানের বড় ব্যবধানে।
একমাত্র ড্রটি ২০০৮ সালের অক্টোবরে, মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। সেই ম্যাচের প্রথম তিন দিন অবশ্য একটিও বল হতে দেয়নি বৃষ্টি।
টেস্ট ক্রিকেটে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে উজ্জ্বল স্মৃতির জন্ম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
ঠিক পাঁচ বছর আগে, ২০০৮ সালের অক্টোবরে ড্যানিয়েল ভেট্টরির দলের সঙ্গে অনেক লড়াই করে তিন উইকেটে হেরে গিয়েছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।
ঐ ম্যাচে ৩১৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা অতিথিদের পথ দেখিয়েছিল অ্যারন রেডমন্ডের ৭৯ ও ভেট্টরির ৭৬ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস।
একই মাঠে পাঁচ বছর আগের সেই টেস্ট নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙ্গার স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাংলাদেশকে। মুশফিকের দলের জন্য বড় অনুপ্রেরণা প্রতিপক্ষের অনভিজ্ঞতা।
চোটের কারণে বাংলাদেশে চার টেস্টে ৩৪ উইকেট নেয়া ভেট্টরি এবার আসতে পারেননি।
বর্তমান অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও সাবেক অধিনায়ক রস টেইলর ছাড়া নিউ জিল্যান্ড দলের আর কারো বাংলাদেশের মাটিতে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নেই।
অন্যদিকে মুশফিক, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, নাঈম ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ।
২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই দলের সর্বশেষ টেস্টে স্বাগতিক নিউ জিল্যান্ড ১২১ রানের জয় পেলেও সাকিব ও মাহমুদুল্লাহ শতক করেছিলেন, প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন পেসার রুবেল হোসেন।
বুধবার অবশ্য মাহমুদুল্লাহর খেলা অনিশ্চিত। তিন জন স্পিনার খেলানো হলে প্রথম একাদশের বাইরে থাকতে হতে পারে বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ককে।
অন্যদিকে ডানহাতি ব্যাটসম্যান মার্শাল আইয়ুবের অভিষেক প্রায় নিশ্চিত। তিন নম্বরে খেলতে পারেন তিনি। চার নম্বরে খেলবেন মমিনুল হক অথবা নাঈম।
প্রথম টেস্টের একাদশ সম্পর্কে অধিনায়ক মুশফিক বলেন, “উইকেট দেখে মনে হচ্ছে স্পিনাররা বেশি সহায়তা পাবে। সেক্ষেত্রে আমরা বেশি স্পিনার খেলাতে পারি।
আর নাঈম ভাই আর মমিনুলের যে কোনো একজন চার নম্বরে খেলবেন। ”
নিউ জিল্যান্ডের অধিনায়ক ম্যাককালাম আগে জানিয়েছিলেন, উইকেট শুকনো থাকলে দুজন স্পিনার খেলানো হতে পারে। বৃষ্টির কারণে সেই পরিকল্পনা থেকে সরে গিয়ে অতিথিদের তিন পেসার নিয়ে খেলার সম্ভাবনা বেশি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।