i love to enjoy my life in every other way ২০১৩ খুবই গুরুত¦পূর্ণ বছর। প্রায় সকলেই আশায় বুক বেঁধে আছে যুদ্ধাপরাধীদের আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। এ বছরই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সমাপ্ত হবে এবং দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গত চার বছরে অনেক ভালো কাজ করেছে। গত চার বছর ধরে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি গড়ে সাড়ে ৬ শতাংশ।
আগের যে কোন সময়ের তুলনায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড পরিমাণÑ ১২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ফলে শিল্প খাতে এফডিআই (ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট) বৃদ্ধির এক অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ব্যবসার ক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
যদিও অনেক অর্জন কোন কোন কারণে ভীষনভাবে ক্ষতিগ্র¯হ য়েছে। যেমন পদ্মা সেতু সংক্রান্ত জটিলতা, হলমার্কের আর্থিক কেলেংকারি এবং শেয়ার মার্কেট ধস।
এ তিনটি বিষয়ই যে কোন ভালো কিছুকেই ছাপিয়ে সবার উপরে চলে এসেছে। ২০১২ সালের সব চাইতে আলোচিত আর সমালোচিত বিষয় ছিলও এ তিনটি। আশা করব নতুন বছরটিতে সরকার এসব বিষয় বিশেষ করে ঋণদান বা অর্থছাড়ের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর জবাবদিহিতা, শেয়ারবাজারের ব্যাপারে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ এবং যাবতীয় বাধা অপসারণ করে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করার প্রক্রিয়ায় যতœবান হয়ে অতি দ্রুত একটি সিদ্ধান্তে আসতে পারবেন।
যারা বিরোধীদলে আছেন তারা আন্দোলনের নামে বিভিন্ন ধরনের অস্ব¯িতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা চালাতে পারে এমন আশংকা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না, যেন নির্বাচনকে এগিয়ে নিয়ে আশা যায় কারণ আমাদের বিগত দিনের অভিজ্ঞতা সে কথাই বলে।
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে যে ধূ¤্রজালের সৃষ্টি হয়েছে সরকারি ও বিরোধী দলকে ঐকমত্যে আসতে হবে।
এই ঐকমত্যের পূর্বশর্ত দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ তথা জনগনের স্বার্থ। জনগনকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে দলমত নির্বিশেষে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান সরকারী দলকে আরো অনেক বেশী সহনশীল আচরণ আর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে বিবোধী দলের প্রতি। তত্বাবধায়ক সরকার নাকি নির্দলীয় সরকার তা সংসদে বসে হোক আর অন্য কোথাও বসে হোক তার একটা মিমাংষায় যেতে হবে অচিরেই কারণ এমন পরিবেশ দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকলে জনগনকেই দিতে হবে এর খেসারত যা একটি গনতান্ত্রিক দেশের জন্য কোন অবস্থায়ই কাম্য নয়।
পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই স্বাধীন নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
এটিই গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য। অতীতে নির্বাচন কমিশন এই গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য থেকে বিচ্যুত হয়েছিল বিধায় গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণœ হয়েছিল। কিন্তু আমাদের প্রধানতম সমস্যা হোল আওয়ামীলীগ হোক আর বিএনপি হোক একটা সময়ে এ তত্বাবধায়ক নামক সরকার ব্যাবস্থার স¦পক্ষে উভয়েই একমত ছিলেন। যাই হোক গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়ে এমন অবস্থার সমুক্ষিন হতে আর চায়না জনগন।
আমাদের এ নতুন বছরের আশা আর প্রত্যাশা অনেক, এখন দেখার বিষয় রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের এ আশা-আকাংখার কতটুকু পূরণ করতে সক্ষম হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।