নাসিরের টস ভাগ্যটা বেশ ভালো! গতকাল টসে জিতেছিলেন। ব্যাটিং নিয়েছিলেন। আজও জিতলেন। তবে এদিন ব্যাটিং নয়, নিলেন ফিল্ডিং। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ তিন ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে জাতীয় দল ২০ ওভারে ৯ উইকেটে তুলেছে ১৬৭ রান।
বলা যায়, এই দুটো ম্যাচ আসলে একরকম ‘প্রীতি’ ম্যাচই। তবে প্রথম ম্যাচে ‘এ’ দলের কাছে হেরে অপ্রীতিকর অবস্থায় পড়ে গেছে জাতীয় দল। দেখা যাক, আজ সম্মান পুনরুদ্ধার করতে মুশফিকরা পারেন কি না। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ‘এ’ দল ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৮৪ রান তুলে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে।
জাতীয় দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ করেছেন এনামুল হক।
১৮ বলের ঝোড়ো ইনিংসটায় ছয়টি চার ও একটি ছক্কাও আছে। ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়ক মুশফিকুর করেছেন ৩৬। ২১ রান এসেছেন জিয়াউর রহমানের ব্যাট থেকে। ২১ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন ‘এ’ দলের অধিনায়ক নাসির হোসেন।
আরাফাত সানিরও দুই উইকেট, তবে দিয়েছেন ৪২ রান। ফরহাদ রেজা ও ইলিয়াস সানি নিয়েছেন একটি করে উইকেট। বাকি তিনটি উইকেটই পড়েছে রানআউটের খাড়ায়।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৮ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় জাতীয় দল। ১৩ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার।
এনামুল হককে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতে নামেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ফরহাদ রেজার বলে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন এনামুল।
তবে জাতীয় দলের অধিনায়ক মুশফিকের হন্তারক ওই ‘এ’ দলের অধিনায়ক নাসিরই। নাসিরের বলে উইকেটরক্ষক মিঠুন আলীর গ্লাভসে ক্যাচ দেয়ার আগে মুশফিক করেন ৩৬ রান। মাহমুদউল্লাহর অপরাজিত ৩৮ রানের সুবাদে জাতীয় দলের শেষমেশ সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১৬৭।
পর পর দুই ওভারে রুবেল হোসেনের জোড়া আঘাতে ‘এ’ দলের দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস (১৬) ও জরুহুল ইসলাম (৬) ফিরে যাওয়ার পর দলকে এখন পথ দেখাচ্ছেন মিঠুন আলী (৩৫) ও মমিনুল হক (২৪)। দুজনের জুটিটা এরই মধ্যে ৫৫ রান যোগ করে বিপদবার্তাই দিচ্ছে জাতীয় দলকে।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।